ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সতের বছর পর মার্টিনা হিঙ্গিস!

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৯ এপ্রিল ২০১৫

সতের বছর পর মার্টিনা হিঙ্গিস!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১৯৯৮ সালে শেষবারের মতো ফেড কাপের ফাইনালে খেলেছিলেন মার্টিনা হিঙ্গিস। এরপর কখনই এই ইভেন্টে খেলেননি তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছর অনুপস্থিত থাকার পর আবারও ফেড কাপে খেলতে যাচ্ছেন সুইস টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি মার্টিনা হিঙ্গিস। মঙ্গলবার ফেড কাপের জন্য ঘোষিত দলে ৩৪ বছর বয়সী এই হিঙ্গিসকে রেখেছেন সুইজারল্যান্ডের অধিনায়ক হেইঞ্জ গুয়েনথার্ডট। এর ফলে আগামী ১৮ থেকে ১৯ এপ্রিলেই ফেড কাপের কোর্টে নামবেন মার্টিনা হিঙ্গিস। এই মুহূর্তে মার্টিনা হিঙ্গিসের সময়টা দারুণ কাটছে। কেননা সদ্যসমাপ্ত মিয়ামি ওপেনেই যে দ্বৈতে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে জুটি ছিল সানিয়া মির্জা। এবারের মিয়ামি ওপেন ছিল সানিয়া-হিঙ্গিসের দ্বিতীয় খেতাব। মিয়ামি ওপেনের ফাইনালে মাকারোভা-ভেসনিনাকে ৭-৫ এবং ৬-১ গেমে হারিয়ে শিরোপা জয়ের স্বাদ পান তারা। সেইসঙ্গে ডাবলসের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার জন্য আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন হিঙ্গিসের জুটি সানিয়া মির্জা। বিএনপি পরিবাস ওপেনের পর মিয়ামি ওপেন। পরপর দ্বিতীয় খেতাব এই ডাবলস জুটির। সানিয়া মির্জা ও মার্টিনা হিঙ্গিস অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছেন সামনের দিকে। হিঙ্গিসকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ামি ওপেন জিতলেন হায়দরাবাদী টেনিস নক্ষত্র। টুর্নামেন্টের ফাইনালে তারা মাকারোভা-ভেসনিনা জুটিকে ৭-৫ এবং ৬-১ গেমে পরাজিত করেন। যদিওবা হিঙ্গিস এবং সানিয়া মির্জার ফাইনালের শুরুটা মোটেই ভাল হয়নি। প্রথম সেটে ২-৫-এ পিছিয়ে পড়েছিলেন তারা। সেখান থেকেই টানা আট গেম জিতে নেন। আর দ্বিতীয় সেটে তো প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেননি রাশিয়ার দ্বিতীয় শীর্ষ-বাছাইদের। মিয়ামি ওপেনে ক্যারিয়ারের ২৫তম ডব্লিউএ ডাবলস খেতাবটি জিতে নতুন একই মাইলফলকও স্পর্শ করেন সানিয়া মির্জা। এগোলেন আর একটা মাইলস্টোনের লক্ষ্যে। সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৭৪৯৫ পয়েন্ট নিয়ে পৌঁছে গেলেন ডাবলসে। শীর্ষ স্থানে ফেরার খুব কাছাকাছি অবস্থানে চলে এসেছেন তিনি। পয়েন্ট তালিকায় এখনও তিনি ৩ নম্বরেই। শীর্ষ বাছাই ইতালির সারা ইরানি ও রবার্তা ভিঞ্চির চেয়ে মাত্র ১৪৫ পয়েন্ট দূরে। এই সপ্তাহেই চার্লসটনে শুরু হতে চলেছে ফ্যামিলি সার্কেল কাপ। টুর্নামেন্টে শীর্ষ বাছাই সানিয়া মির্জা ও মার্টিনা হিঙ্গিস জুটি। এক নম্বর জায়গাটাই এখন পাখির চোখ তাদের। সেখানে পৌঁছতে গেলে এই টুর্নামেন্ট যে জিততেই হবে সেটাও তাদের বেশ ভাল জানা। ১২ বছর বয়সে শুরু। ১৯৯৩ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের জুনিয়র শিরোপা জিতে টেনিস কোর্টে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯৭ সালে একসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান, উইম্বলডন আর ইউএস ওপেন জেতেন এই হিঙ্গিস। যার নামের প্রথম অংশ ‘মার্টিনা’ এসেছে কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড় মার্টিনা নাভ্রাতিলোভার কাছ থেকে। ১৯৯৮ ও ৯৯ সালে আবারও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতেন হিঙ্গিস। এছাড়া ডাবলস ও মিক্সডেও নিজের জাত ছিনিয়েছেন এই সুইস তারকা। কিন্তু টেনিসকে বিদায় নিয়েছিলেন মূলত ইনজুরির কারণেই। ২০০৩ সালে গোড়ালির চোটের কারণে প্রথমবার অবসর নিয়েছিলেন তিনি। তখন তার বয়স ছিল ২২। টেনিসের টানে অবশ্য তিন বছর পরই আবারও কোর্টে ফিরেন তিনি। কিন্তু ২০০৭ সালে ড্রাগ নেয়ার অভিযোগ উঠলে আবারও অবসরের ঘোষণা দেন। হিঙ্গিস নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন তাকে দুই বছর নিষিদ্ধ করে। টেনিস কোর্টে দ্বিতীয়বার ফেরার পর থেকেই আলো ছড়াচ্ছেন এই সুইস তারকা। এবার প্রায় দেড় যুগ পর ফেড কাপে ফিরেও নিজেকে মেলে ধরতে চান মার্টিনা হিঙ্গিস।
×