ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিসিবি ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে পিসিবিকে

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৫ এপ্রিল ২০১৫

বিসিবি ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে পিসিবিকে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই বছর আগে ২০১২ সালে পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে যায়নি বাংলাদেশ। এ জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) ক্ষতিপূরণ দেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেই ক্ষতিপূরণের আশ্বাস পেয়েই মূলত ১৩ এপ্রিল সিরিজ খেলতে আসার নিশ্চয়তা দিয়েছে পিসিবি। শুরুতে পিসিবি দাবিই করে বসেছিল, সিরিজের ৫০ ভাগ লভ্যাংশ দিতে হবে। কিন্তু বিসিবি কোনভাবেই এতে রাজি হয়নি। কারণ আসন্ন বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজটি বাংলাদেশের হোম সিরিজ। তখন পিসিবি কথা ওঠায়, যেহেতু ২০১২ সালে পাকিস্তানের হোম সিরিজটি খেলতে যায়নি বাংলাদেশ, তাই এটিই পাকিস্তানের হোম সিরিজ। এমনকি পিসিবি থেকে দুবাইয়ে খেলার কথাও বলা হয়। কিন্তু বিসিবি শেষ পর্যন্ত খেলতে না যাওয়া সিরিজে পাকিস্তানের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ দেবে। আর তাই পাকিস্তানও খেলতে আসছে। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশ্বাস পেয়েই চলতি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশ দলের দুটি সফর বাতিল করায়, এ ক্ষতিপূরণ দিবে বিসিবি। এমন তথ্য জানিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনই। আসন্ন পাকিস্তান দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে দুই বোর্ডের মাঝে অনেক জল ঘোলা হয়েছিল। পিসিবি এটিকে তাদের হোম সিরিজ দাবি করেছিল। সঙ্গে সিরিজের লভ্যাংশের ৫০ ভাগও চেয়েছিল পিসিবি। বিসিবি অবশ্য নিজেদের হোম সিরিজের দাবিতে অটল ছিল। তবে পিসিবিকে সফরে রাজি করিয়েছে বিসিবি, ক্ষতিপূরণ দিবে জানিয়ে। আর ক্ষতিপূরণ হবে, ১ থেকে ৩ লাখ ডলার। ক্রিকইনফোয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘আগের দুই সফর নিয়ে ওদের সঙ্গে যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে তার অবসান চাই। আমরা সেই সফরের ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেব। যার পরিমাণ হবে আনুমানিক এক লাখ থেকে তিন লাখ মার্কিন ডলার।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর পিসিবির সঙ্গে কোন ঝামেলা নেই। ওরা প্রথমে এই সফর থেকে ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দাবি করেছিল। এরপর এটাকে নিজেদের হোম সিরিজও দাবি করেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি এটা আমাদের হোম সিরিজ। আইসিসির একটি নিয়ম আছে যদি কোন দেশ সফরে রাজি হওয়ার কথা বলে সফর বাতিল করে তাহলে আয়োজক বোর্ডকে ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। আমরা সেই ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি আছি।’ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এতে করে লাভবানই হচ্ছে। ২০১২ সালে পাকিস্তানের পরিস্থিতি ভাল ছিল না। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর জঙ্গী হামলার পর টেস্ট খেলুড়ে কোন দেশই পাকিস্তানে খেলতে যায়নি। বাংলাদেশ তবুও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পাকিস্তান সফর নিয়ে মামলা হওয়ায় আর যাওয়া হয়নি। সেই সফরে না যাওয়ার ক্ষতিপূরণই এখন দিতে হবে বিসিবিকে। অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়া উচিত ম্যাককুলামের স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের জাদুকরী নেতৃত্ব নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে জাগিয়ে তুলেছে এবং অন্তত আগামী বছরের টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিন ফরম্যাটেই এ তারকা ব্যাটসম্যানের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিং। গত বছর থেকে নিজ মাঠে ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডজ এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয় করেছে নিউজিল্যান্ড। ৫০ ওভার ফরম্যাটেও দারুণ করে আসছে কিউইরা। ম্যাককুলামের নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলে নিউজিল্যান্ড। মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত ফাইনালে শিরোপা জয় করেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে ছয় সপ্তাহ ব্ল্যাক ক্যাপসরা আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে একনাগারে আট ম্যাচে জয়ের রেকর্ড গড়েছেন এবং কোটি মানুষের স্বপ্নের দলে পরিণত হয়েছে। বিশ্বকাপের পর পরই সাবেক অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টরি এবং পেসার কাইল মিলস অবসর ঘোষণা করেছেন। তবে ফ্লেমিংয়ের আশা ৩৩ বছর বয়সী ম্যাককুলাম তার ‘ভাল কাজ’ অব্যাহত রাখবে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের নিজস্ব ওয়েবসাইটের কলামে ফ্লেমিং লিখেছেন, ‘আমি আশা করছি ভবিষ্যতে সুন্দর একটি দল উপহার দেয়ার জন্য তিন ফরম্যাটেই সে তার দায়িত্ব অব্যাহত রাখবে। সে একজন ইতিবাচক অধিনায়ক যে কিনা উদাহরণযোগ্যভাবে নেতৃত্ব দেয় এবং যদিও পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে কেন উইলিয়ামসনকে বিবেচনা করা হচ্ছে তথাপি আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য টি২০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ম্যাককুলামের অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাওয়াটাই হবে কিউইদের জন্য আদর্শ এবং কোচ মাইক হেসনকে তার দায়িত্ব এভাবেই চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
×