ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আবার ফিরে এলো বিপিএল ফিক্সিং!

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৪ এপ্রিল ২০১৫

আবার ফিরে এলো বিপিএল ফিক্সিং!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) ফিক্সিং কা-ের জন্য বিচার পরিচালনা করে ইতোমধ্যেই শাস্তি পেয়েছেন দোষীরা। সে জন্য বিষয়টি চাপাই পড়ে গিয়েছিল। তবে আবার নতুন করে আলোচনার ঝড় উঠেছে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কোচ হিসেবে সে সময় দায়িত্ব পালন করা ইয়ান পন্টের মন্তব্যে। সম্প্রতিই তিনি আবার নতুন করে বিষয়টি তুলেছেন মূলত নিজের পারিশ্রমিক বাকি আছে এমন দাবি করে। ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে তিনি গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে আরও ৪ হাজার মার্কিন ডলার পাওনা রয়েছেন এমন দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তাকে ম্যাচ গড়াপেটার আহ্বান জানালেও রাজি না হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আইসিসি দুর্নীতি দমন বিভাগের (আকসু) কর্মকর্তা পিটার ও’শি কে জানিয়েছিলেন। পন্টের এসব মন্তব্যকে উদ্দেশ্যমূলক, বিভ্রান্তিকর ও হাস্যকর বলে দাবি করেছে গ্ল্যাডিয়েটর্স কর্তৃপক্ষ। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চিটাগাং কিংসের বিরুদ্ধে গ্ল্যাডিয়েটর্সের হওয়া ম্যাচটা নিয়েই সবার মধ্যে প্রশ্ন। সেই ম্যাচটি গড়াপেটা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর সেই ম্যাচটা নিয়েই পন্ট নতুন করে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘শিহাব চৌধুরী কোন কোন খেলোয়াড় ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত আছেন তাদের নামও বললেন। আমি ভয় পেয়েছিলাম। শেষমেশ পিটারের সঙ্গে কথা বললাম। ফিক্সিংয়ে জড়ানোর জন্য আমাকে টাকার প্রস্তাব করা হয়েছিল। জিসান আমাকে ৬ হাজার মার্কিন ডলার দিতে চেয়েছিলেন। তবে আমি এটা চাইনি। তাকে শুধু বলেছিলাম, আমার বেতন চাই। এসব রেকডিংও আমরা দিয়েছি।’ ম্যাচের পর পন্ট ৬ হাজার ডলার পেয়েছিলেন। সে বিষয়ে তার দাবি, ‘দুই দিন পর দলের খেলোয়াড় ও কোচদের খাম ভরে টাকা দেয়া হয়েছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আমাকে ১০ হাজার ডলার বেতন দেবে। কিন্তু খাম খুলে দেখি ৬ হাজার ডলার। আমি বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে সঙ্গে সঙ্গে পিটারকে জানালাম। তিনি বললেন, রেখে দেন। ওটা আপনার বেতনের টাকা। তাদের কাছে এখনও আপনার ৪ হাজার ডলার পাওনা। কিন্তু তারা বাকি ৪ হাজার ডলার আর দেয়নি।’ পন্টের এমন বক্তব্যের পর এর প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্ল্যাডিয়েটর্স কর্তৃপক্ষ। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পন্টের প্রায় বক্তব্যই ভুল, বিভ্রান্তিকর, তুচ্ছ এবং উদ্দেশ্যমূলক। আমরা তার প্রত্যাশামাফিক পূর্ণ বেতন পরিশোধ করেছি চুক্তি অনুসারে। তিনি এর পর একটি রিসিপে স্বাক্ষরও করেছেন। ৬ হাজার ডলারের বিষয়টি যেভাবে বলা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর। এটা ছিল তার সঙ্গে কাজের জন্য চুক্তির টাকা। কিন্তু তিনি এখন কোন কারণে অবস্থান বদলে সেটাকে অবৈধ কিংবা ঘুষ হিসেবে চালিয়ে দিতে চাচ্ছেন। আর তিনি যদি সে সময় ভয়ই পেয়ে থাকেন তবে কেন নিজ দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি? এমনকি কোন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গেও কথা না বলে শুধু পিটারের সঙ্গেই আলোচনা করেছেন। পন্ট এবং পিটার উভয়ের বক্তব্যে যথেষ্ট ফারাক রয়েছে ট্রাইব্যুনালে বলা কথার সঙ্গে। বলা হয়েছে সিহাব চৌধুরীরর সঙ্গে কথোপকথনের কথিত রেকর্ডিং আছে। বলা হয়েছে পিটার অডিও এবং ভিডিও উভয় ধরনের রেকর্ডিং যন্ত্র স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কোন রেকর্ডিংই ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির করা হয়নি। শুধু পন্টের ল্যাপটপে সুন্দরভাবে রেকর্ডিং করা একটি প্রমাণ হাজির করা হয়েছিল ১৪ দিন পর। সে কারণে বলতে চাই এ ধরনের কোন আলোচনাই আসলে হয়নি সিহাব ও পন্টের মধ্যে।’
×