ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৬ এপ্রিল ২০১৫

আমতলীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৫ এপ্রিল ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে পাউবো বরগুনা জেলার আমতলী, তালতলী, বরগুনা সদর ও পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী এ ৪টি উপজেলা মিলে এক প্যাকেজে ২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ মেরামত কাজ, ৪৩ টি স্লুইজগেট মেরামত, ৪২টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ ও ১৭টি দু’ব্যান্ডের নতুন স্লুইজ গেট নির্মাণ ও ৮৬ কিলোমিটার নদী ভাঙ্গন এলাকায় সিসি ব্লক স্থাপন কাজ রয়েছে। দু’বছর মেয়াদী এ কাজে শুরু হয়েছে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। আমতলীতে ২৫ কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার কাজ চলছে। ৪৩/১ পোল্ডারের ৫ কিলোমিটার বাঁধের মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিজেরা কাজ না করে সাব লিজ দিয়েছে। দেখা গেছে লিজধারীরা কার্যাদেশ অনুসারে কাজ না করে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। উপজেলার পূর্ব ঘটখালী গ্রামের রেজাউল করিম (পান্না) অভিযোগ করেন পায়রানদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘটখালীতে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের কাজ সিডিউল অনুসারে করছে না। তিনি আরো অভিযোগ করেন কৃষি জমি কেটে বাঁধে মাটি দেয়া হচ্ছে। রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে কৃষি জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ করছে। বাঁধের পাশে গভীর খাদা তৈরি করছে। এতে যে কোন সময় বাঁধের মাটি ধসে পড়তে পারে। যা পরবর্তীতে নতুন বাঁধটি ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। এছাড়া সেকান্দার খালী, সুবন্ধী, রাওঘা, কুলাইচর, তক্তাবুনিয়া, হলদিয়া ও সোনাউঠা এলাকা ঘুরে দেখাগেছে কার্যাদেশে রয়েছে বাঁেধর উচ্চতা ১০ থেকে ১২ ফুট। বাঁধের, বাহির সাইডের ঢাল ২৯ এবং ভেতর সাইডের ঢাল হবে ২৬ ফুট। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বাঁধের উচ্চতা করা হয়েছে ৮/৯ ফুট। বাহির সাইডের ঢাল ২০/২২ ও ভেতর সাইডের করা হয়েছে ১৮/১৯ ফুট। এছাড়া বাঁেধর বাইর সাইডে বার্ব (ছোট আকৃতির ক্যানেল) রাখার কথা থাকলেও তা রাখা হয়নি। বরগুনা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম জানান কৃষি জমি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে তিনি বাঁধ মেরামত কাজ দেখার দায়িত্বের কথা স্বীকার করে বলেন কাজ চলমান তাই উচ্চতা ও ঢালের (স্লপ) বিষয় এ মুহুর্তে বলা যাবেনা।
×