ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাসুদা ভাট্টি

কেন ওরা ‘জিহাদী-বধূ’ হতে চায়?

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৩১ মার্চ ২০১৫

কেন ওরা ‘জিহাদী-বধূ’ হতে চায়?

প্রবাসী বাঙালীর জীবনে আনন্দের ঘটনা খুব কমই ঘটে। দেশের কোন বড় অর্জনেই সাধারণত সে সুযোগ আসে। সে ধরনের বড় কোন অর্জনের উদাহরণ সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ডকে হারানো ছাড়া আর চোখে পড়ছে না। কিন্তু প্রবাসী বাঙালী বিশেষ করে ব্রিটেনের বাঙালী কমিউনিটি মূলধারার গণমাধ্যমে এখন বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। না, কোন ইতিবাচক বা বড় কোন অর্জনের জন্য নয়, বরং বাঙালী কমিউনিটি থেকে একের পর এক তরুণ-তরুণীর আইসিস-এ যোগ দেয়ার ঘটনায় ব্রিটেনজুড়ে তোলপাড় চলছে। বিলেত প্রবাসী বাঙালীর সন্তানদের ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে, সে কথা বহু আগেই বহু ব্যক্তি লিখেছেন। কিন্তু তাতে কান দেয়ার সুযোগ হয়ত কারও হয়নি। গত এক মাসে ব্রিটেনসহ পশ্চিমা গণমাধ্যমে তিনটি বড় খবরের শিরোনামে বাঙালী কমিউনিটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এবং প্রত্যেকটিতেই মূলত বাঙালী তরুণীদের ‘জিহাদি-বধূ’ (ঔরযধফর ইৎরফব) হওয়ার জন্য সিরিয়ায় যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। এতদিন ব্রিটেনে যত ধর্মীয় উগ্রবাদ সংক্রান্ত খবর শোনা গেছে, তার বেশিরভাগই হয় মধ্যপ্রাচ্যের আরব রাষ্ট্রগুলো থেকে আসা কারও দ্বারা সংঘটিত হতে দেখা গেছে, নয় পাকিস্তানী কেউ এর সঙ্গে জড়িত থেকেছে। দু’একবার যে বাঙালী কমিউনিটির কারও নাম এতে আসেনি তা নয়, কিন্তু আমরা সকলেই একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, বিষয়টি আর বিচ্ছিন্ন ঘটনায় সীমাবদ্ধ নেই। কারণ সমগ্র ব্রিটেনে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে, কেন এখানে জন্ম নেয়া এবং বেড়ে ওঠা বাঙালী (এখানে অন্য ভাষাগোষ্ঠীর কথাও আছে) নতুন প্রজন্ম এই ধর্মীয় উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকছে? এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন ত্রুটি রয়েছে কি? কিংবা সামাজিক কাঠামোতে? অথবা, কী এমন অপ্রাপ্তি, যার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবার-পরিজন ছেড়ে তরুণ-তরুণীরা দুর্গম ও শঙ্কাকুল মরুভূমিতে উগ্র, ধর্মান্ধ এবং নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের সঙ্গে গিয়ে জুটছে? নাকি, এটা নিছক ‘ফান’? অর্থ আছে, জীবনের ভোগ-বিলাসের সমস্ত আয়োজন আছে, আছে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাও; কিন্তু জীবনে কোন আনন্দ নেই, উত্তেজনা নেই, তাই ঊষর মরুভূমিতে গিয়ে উত্তেজনা খুঁজতে হচ্ছে? কিংবা, যতই শান্তির কথা বলা হোক না কেন, ধর্মও আসলে কাউকে শান্তি দিতে পারছে না। তাই শান্তি খুঁজতে যেতে হচ্ছে আইসিস-এর কাছে? এমনতরো বহু প্রশ্ন নিয়ে ব্রিটেনে সমাজবিদ, রাজনীতিবিদ, বিশ্লেষকরা মাঠে নেমেছেন নতুন করে। এরই মধ্যে আর মাত্র সপ্তাহ কয়েক পরেই হতে যাচ্ছে ব্রিটেনের নির্বাচন। অতএব, এ দেশের নির্বাচনের সেই পুরনো ও বহুল ব্যবহৃত ইমিগ্রেশন কার্ডটি নিয়ে বেশ দারুণ খেলাধুলা করছে এ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। কিন্তু তাতে মূল সমস্যার সমাধান হবে বলে কেউ মনে করেন না। কারণ, নির্বাচন শেষেই এসব বিষয়াদি ঝিমিয়ে পড়বে এবং অন্য অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হবে। কিন্তু বাঙালী কমিউনিটির এই সমস্যার বোঝাটি ঠিকই থেকে যাবে। সুতরাং, বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হওয়া জরুরী। দেশে কিংবা বিদেশে, আমরা সর্বত্রই সমালোচনাকে বড্ড ভয় পাই। কেউ সমালোচনা করলেই আমরা মনে করি যে, আমাদের ছোট করছে কিংবা আঘাত করছে। আর আত্মসমালোচনার বালাই আমাদের কোনকালে ছিল বলে প্রমাণ নেই। সুতরাং, সমস্যার নোংরা বিষয়কে আমরা চাপা দিয়ে রেখে দিব্যি জীবন পার করে দিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি যুগ যুগ ধরে। আগেই উল্লেখ করেছি যে, কমিউনিটির পরবর্তী প্রজন্ম কি ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে, তা নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। ব্রিটেনের বাংলা সংবাদপত্রগুলো এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ কারও নামোল্লেখ না করেই এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, এসব পত্রিকায় প্রকাশিত লেখায় প্রতিনিয়ত এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে, পরবর্তী প্রজন্মকে আসলে নিজস্ব সংস্কৃতির শক্তিময়তার সঙ্গে এখানকার সংস্কৃতিতে মিশে যাওয়ার তরিকা শেখাতে হবে। না হলে, তাদের আশ্রয় নেয়ার জায়গার অভাব পড়বে। বাঙালী সংস্কৃতি বলতে কেবল যে বৈশাখী মেলা নয় আর ব্রিটিশ সংস্কৃতি বলতে যে কেবল পাবে যাওয়া নয়, এ কথাতো আর বার বার বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তারপরও এসব কথা হয়েছে। এ দেশের সরকারও চেষ্টা করেছে অর্থ খরচ করে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষক নিয়ে এসে স্কুলগুলোতে বাঙালী ছাত্রছাত্রীদের শেকড়-সংস্কৃতির কাছে পৌঁছে দিতে। বাংলা ভাষাকে পাঠ্যসূচীতে স্থান করে দেয়া হয়েছে কেবল মাতৃভাষা শিক্ষার জন্যই তা নয়, বরং এই ভাষায় লিখিত সংস্কৃতি পাঠের সুবিধা করে দেয়ার লক্ষ্যেই হয়তো। কিন্তু কোন কিছুতেই কিছু যে হয়নি, তাতো বোঝাই যাচ্ছে। তাহলে গলদটা আসলে কোথায়? এর উত্তর নিশ্চিত করে হয়ত কেউই দিতে পারবেন না। কারণ জীবন অঙ্ক নয়, কোন সূত্রও মেনে চলে না। ফলে এর উত্তরে কিছু চিহ্নিত সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে কেবল যা এখন সর্বত্রই হচ্ছে। ব্রিটেনে অভিবাসী বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে আসা কমিউনিটিগুলোর মধ্যে ভারতীয় কমিউনিটি এখন সর্বত্রই অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকায় অবতীর্ণ। অপরদিকে পাকিস্তানী কমিউনিটি সম্পর্কে প্রায়ই যে সমালোচনা শোনা যায় তাহলো, এই কমিউনিটি বিভ্রান্ত, বিচ্ছিন্ন এবং উগ্রবাদে আক্রান্ত। এখন নিশ্চিতভাবেই বাঙালী কমিউনিটি সম্পর্কেই সেরকম অভিযোগ শোনা যাবে। কিন্তু ভারতীয় কমিউনিটি এতটা এগিয়ে গেল আর পাশাপাশি পাকিস্তানী ও বাঙালী কমিউনিটি এতটা পিছিয়ে রইল কেন? এটা কি সেই পুরনো ব্রিটিশ ভারতের ইংরেজী শিক্ষা নিয়ে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে যে মতভেদ দেখা গিয়েছিল, তা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়? কিছুটা নিশ্চয়ই যায়। ব্রিটিশ ভারতে ইংরেজী শিক্ষায় হিন্দুরা দ্রুত অগ্রগতি সাধন করেছিল। আর মুসলমানদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল যে, ইংরেজী আসলে কাফেরদের ভাষা। এটা শিখলে সাক্ষাত দোযখপ্রাপ্তি ঘটবে। কার্যত দেখা গিয়েছিল যে, ইংরেজী শিক্ষার সুফল নিয়ে ভারতীয় হিন্দুরা অন্তত পঞ্চাশ বছর এগিয়ে গিয়েছিল যে কোন সূচকেই। কিন্তু মুসলমানদের পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল এবং এখনও সেই দূরত্ব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এখানেও লক্ষ্য করা গিয়েছে যে, ভারতীয়রা যত দ্রুত মূলধারার সংস্কৃতির সঙ্গে মিশতে পেরেছে, পাকিস্তানী বা বাঙালী কমিউনিটির পক্ষে ততটা সম্ভব হয়নি। ধর্মটা এখানে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শাকাহারি ভারতীয়র পক্ষে এ শের খাবার অনায়াসে গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। অপরদিকে মাংসাশী পাকিস্তানী বা বাঙালী হালাল খুঁজতে দিন কাবার করে দিয়েছে। পরে যখন এদেশে ভারতীয়রা মূলধারার রাজনীতি, গণমাধ্যম এবং ব্যবসায় ইংরেজের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত, তখন পাকিস্তানী ও বাঙালী কমিউনিটি স্কুলগুলোতে শিশুদের হালাল খাবার সরবরাহের আন্দোলনে ব্যস্ত থেকেছে অথবা পাড়ায় পাড়ায় মসজিদ তৈরি করে তাতে কমিটি গঠন করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। একটি ভারতীয় পরিবার যখন নিজেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাচ্চাদের সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম শিক্ষা-সুযোগ তৈরির জন্য প্রাণান্ত করছে, তখন একটি পাকিস্তানী বা বাঙালী শিশুকে স্কুল থেকে ফিরেই আররী শেখার জন্য ছুটতে হয়েছে স্থানীয় মসজিদে। তার জীবনে আর কোন সুযোগ থাকেনি স্কুল ও মসজিদের বাইরে খেলাধুলা কিংবা প্রতিবেশী শ্বেতাঙ্গ বা কৃষ্ণাঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গে মেশার ও তাদের সঙ্গে সংস্কৃতি আদান-প্রদানের। তারা মূলত ঘেরাটোপের ভেতর বড় হয়েছে, যেখানে ধর্ম নিয়েছে চালকের ভূমিকা, প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করেছে সংস্কৃতির সঙ্গে ধর্মের সংঘর্ষ। এটা করা যাবে না ধর্মে নিষেধ আছে, এটা খাওয়া যাবে না ধর্মে নিষেধ আছে- এরকম বহু বিধিনিষেধের বেড়াজালে স্কুলজীবন পার করে যখন বেরিয়েছে, তখন তার নিজস্ব মতামত তৈরি হয়নি। তার মতামত পুরোটাই নির্দেশিত হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। ফলে যখনই কেউ আরও বেশি উগ্রতা নিয়ে তাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে, তারা নিজেদের ফেরাতে পারেনি, পারা সম্ভব নয়, কারণ বিশ্লেষণী ক্ষমতাই যে তৈরি হয়নি। অনেকেই হয়ত আমার এই বিশ্লেষণকে অতি-সরলীকরণ বলে উড়িয়ে দিতে চাইবেন। হতে পারে বিষয়টি খুব সরলীকরণ হলো। কিন্তু সত্যের অনেক দর্শনের মধ্যে এটিও যে একটি, তা দীর্ঘকাল বিলেত প্রবাসের অভিজ্ঞতা দিয়েই বুঝেছি। এখানে দেখেছি এক সময় তীব্র বামপন্থী রাজনীতিবিদকেও ধর্মগুরুর মতো অযৌক্তিক বিতর্ক করতে। নিজের সন্তানদের হালাল মর্টগেজ নিয়ে গর্বে আত্মহারা হতে দেখেছি বিখ্যাত প-িত ব্যক্তিকেও। সংস্কৃতির সঙ্গে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলে একটা বিরাট জটলা তৈরিতে যদি একক ও বিশাল ভূমিকার উদাহরণ দিতে হয়, তাহলে আমি এই স্কুল শেষে স্থানীয় মসজিদগুলোর কথা সবার আগে উল্লেখ করব। কারণ, এখানে পাঠিয়ে অনেক পরিবারই ধরে নেয় যে, হুজুরই সবকিছু শিখিয়ে দেবেন। কিন্তু হুজুর আরবী পড়ার চেয়ে বেশি শিখিয়েছেন, বৈশাখী মেলা হারাম কিংবা ইংরেজদের সঙ্গে মেশা যাবে না! কারণ ওরা কাফেরÑ এ জাতীয় উগ্র মতবাদ। শিশুর কোমল মনকে বিষিয়ে দিতে এদের ভূমিকা অপরিসীম। বাড়িতে ফিরেও পরিবেশের তারতম্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়নি। এদিক দিয়ে কিন্তু আবার বাঙালী, মধ্যপ্রাচ্য বা পাকিস্তানী, সকলেরই মিল রয়েছে। প্রত্যেক কমিউনিটিতেই এই স্থানীয় মসজিদ ও তা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষার গুরুত্ব রয়েছে। জাতি পরিচয় হিসেবে এসব ক্ষেত্রে খুব সুচিন্তিতভাবেই এই মসজিদগুলো থেকে শিশুদের শেখানো হয়েছে যে, তারা মুসলিম। তারা যে বাঙালী কিংবা পাকিস্তানী বা মিসরীয়, সেটা গৌণ কিংবা দ্বিতীয় স্তরের পরিচয় হিসেবেই বোঝানো হয়েছে। বিগত ১০/১৫ বছরের এই শিক্ষার (আসলে বলব অশিক্ষা) ফল এখন হাতেনাতে পাচ্ছে বাঙালী কমিউনিটি। আমি নিশ্চিত যে, এসব কথা বলা নিষেধ, আগেই বলেছি। আমরা আত্মসমালোচনায় কোনকালেই আগ্রহী নই। কিন্তু বাঙালী তরুণ প্রজন্মের সাফল্যের কি কোন উদাহরণ নেই? অবশ্যই আছে। ধর্ম, জাতীয়তাবোধ ও নিজস্ব সংস্কৃতিকে সম্মানের স্থানে রেখে এখানকার সমাজজীবনে উল্লেখযোগ্য অবস্থানে রয়েছে, এমনদের সংখ্যাও কম নেই। কিন্তু তাদের কথা তো উল্লেখ করে না কেউ উল্লেখ করা হয় সেই সব ছেলেমেয়ের কথা, যারা পালিয়ে গিয়ে আইসিস-এ যোগ দিয়েছে কিংবা যারা উগ্র মৌলবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। আমার মনে হয়, এখন সময় এসেছে সাফল্যময় বাঙালীর গল্প আরও বেশি করে সামনে নিয়ে আসার। যাতে তাদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে ইতোমধ্যেই যাদের মাথা বিগড়েছে তারা স্বাভাবিক হয় এবং আগামীতে যারা বেড়ে উঠছে তারা হয় অনুপ্রাণিত। ধর্ম ও সংস্কৃতির কোনটাই ফেলনা নয়। কিন্তু সংস্কৃতিকে ধর্ম দিয়ে অবহেলার কারণে সমষ্টির জীবন যে নষ্ট হতে পারে তার উদাহরণ তো এসব আগ্রহী ‘জিহাদি-বধূ’ কিংবা আইসিস যোদ্ধারা, যারা এখানকার জীবনকে ফেলে রেখে গিয়েছে মরুভূমিতে। প্রশ্ন হলো, ধর্মকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যে দানব ইতোমধ্যেই আমরা তৈরি করেছি, তারে বধিবে কে? ২৭ মার্চ, ২০১৫ [email protected]
×