স্টাফ রিপোর্টর ॥ ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর ৬৯ দিন পর প্রথমবারের মতো তার কবর জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া। সোমবার বিকেল পাঁচটা ৫০ মিনিটে তিনি কোকোর কবর জিয়ারত করতে যান। তিনি ছেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে পরিবারের সদস্য ছাড়াও আত্মীয় স্বজন ও দলের নেতাকর্মীরা ছিলেন।
বেগম জিয়া কোকোর কবরের পাশে গিয়ে প্রথমে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এক পর্যায়ে পুত্র শোকের কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এরপর তিনি কবরের পাশে চেয়ারে বসে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন। বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা এম এ মালেক কবর জিয়ারত অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন।
গত ২৪ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো মালয়েশিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় খালেদা জিয়া সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচী দিয়ে গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করেন। ফলে ২৭ জানুয়ারি কোকোর লাশ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে সরাসরি খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বেগম জিয়ার একনজর দেখার পর কোকোকে জানাজার উদ্দেশে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নেয়া হয়। এরপর তাকে সরাসরি বনানী কবরস্থানে দাফন কর হয়। কিন্তু এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয় থেকে একদিনের জন্যও বের হননি। ফলে তার ছোট ছেলের কবর জিয়ারত সম্ভব হয়নি। কার্যালয়ে টানা অবস্থানের কারণে নিজের মামলার হাজিরা থেকে বিরত থাকার কারণে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা পর্যন্ত জারি করে। দীর্ঘ ৯২ দিন তার গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করে অবশেষে গত রবিবারে বকশী বাজারের বিশেষ জজ আদালতে মামলায় হাজিরা দিতে যান। সেখান থেকে তিনি সরাসরি তার গুলশানে ফিরোজা বাসভবনে চলে যান। সোমবার বিকেলে ছোট ছেলের মাজার জিয়ারতে যান।
আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারতের সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নুরে আরা সাফা, শিরিন সুলতানা, শামা ওবায়েদ, খালেদা ইয়াসমিন, শাজাহান মিয়া সম্রাট, সুলতানা রহমানসহ অন্যান্য নেতাকর্মী।
এদিকে খালেদা জিয়ার মাজার জিয়ারত উপলক্ষে সেখানে কিছুসংখ্যক নেতাকর্মী ভিড় জমান। বনানী কবরস্থানে খালেদা জিয়া যাবেন এ সংবাদে আগেই থেকেই নেতাকর্মীরা মাজারে অবস্থান নিতে শুরু করে। খালেদা জিয়া বিকেল পাঁচটা ৫০ মিনিটে মাজারে যাওয়ার পর সেখানে কিছু দলীয় নেতাকর্মী হাজির হন। এ সময় সেখানে কিছুটা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
কাজী জাফরের সাক্ষাত ॥ জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদ খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: