ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সিটি নির্বাচনে আজ থেকে সীমিত প্রচার শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৭ এপ্রিল ২০১৫

সিটি নির্বাচনে আজ থেকে সীমিত প্রচার শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আজ থেকে সীমিত পর্যায়ে প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে আগামী ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পরই কেবল পূর্ণাঙ্গ প্রচারে নামতে পারবেন তারা। নির্বাচনী আইন ও বিধি অনুযায়ী কোন প্রার্থীর ২১ দিনের পূর্বে প্রচার চালানো নিষিদ্ধ। সোমবার রাত ১২টায় এ সময়সীমা শেষে হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে প্রার্থীরা আজ থেকে আচরণবিধি মেনে পথসভা বা ঘরোয় সভা করতে পারবেন। তবে জনগণের চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয় এমন কোন কোন পথসভা বা মঞ্চ তৈরি করা যাবে না। এদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী ১১, ১২ ও ১৩ এপ্রিল প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিয়ম সভার আয়োজন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ বলেন ১১ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মতবিনিময় সভা করা হবে। এ ছাড়া ১২ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের এবং ১৩ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের নিয়ে মতবিনিময় করা হবে। এ সভায় প্রার্থীদের নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলা ছাড়াও তাদের মতামত গ্রহণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সীমিত পরিসরে প্রার্থীদের প্রচারের বিষয়ে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকার উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগে সীমিত পরিসরে প্রচারের সুযোগ পাবেন। ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দের পর আচরণ বিধিমালা মেনে পুরোদমে প্রচার চালাতে পারবেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১০ এপ্রিল প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দ নিয়েই প্রার্থীরা পুরোদমে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়বেন। এর আগে আগামী ৯ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ধরা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যারা থাকবেন তারা সবাই নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবে। ফলে তাদের সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৪ ধারায় বলা হয়েছে কোন প্রার্থী বা তাঁর পক্ষ হতে কোন ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের একুশ (২১) দিন পূর্বে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের পূর্বে অর্থাৎ ৭ এপ্রিলের পূর্বে কোন ধরনের নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবে না। কেউ যদি আচরণবিধি অনুসরণ না করে প্রচার কর্যক্রম পরিচালনা করে তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কমিশনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা সোমবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। ফলে কোন প্রার্থীর পক্ষে সীমিত পরিসরে নির্বাচনে প্রচার চালাতে আর কোন বাধা থাকছে না। তবে কমিশন জানিয়েছে আচরণবিধি মেনেই প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার চালাতে হবে। কমিশন জানিয়েছে সীমিত পরিসরে আজ থেকে শুরু হলে প্রার্থীরা পূর্ণাঙ্গভাবে আচরণবিধি মেনে ১০ এপ্রিল গণসংযোগ করবেন। এটি আগামী ২৬ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে পারবে। নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। যানচলের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ থাকবে ওই দিন থেকেই। নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীকে কোন প্রার্থীকে ছাড় না দিতেও ইতোমধ্যে ইসির পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রার্থী অথবা তাঁর পক্ষে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা হবে।
×