স্টাফ রিপোর্টার ॥ পহেলা বৈশাখের আগেই শুরু হয় ইলিশের মজুদ। তাই ইলিশের দাম বেজায় চড়া। সেটার ঘাটতি আর সাধ মেটাতে হয় জাটকা দিয়ে, যে কারণে রাজধানীর কাওরান বাজারের গড়ে ওঠে জাটকার আড়ত। তাতে র্যাব দিল হানা। এক অভিযানেই সাড়ে সাত হাজার কেজি জাটকা মাছ জব্দ। এ অবৈধ কর্মকা-ে জড়িত থাকার দায়ে ১১ মাছ ব্যবসায়ীকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শুরু হওয়া দু’ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান। অভিযানে অংশ নেন র্যাব-২’র সদস্যরা। জরিমানা করা ব্যবসায়ীরা হলেন- আব্দুল বারেক (২৭), হারুন মিয়া (২৫), সজীব হোসেন (৩০), তৈয়ব (২৬), সাইফুল ইসলাম (২৭), খোরশেদ আলম (৪৬), জুলহাস মিয়া (৩২), ইব্রাহিম খলিল (১৮), কাঞ্চন মিয়া (২১), মোঃ হানিফ (২১) এবং হাশেম আলী (২৫)। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান জানান, সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী ১ নবেম্বর থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ করা আইনত দ-নীয়। এমন ঘোষণার পরও কিছুসংখ্যক অসাধু মাছ ব্যবসায়ী এ ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছেন। এসব অপরাধীকে ধরতে কাওরান বাজারের ১নং ডিআইটি মার্কেটের বিভিন্ন মাছের আড়তে অভিযান চালানো হয়। তিনি জানান, অভিযানে সাড়ে সাত হাজার কেজি জাটকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এছাড়া নিষিদ্ধ সময়ে জাটকা মজুদ ও বিক্রির অপরাধে ১১ মাছ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান জানান, আসন্ন পহেলা বৈশাখে বাঙালীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইলিশের ব্যাপক চাহিদা হবে। চাহিদা মেটানো, বেশি মুনাফা এবং সিন্ডিকেট সৃষ্টি করতে দেশের নদী তীরবর্তী অঞ্চল বরিশাল, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, সিরাজগঞ্জ ও ভোলা এলাকা থেকে মাছ সংগ্রহ করে তা মজুদ করছিলেন এই ব্যবসায়ীরা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-২’র উপঅধিনায়ক মেজর সৈয়দ সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মোঃ নাজিম উদ্দিন আহমদ।
এ অভিযান শেষে জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।