ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আইএস জঙ্গীরা ব্রিটিশ মুসলিম টিনদের কাছে ‘পপ আইডল’

প্রকাশিত: ০৬:২০, ৭ এপ্রিল ২০১৫

আইএস জঙ্গীরা ব্রিটিশ মুসলিম টিনদের কাছে ‘পপ আইডল’

সিরিয়ায় শত শত মুসলিম ব্রিটিশ কিশোর-কিশোরীকে উগ্রপন্থী করে তোলার বিপজ্জনক পরিস্থিতির শিকার করে তুলছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গীরা। কারণ, এ সন্ত্রাসীদের তারা দেখছে পপ আইডল বা পরম আরাধ্য ব্যক্তি হিসেবে। ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় এক মুসলিম প্রসিকিউটর এ কথা বলেছেন। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। প্রসিকিউটর নাজির আফজাল মনে করেন, সম্প্রতি সিরিয়ার উদ্দেশে কিশোর-কিশোরীদের ব্রিটেন ত্যাগে এটা বোঝা যাচ্ছে যে, আগের চেয়ে আরও অনেক বেশি ছেলেমেয়ে জিহাদীপ্রবণ হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি বলেন, কিশোররা চাইছে সন্ত্রাসীদের মতো হতে এবং কিশোরীরা চাইছে তাদের সঙ্গী হতে। তাই তারা নিয়মিত আলোচনা করে এ বিটলদের সম্পর্কে। সন্ত্রাসীদের ওই বিটলদের মতো করে তোলার প্রচার চালাচ্ছে তারা। সন্ত্রাসীদের তুলনায় তারা তাদের নিজের জীবনকে দেখছে সমৃদ্ধিহীন হিসেবে এবং এটা তাদের অনুভবে নেই যে, তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে। সন্ত্রাসীরা তাদের ব্যবহার করছে যৌথভাবে। তারা এ কিশোর-কিশোরীদের নিপুণভাবে নিজেদের উদ্দেশ্যে কাজে লাগাচ্ছে, আত্মীয়স্বজন ও পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান হিসেবে সম্প্রতি পদত্যাগকারী নাজির আফজাল বলেন, তাঁর আশঙ্কা রয়েছে যে, ব্রিটেন সন্ত্রাস প্রতিরোধে সমাজভিত্তিক উদ্যোগ চালু না করলে আরও একটি ৭/৭ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সিরিয়া সম্পৃক্ত সন্ত্রাস অপরাধ সন্দেহে ডোভারে গ্রেফতার হওয়া ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে আরও সময় দেয়া হলে তিনি এ মন্তব্য করেন। পাঁচ তরুণ ও এক তরুণীকে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আটক করা হয়। এদের প্রত্যেকের বয়স ২০-এর কোটায়। প্রায় ৬শ’ মুসলিম তরুণ-তরুণী সিরিয়ায় আইএস যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য ব্রিটেন ত্যাগ করেছে বলে মনে করা হয়। আফজাল দাবি করেন, বিষয়টা নিয়ন্ত্রণে বর্তমান কৌশলের প্রায় পুরোটাই নির্ভর করছে পুলিশ ও নিরাপত্তা সার্ভিসের ওপর। তিনি বলেন, আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বুঝি, তথাকথিত কমিউনিটি নেতাদের সঙ্গে অসংখ্য বৈঠক অনুষ্ঠান করার জন্য পুলিশ হ্রাস করা হয় প্রায়ই। কিন্তু সন্ত্রাস নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং তাই সন্ত্রাস নির্মূলে নতুন করে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে আমাদের। তরুণ ব্রিটিশ মুসলিমদের নিয়ে একটি সেনাবাহিনী গঠনের কথা বলেন তিনি। এ বাহিনী ভবিষ্যত আইএস যোদ্ধা তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি থেকে ডোভারের তীর থেকে তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, মুসলিম কিশোর-কিশোরীদের দেশত্যাগ বন্ধ করতে এ ধরনের যুবকদের জড়িত করার প্রয়োজন রয়েছে। তারাই উগ্রতার উৎস বন্ধ করতে পারবে। উগ্রতা মাদকাসক্তের মতো।
×