ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হরতালে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৩১ মার্চ ২০১৫

হরতালে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ হরতাল-অবরোধের কারণে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিকারকদের গত তিন মাসে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। একই সময়ে বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় আটকে পড়া আমদানিকৃত গাড়ি গণহারে নিলামে তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস্্ ইম্পোর্টার্স এ্যান্ড ডিলারর্স এ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। আপদকালীন সময়ে স্বাভাবিক নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, তিন মাসের সুদ মওকুফ ও মেয়াদী ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধি এবং খালাসের অপেক্ষায় আটকে পড়া গাড়ির ডেমারেজ চার্জ সম্পূর্ণ মওকুফ করার দাবি জনিয়েছে বারভিডা। সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স এ্যান্ড ডিলার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। বারভিডার সভাপতি এম এ হামিদ শরীফের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সেক্রেটারি মাহবুবুল হক বাবর। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতের সঙ্গে জড়িত কয়েক লক্ষাধিক লোক। গত ৩ মাসের রাজনীতির নামে যে সহিংসতা হয়েছে এর প্রধান তারা। টানা তিন মাস কোন শোরুমের সাঁটার খোলা সম্ভব হয়নি। বেতন দিতে না পারায় অনেকে কর্মচারী ছাঁটাই করতেও বাধ্য হচ্ছেন। অন্যদিকে ব্যাংকের লগ্নিকৃত প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সুদ-আসল, মেয়াদান্তে পরিশোধ করতে না পারায় ঋণ খেলাপীতে পরিণত হয়েছে। ক্রেতা পর্যায়ে অটো লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে না পারা, নতুন ঋণপত্র খুলতে ব্যাংকের অস্বীকৃতি, নগদ জমা ব্যতীত আমদানি দলিল ছাড় করতে ব্যাংকগুলোর অস্বীকৃতি উভয় খাতের মধ্যে আস্থার সঙ্কট তৈরি করেছে। মাহবুবুল হক বাবর বলেন, গত ৪ ডিসেম্বর থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আমদানিকৃত ৫৬৫৫ ইউনিট গাড়ির প্রায় সবকটি অবিক্রীত অবস্থায় বন্দরে ও শোরুমে পড়ে আছে।
×