ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রিমিয়ার ফুটবল ফের পেছাল

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৩ এপ্রিল ২০১৫

প্রিমিয়ার ফুটবল ফের পেছাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এমনিতেই নানা কারণে দেরি হয়েছে। আজ শুক্রবার থেকে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসর ‘বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লীগ’-এর। কিন্তু অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর নানা আপত্তি ও দাবির কারণে নির্ধারিত সময়ে পর্দা উঠছে না পেশাদার এই লীগের। লীগ কবে শুরু হবে, এ নিয়ে বুধবার লীগ কমিটির সভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। সভার নতুন দিন ঘোষণা করা হয়েছে শুক্রবার বিকেলে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সূত্রে জানা গেছে, তারা আশা করছে আগামী ৫ এপ্রিল থেকেই মাঠে গড়াবে লীগ। জানা গেছেÑ ক্লাবগুলো ২৫ লাখ টাকা অংশগ্রহণ অর্থ এবং পূর্বের পাওনাসহ অন্য কিছু বিষয়ে বাফুফের কাছে দাবি জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানান, ‘ক্লাবগুলোর দাবি মানার বিষয়ে বাফুফে আন্তরিক। আশা করছি তাদের সব দাবি পূরণ করা সম্ভব হবে। কাজেই আমরা আশা করছি আগামী ৫ এপ্রিল থেকে লীগ শুরু করতে পারব।’ গত ২০১৩-১৪ মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের পৃষ্ঠপোষক হয়েছিল নিটল টাটা। মৌসুম-সূচক ‘ফেডারেশন কাপ অনুষ্ঠিত হয় টাইটেল স্পন্সর ছাড়াই। প্রিমিয়ার লীগের স্পন্সর এখনও সংগ্রহ করতে পারেনি বাফুফে। তবে আলোচনা চলছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। ‘আশা করছি দু-একদিনের মধ্যেই আমরা লীগের স্পন্সরশিপের বিষয়ে আপনাদের সুখবর জানাতে পারব।’ যোগ করেন সোহাগ। উল্লেখ্য, ফেডারেশন কাপ শেষ হওয়ার পর প্রিমিয়ার লীগ শুরুর প্রথম তারিখ ছিল গত ৯ মার্চ। কিন্তু এএফসি অনুর্ধ-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বের খেলার কারণে পিছিয়ে যায় লীগ। নতুন তারিখ ধার্য হয় ৩ এপ্রিল। এ উপলক্ষে গত মার্সের প্রথম সপ্তাহে পেশাদার লীগ কমিটির সভায় প্রিমিয়ার লীগের ক্লাবগুলো অনুরোধ করে লীগের খেলা যেন পিছিয়ে দেয়া হয়। সে সভায় প্রিমিয়ার লীগসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টে ক্লাবগুলোর অংশগ্রহণ ফি, প্রাইজমানি ফি, ঢাকার বাইরে মানসম্মত ভেন্যু, বিভিন্ন খেলা বাবদ বাফুফের কাছে বিভিন্ন ক্লাবের পাওনা আদায় প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। গত মৌসুম ১০ দল নিয়ে লীগের খেলা হয়েছিল তিন লেগে। এ নিয়ে অনেক সমালোচিত হয়েছিল বাফুফে। এবার তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই লেগেই হবে লীগ। তবে দল বাড়বে একটি (১১টি)। নিয়মিত খেলা হলে লীগ শেষ হতে চার মাসের বেশি সময় লাগবে নাÑ জানান সোহাগ। তিনি আরও জানান, দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য লীগের প্রথম পর্বের খেলাগুলো ঢাকাতেই অনুষ্ঠিত হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ঢাকার বাইরে হবে দ্বিতীয় পর্বের খেলা। যদিও এর আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ছাড়াও প্রিমিয়ার লীগের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল গোপালগঞ্জ শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম। ফেডারেশন কাপ শেষ হলে লীগের জন্য ঢাকার বাইরে ভেন্যু বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাফুফে। পরে উল্টো কমানো হয় ভেন্যু সংখ্যা। দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হলেও ঢাকার বাইরে দুটির বেশি ভেন্যুতে লীগ আয়োজন করা যেত না। কারণ, গোপালগঞ্জ ও চট্টগ্রাাম ছাড়া কোন ভেন্যুই প্রস্তুত হয়নি এই লীগের জন্য। এক চট্টগ্রাম এবং গোপালগঞ্জের ভেন্যুই প্রস্তুত আছে। গত মৌসুমে ফেনীতে খেলা হলেও এ স্টেডিয়ামটির এখনও প্রত্যাশিত উন্নতি হয়নি। সাধারণত লীগ শুরুর আগে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতা কাপের আসর। কিন্তু মার্চ গড়িয়ে এপ্রিল চলে যাচ্ছে। এখনও মাঠে গড়ায়নি স্বাধীনতা কাপের খেলা। কারণটা কী? গত মৌসুমের সুপার কাপের মতো কী এবার স্বাধীনতা কাপও অনুষ্ঠিত হবে না? ‘অবশ্যই হবে। তবে এবার লীগ শেষ হওয়ার পর এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের সঙ্গে সিডিউল মিলিয়ে সুবিধাজনক সময়ে আমরা স্বাধীনতা কাপ আয়োজন করব।’ অভিমত সোহাগের। এখন দেখা যাক, এ বছর বাংলাদেশ জাতীয় দল কোন কোন টুর্নামেন্ট খেলবে। জুনে এএফসি অনুর্ধ-২২ এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইপর্ব, জুলাইয়ে এএফসি অনুর্ধ-১৯ এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইপর্ব, সেপ্টেম্বরে এএফসি অনুর্ধ-১৬ এশিয়া কাপ ফুটবলের বাছাইপর্ব এবং ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। লীগ শেষ হবে আগস্টে। তাহলে ওই মাসেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ‘স্বাধীনতা কাপ’।
×