ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বালাসীঘাট-বাহাদুরাবাদ নৌরুট

ফেরি চলাচল ঘোষণা এক বছরেও কার্যকর হয়নি

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ১ এপ্রিল ২০১৫

ফেরি চলাচল ঘোষণা এক বছরেও কার্যকর হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৩১ মার্চ ॥ নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপির বালাসীঘাট-বাহাদুরাবাদ নৌ রুটে ফেরি চলাচল পুনঃস্থাপনের ঘোষণা গত ১ বছরেও কার্যকর হয়নি। অথচ তার ঘোষণা অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র চ্যানেলের ওই রুটে রো রো ফেরি চলাচল চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও বালাসীঘাট এবং বাহাদুরাবাদে ফেরি ভেড়ানোর জন্য ঘাট স্থাপন কাজের কোন উদ্যোগই নেয়া হয়নি। অথচ এ রুটে ফেরি চলাচল শুরু হলে গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলার সঙ্গে রাজধানীসহ পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলো যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন পথ খুলে যাবে। ফলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের মন্দা অবস্থা কেটে যাবে এবং অর্থনৈতিক অবস্থা সচল হবে বলে বিভিন্ন মহল মনে করে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর ওপর যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই উত্তরাঞ্চলের জনগণ বালাসী থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত সড়ক ও রেলসেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এজন্য উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিভিন্ন সময় সভা সমাবেশ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নৌ মন্ত্রী ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে গাইবান্ধা থেকে বালাসীঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ ৭ কিমি. সড়ক ১২ ফুট থেকে প্রশস্ত করে উভয় পাড়ে ৩ ফুট করে বাড়িয়ে ১৮ ফুটে উন্নীত করা হয়। গত ৩০ জুন ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাস্তা প্রশস্ত করণের কাজ সম্পন্ন হয়। এতে ব্যয় হয় ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হলেও ঘাট নির্মাণের এখনও কোন উদ্যোগ নেই। উল্লেখ্য, এটি বাস্তবায়িত হলে গাইবান্ধাসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মানুষের ঢাকা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, চট্টগ্রাম যাতায়াত, মালামাল পরিবহন সহজ হবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুতে যানজট নিরসনসহ যানবাহনের চাপও অনেক কমে যাবে। বগুড়া শজিমেকে নয় বছর পর ডায়ালাইসিস বাক্সর পেরেক খোলার উদ্যোগ সমুদ্র হক ॥ প্রায় নয় বছর কিডনি ডায়ালিসিসের আধুনিক মেশিনটি বাক্সবন্দী থাকার পর পেরেক খোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুতই কিডনি রোগীদের দুর্ভোগ কমবে। অনেক সাশ্রয়ী দামে ডায়ালিসিস করে নিতে পারবেন। এমন আশার চিত্র বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের। ২ হাজার ৬ সালে ৫শ’ শয্যার অতি আধুনিক এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর বহু কোটি টাকা ব্যয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতমানের অনেক যন্ত্রপাতি আনা হয়। ওই সময়ে যন্ত্র চালাবার প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট না থাকায় পরবর্তী সময়ে যার বেশ কয়েকটি যন্ত্র ঢাকা এবং অন্য বড় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ডায়ালাইসিস যন্ত্র ওই ব্যবস্থা থেকে রেহাই পায় ঠিকই তবে এতকাল তা চালাবার লোকবল ছিল না। শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশার উদ্যোগে কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস চিকিৎসায় একজন সহকারী অধ্যাপক, একজন মেডিক্যাল অফিসার ও একজন নেফ্রোলজিস্ট যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে তারা আউটডোরে চিকিৎসা দিচ্ছেন। যন্ত্রটি সেট করার পর ডায়ালাইসিস কার্যক্রম শুরু হবে। তারপরও যে কথাটি রয়ে যায় তা হলো : ডায়ালাইসিস যন্ত্রের অন্যতম অংশ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এখনও আসেনি। সূত্র জানায়, এই যন্ত্রের সকল অংশই ইনস্টল করার কাজ শুরু হয়েছে।
×