ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিরিয়া অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১ এপ্রিল ২০১৫

সিরিয়া অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দরকার ছিল ন্যূনতম ড্র। কিন্তু ড্র নয়, জিতেই এএফসি অনুর্ধ-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে ‘ই’ গ্রুপের অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র পেল ১৫২ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী (এএফসি র‌্যাঙ্কিং ২৬) ‘কাশিয়ান ঈগলস’ খ্যাত সিরিয়া যুবদল। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলায় তারা ২-১ গোলে হারায় ৭২ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী (এএফসি র‌্যাঙ্কিং ৬) ‘হোয়াইট উলভস’ খ্যাত উজবেকিস্তান যুবদলকে। বিজয়ী দল প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল ২-০ গোলে। এ টুর্নামেন্টে এটা তাদের টানা তৃতীয় জয়। পয়েন্ট ৯। এর আগে তারা ভারতকে ৪-০ এবং স্বাগতিক বাংলাদেশকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল। পক্ষান্তরে তিন ম্যাচে এটি প্রথম হার উজবেকদের। পয়েন্ট ৬। প্রথম দুই ম্যাচে তারা ভারতকে ২-০ এবং বাংলাদেশকে ৪-০ গোলে পরাভূত করেছিল। এই টুর্নামেন্টে সার্বিকভাবে ১০ গ্রুপে অংশ নিচ্ছে ৪৩ দেশ। প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল এবং বিভিন্ন গ্রুপ মিলিয়ে ৫ সেরা রানার্সআপ দল আগামী ২০১৬ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত ১৬ দলের অংশগ্রহণে এ আসরের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। ইতোমধ্যেই ১০ গ্রুপ চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে নাম লিখিয়েছে সিরিয়া (গ্রুপ ‘ই’), অস্ট্রেলিয়া (গ্রুপ ‘এফ’) এবং দক্ষিণ কোরিয়া (গ্রুপ ‘এইচ’)। এছাড়া স্বাগতিক কাতার সরাসরি খেলবে মূলপর্বে। ‘ই’ গ্রুপে মঙ্গলবারের ম্যাচে হারার পর সেরা পাঁচ রানার্সআপ দলের একটি হওয়ার জন্য উজবেকিস্তানকে এখন অন্য সাত গ্রুপের খেলাগুলো শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ম্যাচের ২৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে সিরিয়ান মিডফিল্ডার মাহমুদ আলমাওয়াসের ক্রস বক্সের মধ্যে পেয়ে হেড করেন ফরোয়ার্ড আল বাহের। কিন্তু উজবেক গোলরক্ষক আকমল তারসুনবায়েভ বল ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে ডান পোস্টের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা সিরিয়ান মিডফিল্ডার ওমর খারবিন ডান পায়ের দর্শনীয় শটে গোল করে এগিয়ে নেন সিরিয়াকে (১-০)। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সিরিয়ান ফরোয়ার্ড মাহমুদ আল বাহের বল নিয়ে ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের গোল সীমানায়। তাকে ফাউল করেন উজবেক ডিফেন্ডার সারদর রাখমানভ। সৌদী রেফারি ফাহাদ আলমিরদাসি রাখমানভকে হলুদ কার্ড দেখান এবং পেনাল্টির নির্দেশ দেন। মিডফিল্ডার ওমর খারবিন পেনাল্টি থেকে গোল করে দ্বিগুণ করেন ব্যবধান (২-০)। ৫৭ মিনিটে উজবেক মিডফিল্ডার আব্বুসবেক মাখসতালিভ গোল করে ব্যবধান কিছুটা কমান (১-২)। মঙ্গলবারের আগে সিরিয়া-উজবেকিস্তান দুই দলই জেতে টানা দুই ম্যাচ। পয়েন্টও ছিল সমান, ৬। তবে দুটি গোল বেশি (৮) করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল সিরিয়াই। অথচ ফিফা-এএফসি র‌্যাঙ্কিং বলছে সিরিয়ার চেয়ে শ্রেয়তর দল উজবেকরাই। তবে মাঠে খেলা দেখতে আসা ফুটবলপ্রেমীরাই বলছেন ভিন্ন কথা। উজবেকরা তাদের প্রথম ম্যাচে তো ভারতের কাছে আরেকটু হলেই পয়েন্ট খোয়াত। শেষ পাঁচ মিনিটে দুই গোল করে কোন মতে বিপদ এড়ায় তারা। সোমবার বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত ম্যাচ-পূর্ব এক সংবাদ সম্মেলনে সিরিয়া দলের কোচ মোহান্নাত আল ফকির বলেছিলেন, ‘উজবেকিস্তান অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ। তাদের আমরা ভালভাবেই জানি। তেমনি তারাও। এই ম্যাচে টেকনিক, ট্যাকটিক্স, স্কিল এবং পূর্ণ মনোযোগের ক্ষেত্রে যারা এগিয়ে থাকবে, তারাই জিতবে।’ দলের মিডফিল্ডার হামিদ মিদো বলেছিলেন, ‘আমরা পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়েই বাড়ি ফেরার কথা ভাবছি।’ শেষ পর্যন্ত কোচ এবং মিদোর কথাই ফলেছে।
×