ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বাস্থ্য দিবসের আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

খাদ্যে ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তি চাই

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৮ এপ্রিল ২০১৫

খাদ্যে ভেজালকারীদের মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোর শাস্তি চাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্য ভেজালকারীদের জন্য মৃত্যুদ-ের মতো কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলেন মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, খাদ্য ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয়, তাদের বিরুদ্ধে আপনারা প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি খাবার গ্রহণে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা কঠোর আইন করেছি কিন্তু এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই খাদ্যে ভেজালকারীদের মৃত্যুদ-ের মতো আরও কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন হওয়া উচিত। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর আরও কঠোরভাবে কাজ করতে হবে, অন্যথায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যাবে না। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাস্থ্য দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার-সুস্থ জীবনের অঙ্গীকার’ স্লোগানে মঙ্গলবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালেক, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডাঃ দীন মোঃ নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক নূর হোসেন তালুকদার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি এন পারানিথারান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশে প্রতিনিধি ডেভিড ডব্লিউ ডোনার্ট প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা একাত্তরে পাকিস্তানীবাহিনীকে পরাজিত করেছি। এখন রাজাকারদের বিচার করতে পারলে, ভেজাল খাদ্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারব। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। আইন কঠোর হলে খাদ্যে ভেজাল রোধ করা সম্ভব হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা যদি সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করি, তাহলেই খাবারে ভেজাল মেশানো বন্ধ করা সম্ভব হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করলে আমি আশা করি, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ভেজাল খাবার বলে কিছুই থাকবে না। ‘ডাক্তাররা গ্রামে থাকতে চায় না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রামে বেশি মানুষ বাস করে, সংবিধান অনুযায়ী তাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তাহলে গ্রামে কেন ডাক্তাররা থাকবে না? আমি যতদিন এই দায়িত্বে আছি ডাক্তারদের গ্রামে থাকার ব্যবস্থা করবই এবং তাদের দুই বছরের আগে কোন বদলি করা হবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বাজারে এত ভেজাল খাদ্যের কারণ খাদ্য এবং স্যানিটারি তদন্তকারীরা সঠিকভাবে কাজ করে না। যারা কাজ করে না, তাদের এই বিভাগ থেকে বের করে দিতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আশা রাখি নিরাপদ খাবার ও জীবন নিশ্চিত করতে সামনের স্বাস্থ্য দিবস পালন করতে পারব। স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে চিকিৎসকদের গ্রামে থেকে মানুষকে চিকিৎসা প্রদানে উৎসাহিত করতে সরকার নিরলস প্রয়াস চালাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতে কোনরকম দুর্নীতি বা অনিয়ম রোধে আমরা বদ্ধপরিকর। যখনই কোন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে তখনই সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
×