ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হুমকিতে শহর ॥ সংবাদ সম্মেলনের দাবি

মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেল ড্রেজিংয়ে অনিয়ম

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১ এপ্রিল ২০১৫

মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-চ্যানেল ড্রেজিংয়ে অনিয়ম

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ৩১ মার্চ ॥ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে করা হচ্ছে মংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেলের ড্রেজিং-এর কাজ। এর ফলে একদিকে যেমন মংলা ও পশুর নদীর মোহনা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মংলা শহর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। এ ভয়াবহ অবস্থায় স্থানীয় এমপির নির্দেশও মানা হচ্ছে না। এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার দুপুরে মংলা প্রেসক্লাবে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করা হয়। এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন। মংলা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন- মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলকে সচল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সম্প্রতি ২৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২টি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যার একটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন বিআইডব্লিউটিএ অন্যটি আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে দায়িত্ব পান চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লিঃ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিআইডব্লিউটিএ ঘষিয়াখালী-রামপাল অংশে কাজ করছে এবং চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লিঃ কাজ করছে মংলা -রামপাল অংশে। আব্দুর রহমান জানান, মূলত পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়া মংলা নদীর মূল চ্যানেলের মোহনা থেকে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করে ভরাট হয়ে যাওয়া মূল চ্যানেলটি ড্রেজিং করতে হবে। কিন্তু মংলা নদীর ভরাট হওয়া মূল চ্যানেল না কেটে নিয়ম বহির্ভূতভাবে মংলা শহর সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজিংয়ের কাজ চালাচ্ছে চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লিঃ নামের প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে ভবিষ্যতে মংলা শহর নদীগর্ভে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। অন্যদিকে, ড্রেজিংয়ের মাটি ফেলে মংলা নদীর মূল চ্যানেলের মুখ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মংলা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আব্দুস সালাম, মংলা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী গোলাম হোসেন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মিলন, পৌর আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক নূর উদ্দিন আল মাসুদ প্রমুখ। ফরিদপুরে সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০ নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ৩১ মার্চ ॥ ফরিদপুরে জমির সীমানা নিয়ে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ও ভাওয়াল ইউনিয়নবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সালথা ও পাশের নগরকান্দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা যায়, সোমবার ওই দুই ইউনিয়নের মাঝামাঝিতে অবস্থিত একটি ফসলি জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মাঝারদিয়া ইউনিয়নের আজলপট্টি গ্রামের ওসমান মাতুব্বর ও ছিরু মাতুব্বরের সঙ্গে পাশের ভাওয়াল ইউনিয়নের বারখাদিয়া গ্রামের মোস্তফা ও মোশারফের কথা কাটাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে উভয় ইউনিয়নের কয়েকশ’ লোক ঢাল, সড়কিসহ বিভিন্ন ধরনের দেশী অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে প্রায় ২০ জন আহত হয়।
×