ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১ এপ্রিল ২০১৫

বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য খাতে ৩ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানানো হয়েছে। বাজেট বরাদ্দ রাখা; জাতীয় বাজেটে গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন এবং বাজেটকে দরিদ্রবান্ধব করার লক্ষ্যে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র জাতীয় পর্যায়ে স্থানীয় দাবিগুলো তুলে এনে সরকারের কাছে গণমানুষের বাজেট ভাবনা উপস্থাপন করেছে। এ সময় এসব দাবি জানানো হয়। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার ডেইলি স্টার ভবনে জাতীয় প্রাক বাজেট আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। তৃণমূলের ৪৫টি জেলার দাবি সংবলিত আলোচনাপত্র সভায় উপস্থাপিত হয়। সুপ্র পরিচালক এলিসন সুব্রত বাড়ৈ’র সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন সুপ্র নির্বাহী পরিষদ সদস্য শামীমা আক্তার মুনমুন। আলোচনাপত্র উপস্থাপন করেন সুপ্র ক্যাম্পেইন সমন্বয়কারী সাকেরা নাহার। উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্র ৪৫ জেলায় প্রাক-বাজেট আলোচনা সভার আয়োজন করেছে এবং সভায় উঠে আসা গণদাবিসমূহ ই-মেইল ও ফ্যাক্সযোগে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সুপ্র আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় অতিথি ছিলেন জাতীয় পরিকল্পনা ও বাজেট সম্পর্কিত সংসদীয় ককাসের সহ-সভাপতি মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি, ফজলে হোসেন বাদশা এমপি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য সেলিনা বেগম এমপি। জাতীয় বাজেট ২০১৫-১৬কে সামনে রেখে সভায় বিভিন্ন দাবি ও সুপারিশ তুলে ধরা হয় যার মধ্যে অন্যতম হলো- প্রত্যক্ষ করনির্ভর বাজেট প্রণয়ন করা, জন অংশগ্রহণমূলক জেলা বাজেটের জন্য প্রয়োজন বাজেটের কাঠামোগত সংস্কার করা, শিক্ষা খাতে জিডিপি’র ৬ % ও স্বাস্থ্য খাতে ৩% বাজেট বরাদ্দ রাখা, টেকসই কৃষি উন্নয়নে চাহিদাভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী কর্মসূচীর আওতা বাড়ানো, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরী। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, প্রাক-বাজেট আলোচনার জন্য উপযুক্ত সময় এটা। তবে ঘরের আলোচনা আমলাদের কান পর্যন্ত না পৌঁছালে ফলপ্রসূ হবে না কেননা বাজেট প্রণীত হয় তাদেরই হাতে। এক্ষেত্রে এমপিদের কিছু করার নেই। অর্থমন্ত্রী যেভাবে করবেন তাই চূড়ান্ত হবে। তিনি আরও বলেন আয় বৈষম্য কমানোর মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতায়িত করতে হবে কেননা জনগণ ক্ষমতায়িত করলেই কেবল সরকার গণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে বরাদ্দ ও টার্গেট গ্রুপ’র ক্ষেত্রে যে বৈষম্য আছে তা আইনের মাধ্যমে দূর করতে হবে। কৃষি বীমা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। প্রত্যেক জেলা হাসপাতালকে হতে হবে পরিপূর্ণ ও অত্যাধুনিক সকল সেবা সংবলিত যাতে করে দেশের শতকরা ৫০ ভাগ লোক এখান থেকে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারে। সেলিনা বেগম এমপি বলেন, আমাদের সমাজে নারীর অর্থনৈতিক মর্যাদাকে আজও খাটো করে দেখা হয় যদিও বর্তমান সরকার নারী উন্নয়নে অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারী কিংবা পুরুষ সব যুবসমাজকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়নের কথা বিবেচনা করতে হবে। সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভাল পদক্ষেপগুলোর কথাও বলা উচিত। মীর শওকত আলী বাদশা এমপি বলেন, তৃণমূলের চাহিদার প্রতিফলন জাতীয় বাজেটে ঘটবে এমন প্রত্যাশার প্রতিফলন এখনই ঘটবে ভাবাটা ভুল তবে এক্ষেত্রে প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে। আর সেই কাজটি সুপ্র বেশ ভালভাবেই করে যাচ্ছে।
×