ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পালালো কিভাবে?

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ৩১ মার্চ ২০১৫

পালালো কিভাবে?

দেশজুড়ে নাশকতা, সহিংসতা, নৃশংসতা, বর্বরতার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতার ও বিচারের কথা শত সহস্রবার উচ্চারিত হয়েছে, হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে এসব দমন যাদের দায়িত্ব, সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা তো হরহামেশা বলেন পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা ও বাস পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত কাউকে রেহাই দেৎয়া হবে না। সব জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হবে। এই বাক্য শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন দেশবাসী। কিন্তু সচরাচর সেটা হতে দেখা যায় না। আবার এককাঠি সরেস বাকচাতুর্যে পটুÑঅপটু সরকারের কতিপয় মন্ত্রী প্রায়শই হুংকার দেন, জঙ্গীরা পার পাবে না,-আইনের আওতায় এনে তাদের-বিচার করা হবেই। ’যত গর্জে তত বর্ষে না’ প্রবাদের মতো রক্ষাকর্তাদের সব ভাষ্য যেন ধূলায় গড়াগড়ি খায়। বৃষ্টিতে স্নাত হয় না আর। তাই দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্রসহ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের অদ্যাবধি বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে দেখা যায় না। ২০১৩ থেকে অদ্যাবধি চলমান নাশকতায় জড়িতদের মধ্যে যারা আটক হয়েছে, তাদের বিচার কাজ ঝুলে আছে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই তদন্ত করে চার্জশীট দিতে গড়িমসি করে তদন্তকারী কর্মকর্তারা। দেশের কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় নাশকতাকারী জঙ্গীদের ঘাঁটি রয়েছে। মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হানা দেয় জঙ্গীদের আস্তানায়। খুঁজে পায় অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রসহ হরেক কিসিমের বোমা ও সরঞ্জাম। হরতাল অবরোধ ডেকে নাশকতা ঘটাচ্ছে যে রাজনৈতিক জোট, তারাই এসব অস্ত্রশস্ত্র চোরাইপথে আমদানিকারক ও উৎপাদক। বিপুল অস্ত্রভা-ার উদ্ধারের পরও এসবের নেপথ্য কুশীলবরা ধরা পড়ছে না। এমন কি বোমা মেরে মানুষ হত্যার নির্দেশকারীরা দাপটে রয়েছে। জঙ্গীরা মাঝে মধ্যে ধরা পড়ে, আবার অনায়াসে পালাতে পারে পুলিশের চলন্ত গাড়ি থেকে। দুজন পুলিশ কর্তা গাড়িতে থাকা অবস্থায় হাতকড়া পরিহিত জঙ্গী পালাতে পারার মতো দক্ষতা রাখে! প্রশিক্ষিত জঙ্গীর কাছে পুলিশ যেন কত অসহায়! নাকি পুলিশ ছিল তন্দ্রাতুর। জামায়াত জঙ্গীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বোমা মামলার জঙ্গী আসামিকে আটক করে উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়ার পথে চলন্ত গাড়ি থেকে হাতকড়াপরা অবস্থায় পালিয়ে যায় সে। প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক পুলিশ কি দৃশ্যটি চেয়ে চেয়ে দেখছিল? তা না হলে অপরাধী পালালো কিভাবে?
×