ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচে জুনায়েদের ঝড়ো সেঞ্চুরি

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ৮ এপ্রিল ২০১৫

বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচে জুনায়েদের ঝড়ো সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তুললেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী। ১২৪ বলে ১২ চার ও ৪ ছক্কায় ১৩৬ রানের ইনিংস খেললেন। তার এমন ইনিংসের সুবাদেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে বিসিবি উত্তরাঞ্চল ৩২৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে। জবাবে তামিম ইকবালের দল ১৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান করার পর বৃষ্টি নামে। মঙ্গলবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে চলমান বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) ওয়ানডে টুর্নামেন্টে উত্তরাঞ্চল-ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের ম্যাচটা পরিত্যক্তই হয়ে গেল। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে দু’দলের মধ্যে। টস জিতে ব্যাট করতে নামা উত্তরাঞ্চলের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান ও জুনায়েদ উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে ১৬৮ রান যোগ করেন এ দু’জন ২৮ ওভারেই। মাহমুদুল ৯২ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রান করেন। সব নিয়মিত বোলাররা যখন জুটি ভাঙ্গতে ব্যর্থ, তখন পূর্বাঞ্চল অধিনায়ক মুমিনুল নিজেই দায়িত্বটা কাঁধে নিয়ে মাহমুদুলকে সাজঘরে ফেরান। নিজের পরের ওভারেই আবার মুশফিকুর রহীমকে (৪) শিকার করেন বোলার মুমিনুল। তবে জুনায়েদ খেলে যাচ্ছিলেন সাবলীল ভঙ্গিতেই। নাসির এদিন খুব বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও ১৩ বলে ২০ রান করে ফিরে যান। সাব্বির রহমান এসে ২৫ বলে ৫ চারে ৩২ রান করেন। এর আগেই জুনায়েদ সেঞ্চুরি আদায় করেন। ১৩৬ রান করার পর তিনি সাজঘরে ফিরলেও তখন বড় সংগ্রহ পেয়ে গেছে উত্তরাঞ্চল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩২৮ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। জুনায়েদের ব্যাটিং ঝড়ের পর সবার দৃষ্টি ছিল তামিমের দিকে। পূর্বাঞ্চলের ওপেনার বিশ্বকাপে রান খরায় ভুগেছেন। কিন্তু আবারও হতাশ করলেন জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য এ ওপেনার। সাজঘরে ফিরলেন মাত্র ১০ রানে। ব্যাট হাতে ওপেনার মাহমুদুল দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এসেই শিকার করলেন তামিমকে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই বল হাতে নিলেন উত্তরাঞ্চল অধিনায়ক নাসির। আর এসেই ফিরিয়ে দিলেন পূর্বাঞ্চলের নেতৃত্বে থাকা মুমিনুলকে। কোন রানের মুখ দেখতে পারেননি তিনি। তবে ওপেনার লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বেশ দ্রুতগতিতেই রান তুলছিল পূর্বাঞ্চল। তবে ১৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। এরপর আর খেলা হয়নি। লিটন ৩৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রানে আর তাসামুল হক ২৩ রানে ব্যাট করছিলেন। স্কোর ॥ উত্তরাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল ম্যাচ-ফতুল্লা উত্তরাঞ্চল ইনিংস- ৫০ ওভারে ৩২৮/১০ (জুনায়েদ ১৩৬, মাহমুদুল ৮০, সাব্বির ৩২, নাসির ২০; আরাফাত ৩/৫১, মুমিনুল ২/৩৩, নাবিল ২/৬৫, আবুল হাসান ২/৭৮)। পূর্বাঞ্চল ইনিংস ॥ ১৩ ওভারে ৮৪/২ (লিটন ৪৭*, তাসামুল ২৩, তামিম ১০, মুমিনুল ০; নাসির ১/১৫, মাহমুদুল ১/২৮)। ফল ॥ পরিত্যক্ত।
×