ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জুরাইনের কী হবে

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৮ এপ্রিল ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

পুরান ঢাকার একটি অবহেলিত এলাকা জুরাইন ধোলাইপাড় ও পোস্তগোলা এলাকা। এই এলাকার জনগণ নগরীর সকল প্রকার আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। রাস্তাঘাট বিধ্বস্ত, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, যানজট, রাস্তার দু-পার্শ্বে টং, ভ্যানগাড়ি ও মোবাইল দোকানপাটে ভরপুর, রাস্তার ওপর মল-মূত্রের গন্ধ ময়লা-আবর্জনা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই, শুধু ধুলো-বালিতে একেকার অহরহ লোডশেডিং, গ্যাস সংকট এবং পর্যাপ্ত ওয়াসার পানি নেই, এই এলাকায় স্কুল-কলেজ সংকট বখাটেদের উপদ্রব, ট্রেন চলাচলে ঘনঘন জুরাইন রেলগেট বন্ধ থাকা, রাস্তার ওপর বাজার, বাস-ট্রাক, টেম্পো, সিএনজি স্ট্যান্ড, রিকশার জটিলতা মাদক ও মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য, গরিব ও দারিদ্র্যতাসহ বিবিধ সমস্যা জুরাইন-পোস্তগোলা ও ধোলাইপাড় এলাকায় প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। পোস্তাগোলা, জুরাইন ও ধোলাইপাড় এলাকার বসবাসকারী অবহেলিত জনসাধারণের নিত্যকার সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ কেউ নেবেন কিনা, জানে না এলাকাবাসী। মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা। সন্ত্রাস নাশকতা ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনার কর্মকর্তার বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার প্রমাণ আর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নাশকতার নির্দেশের খবর সরকারের কেন্দ্র থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও কয়েকদিন আগে থেকে বইছে সমালোচনার ঝড়। পাকিস্তানী এ কর্মকর্তাকে প্রমাণসহ হাতে-নাতে পুলিশ আটক করেছিল, পরে হাইকমিশনের তৎপরতায় থানা থেকে মুক্ত হয়ে চলে যায়। ওই ষড়যন্ত্রকারী পাকিস্তানী কর্মকর্তাকে ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তান সরকারকে কঠোর হুশিয়ারি বার্তা পাঠানো অর্থহীন। বিএনপি-জামায়াত জোট পেট্রোলবোমা মেরে সাধারণ মানুষ মারার পাশাপাশি কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা যাতে এসএসসি পরীক্ষা দিতে না পারে সেজন্য দিনের পর দিন হরতাল দিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাবিদ, অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের আবেদন-নিবেদন সত্ত্বেও দেশজুড়ে দিনের পর দিন হরতাল দিয়ে যাচ্ছে ২০ দলীয় জোট। প্রায় ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের কথা উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত হরতালের ঘোষণায় স্তম্ভিত সারাদেশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের কাছে আহ্বান জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন- পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের অনেকের ভাগ্যে প্রবেশিকা পরীক্ষা পাসের সনদপত্র জোটেনি। তাদের কাছে শিক্ষামন্ত্রীর এত অনুরোধ, অনুনয় করাটা আমার কাছে যুক্তিসঙ্গত মনে হয়নি। এতসব কা--কারখানার পরেও তথাকথিত সুশীল সমাজ সন্ত্রাসী ও নাশকতাকারীদের কঠোর সমলোচনা না করে সন্দেহজনক আচরণ করছেন। দেখলাম মান্না খোকার কথোপকথন ফাঁস। সরকারকে ঝাঁকুনি দিতে ক্যাম্পাসে লাশ চাইলেন ‘মান্না’। এছাড়া আরও বললেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তৈরি শুধু ‘ভারত’ কে আনতে পারলেই কেল্লাফতে, শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত।’ মান্না এও বলেছেন, তিনি ও সাংবাদিক নুরুল কবীর ‘টকশো’ ডমিনেট করছেন। নুরুল কবীর কয়েকদিন আগে জঞই এর ‘টকশো’তে এসে বলেছেন- এমন সময় আসছে সরকার সংলাপ করতে চাইলেও সুযোগ পাবে না। এসব কথার মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, এ জাতীয় তথাকথিত ‘সুশীলবাজ’রা সন্ত্রাসী কর্মকা- ও বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত।তাঁদের এসব মন্তব্যের মাধ্যমেও উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসীরা উৎসাহিত হয় বলে মনে করে এ দেশের মানুষ। এ দেশের বামপন্থীরা সাদা ও কালোর পার্থক্য করতে পারেন না। তাদের কাছে সবই কালো বরঞ্চ সাদাকে অধিকতর কালো মনে হয়। সে যাই হোক, যে যতই ষড়যন্ত্রে করুক এ দেশের অপরাজেয় বাঙালী জাতি দেশব্যাপী চলমান সহিংসতা-নাশকতার জন্য দায়ী অপরাধী চক্রকে পরাজিত করবেই, করবে। ততদিন এ দেশের সাধারণ মানুষ সুস্থ থাকুন, শান্তিতে থাকুন এ প্রার্থনা করি। ‘সর্বে ভবন্ত সুখিন।’ অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী ময়মনসিংহ। নির্বাচনী জরিপ সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে, দেশ বিদেশে জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচনের ওপর জনমত জরিপ পরিচালিত হয়ে থাকে। কিছু প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং এনজিও নির্বাচনের ওপর জরিপ পরিচালনা করে। কোন দল অথবা কোন ব্যক্তি নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে তার আগাম বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং জরিপ সংক্রান্ত কার্যক্রম কতটুকু সঠিক এবং নির্ভুল তার সম্পর্কে সন্দেহ থাকে প্রচুর। তাছাড়া এসব জনমত জরিপ ভোটারদের শুধু বিভ্রান্তই করে না, কাকে ভোট দেবে কোন দলকে ভোট দেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করে থাকে। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স এবং সোশ্যাল মিডিয়া খুবই শক্তিশালী। প্রচার মাধ্যমগুলো খুব দ্রুত জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনী মিথ্যা সংবাদ, তথ্য এবং জরিপ ফলাফল ইত্যাদি প্রচার করে থাকে। নির্বাচন সংক্রান্ত এ ধরনের জরিপ পরিচালিত হতে থাকলে গণতন্ত্র বিকাশে এবং অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অনেকের ধারণা। এ ধরনের কর্মকা- আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাগুলো জড়িত থাকে। সংশ্লিষ্ট জরিপকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক এ কাজ করে থাকে। অতএব, আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে তথাকথিত জরিপ পরিচালনা, ফলাফল প্রকাশ এবং প্রচার বন্ধে, সজাগ, সচেষ্ট এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে। আশা করি এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে এবং রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র চর্চার স্বার্থে একমত হবে। মাহতাব আলী মিরপুর, ঢাকা। সারা বছর হোক বইমেলা একমাত্র বই-ই পারে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে, অসৎ পথ থেকে সৎ পথে ফিরিয়ে আনতে। লক্ষনীয় অপরাধী কারাগারে থেকেও জ্ঞান অর্জন করে। যাদের মাঝে বই পড়ার প্রবণতা বেশি, তাদের মধ্যে অপরাধের প্রবণতাও একেবারে কম। এমনকি তারা কাউকে অহেতুক কটুকথা, নিন্দামন্দও করে না। বইয়ের সঞ্চিত জ্ঞানই মানুষকে কোন অপরাধ কর্ম থেকে বিরত রাখে। আজ যে সামাজিক অবক্ষয়, অকর্ম-কুকর্ম আমাদের সমাজকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে, তার পেছনে মূলত বই না পড়ার প্রবণতাই দায়ী । অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দেশে জাতীয়ভাবে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় বছরে শুধু একবারই বইমেলার আয়োজন করা হয়। বইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে, মানুষকে বইমুখী করতে বছরে শুধু একবারই বইমেলা যথেষ্ট নয়। এজন্য চাই ফেব্রুয়ারি মাসের মতোই প্রতিবছরে জাতীয় দিবসে জেলায় জেলায়, থানায় থানায় অন্ততপক্ষে এক সপ্তাহব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হোক। তাতে একদিকে যেমন প্রকাশনা শিল্প উপকৃত হবে, প্রকাশকরা বই প্রকাশ করতে উৎসাহ পাবেন, তেমনি পুরনো লেখকরা নতুন নতুন বই লেখার উৎসাহ পাবেন ও নতুন নতুন লেখকের বই প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর তাহলেই সমাজে অপরাধের ব্যপকতা কমবে, দেশ হবে শান্তি ও সমৃদ্ধময়। বই হোক মানুষের নিত্য সঙ্গী। মিলন সরকার ঢাকা। বিলুপ্ত শ্মশান মৌলভী বাজার জেলার বড়লেখার পানি ধারে স্বর্গীয় রাম পুরকায়স্থের বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের কাছে সাবেক দাগ নং-৬৮৬, হাল দাগ নং-৮৭৯ যা হাল কাঁঠালতলী মৌজার জেল নং ১০৩, সিট নং ১ এ প্রদর্শিত রয়েছে, তা পুনঃসংস্কার করে একটি রাস্তা দ্বারা সিএন্ডবি রাস্তার পূর্ব প্রান্তের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিলে পানিধারের পূর্ব-পশ্চিম উভয় প্রান্তের বিপুল সংখ্যক হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃত দেহ সৎকার নিদৃষ্টস্থান পুনরায় কার্য্যকর হলে মরদেহ পোড়ানোর ভোগান্তি থেকে মানুষ মুক্তি পাবে। উল্লেখ্য, এটা সিএন্ডবি সড়কের কাছাকাছি বলে অতি সহজে গ্যাস পাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া যে জায়গা দিয়ে গ্যাস লাইন নেয়া অতি সহজ তাও রামকুমার পুরকায়স্থের দেবোত্ত্বর সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত। এটা তিনি জনগণের মঙ্গলের জন্যই করে গিয়েছেন, তাই তাঁর সম্পত্তির বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকলের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান করে গেছেন। কবরস্থান, স্কুল, বাজার সবই এর অন্তর্ভুক্ত। এই শ্মশানটি সে সবের একটি ছিল। তাঁর স্ত্রী মোক্ষদা সুন্দরীর পিতার আর কোন সন্তান না থাকায় সম্পত্তিটি আমার দাদা মশাই রামকুমার পুরকায়স্থ পান। তাই মোক্ষদা সুন্দরীর নামে শ্মশানটি করলে একটি মহত কাজ করা হবে। ১৯৬৫ সালের পর এটা আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যায়। এটা পুরনায় প্রতিষ্ঠিত হলে সিএন্ডবি রাস্তার উভয় পাশের হিন্দু সম্প্রদায় উপকৃত হবে। শব-দেহ সৎকারের অনেক সুবিধা হবে কেননা শ্মশানটির অনতিদূরে গ্যাস লাইন রয়েছে সিএন্ডবি রাস্তার সঙ্গেই। তাই সরকার যদি পানিধারের বিপুল সংখ্যক হিন্দু সম্প্রদায়ের এ কাজটি অতি দ্রুত করতেন তবে জনগণ ভাববেন সরকার মনে প্রাণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর দৃষ্টি রাখছেন। রাধাকান্ত রায় বড়লেখা, মৌলভীবাজার।
×