ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভূগোল ও পরিবেশ

দশম শ্রেণির পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৭ এপ্রিল ২০১৫

দশম শ্রেণির পরীক্ষার প্রস্তুতি

(পূর্ব প্রকাশের পর) ২। ভূমিকম্প পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে একটি ডকুমেন্টরী বিটিভিতে প্রচারিত হলে রাতুল, মিতু, শুভ নির্দেশনামূলক প্রস্তুতি নেয়। গত সপ্তাহে স্কুলে এ সম্পর্কে একটি মহড়ার ব্যবস্থা করে। প্রতিবেশীদের ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগও তারা গ্রহণ করেছে। ক) বিপর্যয় কী? খ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যগুলো ব্যাখ্যা কর। গ) দুর্যোগ ব্যবস্থার চিত্রটি এঁকে দেখাও। ঘ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও গণসচেতনতার ভূমিকা উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন কর। সম্ভাব্য উত্তর : ক) বিপর্যয় হল কোনো এক আকস্মিক ও চরম প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট ঘটনা যা জীবন, সম্পদ ইত্যাদির ওপর প্রতিকূলভাবে আঘাত হেনে দুর্যোগ সৃষ্টি করতে পারে। খ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য তিনটি : র) দুর্যোগের সময় জীবন, সম্পদ এবং পরিবেশের যে ক্ষতি হয়ে থাকে তা এড়ানো বা ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা। রর) প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মধ্যে অল্প সময়ে সকল প্রকার ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং ররর) দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কাজে ভালভাবে সম্পন্ন করা। সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দুর্যোগপূর্ণ, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের কার্যক্রমকে বুঝায়। গ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার চক্র দুর্যোগ সংঘটন ও এর প্রভাব ঘ) উদ্দীপকের উল্লেখিত দুর্যোগটি ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের পূর্বে সতর্কাবস্থা জারি করা যায় না বলে এতে জনসম্পদ ও অর্থনৈতিক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। তবে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব। ক্ষয়ক্ষতির হ্রাসে প্রশিক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি হল উত্তম পদক্ষেপ। নিচে এ বিষয়টি মূল্যায়ন করা হল- দুর্যোগ প্রতিরোধে কাঠামোগত পদক্ষেপ : এর মাধ্যমে শক্তিশালী ও মজবুত অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাকে বুঝায়। এটি মূলত ব্যয়বহুল পদ্ধতি। ভূমিকম্প প্রতিরোধকারী ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত নির্মাণ কৌশল মেনে অবকাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। দুর্যোগ প্রতিরোধ অবকাঠামোগত পদক্ষেপ : এর মাধ্যমে শক্তিশালী ও মজবুত অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাকে বুঝায়। এটি মূলত ব্যয়বহুল পদ্ধতি। ভূমিকম্প প্রতিরোধকারী ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত নির্মাণ কৌশল মেনে অবকাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। দুর্যোগ প্রতিরোধ অবকাঠামোগত পদক্ষেপ : অবকাঠামো দুর্যোগ প্রতিরোধের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, জনসচেতনা বৃদ্ধি কার্যক্রম, পূর্ব প্রস্তুতি ইত্যাদি। এগুলো স্বল্প ব্যয়ের আওতাভুক্ত ফলে এককালীন প্রচুর অর্থব্যয়ের অবকাশ নেই। তাই গ্রাম, ইউনিয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহল্লা, কর্মপ্রতিষ্ঠান, যানবাহনে মহড়াভিত্তিক আলোচনা, সেমিনার, জনসভা, কর্মশালার আয়োজন করে এটি সম্পন্ন করা যায়। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী সতর্কতার নির্দেশনা যা মানুষকে সচেতন করে তোলে। দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কম হয়। দুর্যোগ-পরবর্তী সতর্কতার নির্দেশনা যা মানুষকে সচেতন করে তোলে। দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কম হয়। দুর্যোগ পরবর্তী করণীয় খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা, সাড়া দান, উদ্ধারের যথাযথ প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে যত বেশি জনগণ সচেতন হবে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তত বেশি সফলতা পাবে। উদ্দীপকের রাতুল, মিতু ও শুভর গ্রহণ করা মহড়া ও গণসচেতনতামূলক কার্যকাণ্ডকে তাই যথার্থই বলা যায়।
×