ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোবাইলে বাংলা লিপি

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১১ এপ্রিল ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

মোবাইল ফোনে প্রতিনিয়ত দেখছি সরকারের পক্ষথেকে যে সব এসএমএসগুলো পাঠানো হয়, তা সবই রোমান হরফে বাংলা লেখা হয়। সাধারণ মানুষের এগুলো পড়তেও বেশ অসুবিধা হয়। অনেকেই এগুলো বুঝতেও পারেন না। এসএমএসগুলো কি বাংলা লিপিতে লিখা যায় না? এদেশের সরকারী ব্যবস্থায় কি বাংলা লিখার কোন পরিকল্পনা নেই? বাংলা ভাষার প্রতি একি চরম অবহেলা নয়! যে বাংলা ভাষার বাংলা লিপির জন্য এ দেশের সন্তানেরা রক্ত দিল, জীবন বিসর্জন দিল এদেশের সরকারী কর্মকর্তারা তাদের সেই জীবন দানের প্রতি কোনই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। একি সরকারী কর্মকর্তাদের চরম অবহেলা নয়! তারা কি বিদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন? কেন বাংলা লিপি ব্যবহার হচ্ছে না? যেখানে বাংলা ভাষায় বাংলা লিপি কোম্পানিগুলোও কেন ব্যবহার করছে না, তা আশা করি সরকার থেকে খোঁজখবর নেবেন। সবকিছুই কি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে হবে, নাকি আমাদের দেশের মন্ত্রণালয়ের সচিব বা অন্যান্য কর্মকর্তাদের কি কোনই দায়-দায়িত্ব নেই! অশোক কুমার সাহা কুমারখালী, কুষ্টিয়া। সম্পাদক সমীপে মুক্তিযোদ্ধারা নীরব কেন? এই ২০১৫ সালেও স্বাধীনতাবিরোধীদের সহায়তায় ওদের প্রজন্মরা একাত্তরের মতো মানুষের বাড়িঘর লুটপাট করে পুড়িয়ে মারল মানুষ। হাজারো যানবাহনে আগুন, ভাংচুর ছাড়াও ওরা কত না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিল। হাতেগোনা কতিপয় স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রজন্মের কাছে গোটা দেশের মানুষ বার বার জিম্মি হয়ে পড়ছে। ওদের এহেন নাশকতা ও তা-ব শুরু হয় ২০১৩ সাল থেকেই। বগুড়াসহ দেশের কয়েকটি শহরের মসজিদ থেকে ওরা মাইকে প্রচার করেÑ ‘সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে...’। অতঃপর সহজ-সরল বেয়াক্কল কতিপয় মানুষ স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রজন্মদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে এসে সামনে যা কিছু পেয়েছে তাতেই দিয়েছিল আগুন। মানুষ পুড়িয়ে কয়লা পর্যন্ত করেছিল। এ রকম তা-ব কোথায় না হয়েছেÑ সাতক্ষীরা, রাজশাহী, সীতাকু-, হাটহাজারী, রাউজান, সিলেট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও জ্বলেছে দিনের পর দিন। ওদের হাতে কোথাও কোথাও পুলিশ সদস্যরা পর্যন্তও নিহত হয়েছিল। আজও স্মরণ করিয়ে দেয় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মর্মান্তিক কাহিনী। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা দাবিদার সুস্থভাবে জীবনযাপন করছেন তাঁরা এর প্রতিবাদ করেছেনÑ এমন ঘটনা এখনও শুনিনি। কেন মুক্তিযোদ্ধারা কী পারেন না, বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের প্রজন্মদের নৈরাজ্য, নাশকতার বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে। পাড়া-মহল্লায়, মসজিদে-মসজিদে নামাজের আগে পরে স্বাধীনতাবিরোধী নাশকতকারীদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালালে ওরা সমাজে ঘৃণিত হিসেবেই চিহ্নিত হবে। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধারা দায়-দায়িত্ব এড়াতে পারেন না, কারণ তারা যে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে নিয়মিত ভাতাও নিচ্ছেন। বলুন, আগুনে পুড়ে পুড়ে মানুষ কয়লা হবে আর আপনারা ঘরের দুয়ার দিয়ে নীরব জীবনযাপন করবেনÑ এটা হতে পারে না। বেরিয়ে আসুন, সর্বত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলুন স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রজন্মদের বিরুদ্ধেÑ এটিই এখন দেখার প্রত্যাশায়। লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা। মাদকাসক্তি থেকে সাবধান ড্রাগের নেশা সর্বনাশা, বেহুলা লখিন্দরের নিñিদ্র লৌহ বাসরে যেভাবে কালনাগ প্রবেশ করে দংশন করেছিল, তেমনিভাবে সমাজের নিয়মনীতি কড়া পাহারা অতিক্রম করেছে এই ভয়ঙ্কর নেশা মাদকাসক্তি। গ্রাস করে ফেলছে এই সমাজ, এই নেশা বা মাদকাসক্তি সমাজকে বিষবাষ্পে ভড়িয়ে তুলছে, যা আমাদের শিক্ষিত-অশিক্ষত, সচেতন-অসচেতন, ধনি-গরিব, নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে এক ভয়াবহ ধ্বংস ও বিপর্যয়ের দ¦ারপ্রান্তে উপনীত করছে, যা ভয়ঙ্কর আতঙ্কের বিষয়। ুযে যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী সমাজ আমাদের এ দেশটাকে সোনার বাংলাদেশে পরিণত বা গড়বে তারা মাদকাসক্ত। বিষাক্ত সাপ এই মাদকাসক্তি বন্ধুরূপে এসেছে, এই মাদকাসক্ত যুবকদের মাঝে। এ মাদকাসক্তি সেই বন্ধু, যে বন্ধু বন্ধুর জীবন নামে ফুলটিকে ধ্বংস করতে দ্বিধা করে না। এই মাদকাসক্তি সামান্য সুখ, আজীবনের দুঃখ দিয়ে চলে যায়। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থ্যার প্রদত্ত সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ড্রাগ হলো এমন বস্তু যা জীবন্ত জীব গ্রহণ করলে তার এক বা একাধিক কার্যকলাপের ঈষৎ পরির্বতন ঘটায়। মাদকদ্রব্যের ফলে একটি মানুষ তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যায়। এদিকে তামাককেও মাদক বলা হয়। এই তামাকটি হচ্ছে একটি উদ্ভিদ থেকে সংগৃহীত পাতা, যার আছে ৪০০০ রাসায়নিক পদার্থ। তামাকের বেশ কিছু উপকরণ আছে। যেমনÑ সিগারেট, বিড়ি, জর্দ্দা, গুল, মতিহারি পাতা, গুলি তাক্কুর, সাদা পাতা, সিগারেট, চুরুট, খৈনি, মিস্কার ইত্যাদি। এ সব নেশা সেবন, পান বা ব্যবহারে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয়। যেমন- মানব শরীরের প্রতিটি অঙ্গ মাদক ও তামাকের ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাদকাসক্তি প্রতিরোধে বা প্রতিকারে মাদকের কুফল সম্পর্কে স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রসার ঘটানো এবং জনসচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। একবার মাদকাসক্ত হয়ে গেলে, সেখান থেকে ফিরে আসাটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। ইহকালে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করার কথা ভেবে আসুনÑ আমরা সকলেই বলি মাদক নয়, সুন্দর জীবন চাই। শামীম মিয়া সাঘাটা, গাইবান্ধা। আইসিসির কর্মকা- সদ্য শেষ হলো ১১তম বিশ্বকাপ ক্রিকেট। বিশাল আয়তনের পৃথিবী। এর ভেতরে শত শত দেশ, হাজার কোটি মানুষ। । মজার বিষয় হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বের সদস্য সংখ্যা মাত্র ১৫-২০টি। অথচ সারা বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ক্রিকেট দর্শক, ক্রিকেট ভক্ত, ক্রিকেট অনুরাগী। বিশ্ব ক্রিকেট পরিচালিত হয় দুর্নীতিমুক্ত একটি আন্তর্জাতিক কমিটির মাধ্যমে। যার রয়েছে গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা। ক্রিকেট সদস্যভুক্ত প্রতিটি দেশে কাউন্সিল। ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল নয়। কাউন্সিলের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আসছে। স্কুল একটি অথচ প্রধান শিক্ষক দু’জন। কারণ কি? ষড়যন্ত্র! সভাপতির পদ পুরনো এবং সভাপতি তাঁর পদে বহাল থাকলেও হঠাৎ করে গোপনীয়ভাবে রীতিনীতি অমান্য করে কমিটিতে চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টি করে সেই পদে ভারতের এক বিতর্কিত ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হয় চেয়ারম্যান হিসেবে। এবার অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে কোয়ার্টার ফাইনাল বাংলাদেশ-ভারত খেলায় বিতর্কিত আম্পায়ারিং -এর কারণে বাংলাদেশকে পরাজিত করা হয়। অভিযোগ আমলে নেয়া হয়নি। দ্বিতীয় আম্পায়ারিং ও রিপ্লে অমান্য করেন মূল আম্পায়ার। ফাইনাল খেলায় আইসিসির সভাপতি পুরস্কার বিতরণ করার যে বিধান সেটি ভঙ্গ করে ভারতের বিতর্কিত সেই ব্যক্তি পদ সৃষ্টি করে আইসিসির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়ে নিজেই পুরস্কার বিতরণ করে আইসিসিকে কলঙ্কিত করেন এবং বিশ্ববাসী এতে লজ্জিত হয়। শ্রীনিবাসনের হাত ও ক্ষমতা কত বড়? পাপন ভুল বলেছেন। পদত্যাগ সঠিক হয়েছে। মেছের আলী শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ। প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হোক অবশেষে জনতার হাতে ধরা পড়ল দুই জঙ্গী। প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ওয়াশিকুর রহমান ওরফে বাবুকে চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুইজন হিজড়া তাদের ঝাপটে ধরলে পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশ হাতেনাতে দুইজনকে গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকা-ে ব্যবহৃত দু’টি রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করা হয়। বাবু একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ‘বোকা মানব’ নামক তার একটি ব্লগ থাকলেও মূলত তিনি ফেসবুকে ধর্ম, বিজ্ঞান ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী লেখালেখি করতেন। সম্প্রতি অভিজিত রায়সহ আরও যাদের হত্যা করা হয়েছে তাদের প্রতিটি হত্যাকা-ের ধরন ছিল একই কায়দায়। অভিজিত হত্যাকা-টি রাতের আঁধারে সংঘটিত হওয়ায় হত্যাকারীরা নির্বিঘেœ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে এক মাস অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও পুলিশের ভাষ্যমতে, ক্লু লেস হত্যাকা- হওয়ায় খুনীদের এখনও শনাক্ত করতে পারেনি। অভিজিতের মার্কিন নাগরিকত্ব থাকায় সে দেশের এফবিআই উচ্চপ্রযুক্তি কাজে লাগিয়েও এ হত্যাকা-ের কোন সুরাহা করতে পারেনি। ফলে এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকা-টি নিয়ে দেশে-বিদেশে সাধারণ মানুষের মনে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। আর এ সুবাদে একশ্রেণীর উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী তাদের সঙ্গে সরকারবিরোধী কতিপয় ব্যক্তি যুক্ত হয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে টকশোর আড়ালে মানবতাবিরোধী এধরনের জঘন্য হত্যাকা-কে ‘তবে’ ‘কিন্তু’ খোঁজে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন। তারাই আবার এ দেশে জঙ্গীদের কোন অস্থিত্ব খুঁজে পায় না। এখন দেখার বিষয় জনতার হাতে আটক দুই মাদ্রাসা ছাত্রের জবানীতে যে হুজুরের কথা বেরিয়ে আসছে এ থেকে প্রকৃত সত্য জাতি জানতে পারে কিনা? শহীদুল আলম শহীদ বাকলিয়া, চট্টগ্রাম। কর প্রদানে অনীহা অখ- ভারতবর্ষে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার শাসনামলে এদেশীয় মীরজাফরদের সহযোগিতায় ব্রিটিশের প্রশাসন ঢুকে পড়ে। সৃষ্টি হয় ব্রিটিশের দালাল। ব্রিটিশরা এ উপমহাদেশে উপনিবেশ গড়লেও ছিলেন দুর্নীতিমুক্ত প্রায়। এদেশীয় মানুষের ওপর করপ্রথা চালু করলেও কর আদায়ে ঘুষবাণিজ্য ছিল না বললেই চলে। কিন্তু কর অনাদায়ে নির্যাতনের শিকার হতে হতো এদেশের সাধারণ মানুষের। ইদানীং কর ও হোল্ডিং ট্যাক্স না দিয়ে নিজেকে সাধুবেশে শয়তান সেজে বসে থাকে। অন্যদিকে অনেকে সাধু সেজেছেন। দেশ হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয়। উড়ো চিঠির মাধ্যমে নির্যাতিত হচ্ছে নিরীহ জনসাধারণ। তাই এ ধরনের হীনকর্মকা-ে জড়িত কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। এমএস সালাম পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম। অবসর ভাতা পাব কবে? ১৯৭৬ সালে এমএ পাস করার পর মহান শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করি। নিজ উপজেলায় উমানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়, গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কদমতলা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং প্রধান শিক্ষক পদে ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলাম। প্রায় ৩৬ বছর শিক্ষকতা করার পর অবসর গ্রহণ করি। ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে কল্যাণ ও অবসর ভাতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করি। আবেদনপত্র জমা নেয়ার সময় অফিস সহকারীদ্বয় জানান, ২ বছর পর কল্যাণ ভাতা এবং ৩ বছর পর অবসর ভাতা পাওয়া যাবে। এর পূর্বে ঘোরাঘুরি করে লাভ নেই। তাদের কথাই ঠিক। দরখাস্ত জমাদানের ২৭ মাস পরও কল্যাণ ভাতা পেলাম না। কবে পাব জানি না। খবর নিয়ে জানলাম আমার সিরিয়াল আসন্ন তবে ফান্ডে টাকা না থাকায় চেক ইস্যু হচ্ছে না। অফিসে কেউ কেউ বলেন, সব টাকা পদ্মা সেতু প্রকল্পে গেছে। সমন্বয় করতে সময় লাগবে। তাহলে আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে আমাকে? এদিকে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম অসুখ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছি দীর্ঘদিন ধরে। মাথাব্যথা, জ্বর, গ্যাস্ট্রিক. দুর্বলতা, টেনশন, টিউমার, ইত্যাদি সমস্যা প্রায় লেগেই আছে। অর্থাভাব এখন প্রকট। নিজের ন্যায্য পাওনাটা অতি সত্তর পেলে উপকৃত হতাম। মনোরঞ্জন রায় উলিপুর, কুড়িগ্রাম। শক্তিশালী করতে হবে এই সেদিন প্রধানমন্ত্রী র‌্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, চাঁদাবাজি, হত্যা, পেট্রোলবোমা হামলাকারী এবং নৃশংস কর্মকা-ে কাউকে ছাড় না দেয়ার জন্য র‌্যাবের প্রতি আহব্বান জানান। এ কথা বলার অবকাশ রাখে না যে, র‌্যাব বিএনপির আমলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল, তা শতভাগ পূর্ণতা লাভ করতে পারেনি। এর বড় প্রমাণ নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের হত্যাকা- এবং ঝালকাঠিতে গুলি করে কলেজছাত্র লিমনকে পঙ্গুত্ব করা। প্রতিষ্ঠার পর র‌্যাব যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ শুরু করেছিল ইদানীংকালে র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ-নালিশের কারণে র‌্যাব কিছুটা হলেও ঝিমিয়ে পড়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে র‌্যাবকে আরও গতিশীল এবং কর্মের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। সব কাজ সব সময় পুলিশ দিয়ে হয় না। র‌্যাবকে পুলিশের পাশপাশি দেশের বিরুদ্ধে সকল প্রকার নাশকতাকে দমনের পাশাপাশি গুম, হত্যা, অপহরণের মতো যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে জয়লাভ বা সফল হতে হবে। তবে চেইন অব কমান্ড বজায় রেখে এবং এ বাহিনীর আইন, নিয়ম-নীতি মেনে দায়িত্ব পালন করে র‌্যাবকে দেশের জন্য এক সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। র‌্যাবের অনেক দায়িত্ব, আশা করি তারা যথাযথভাবে সে দায়িত্ব পালন করতে দ্বিধাবোধ করবে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জাতীয় সমস্যা, দেশের যে কোন সমস্যা নিরসনে র‌্যাবকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এলিট ফোর্স হিসেবে র‌্যাবের যে সুনাম তা অক্ষুণœ রাখতে হলে র‌্যাবকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গী ও বনদস্যুদের আস্তানা ধ্বংস, অসৎ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, জাল টাকা চক্র, অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা প্রভৃতি দমনে কার্যকর অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া ভেজাল প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ঘটনাস্থলে সাজা প্রদান ও জরিমানা আদায় করার মাধ্যমে জনজীবনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। আশাকরি, র‌্যাবকে সকল প্রকার লোভ-লালসার উর্ধে থেকে জাতির স্বার্থে কাজ করতে হবে। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ-গে-ারিয়া ঢাকা সাহসিকা লাবণ্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা শেষের কবিতার লাবণ্যের প্রসঙ্গ এলেই আমাদের চোখের সামনে এমন এক নারীর প্রতিকৃতি ভেসে ওঠে যিনি আধুনিক, শিক্ষিত, মর্যাদাবান, আভিজাত্যে অনন্য। যে নারী অমিতের জীবনেই শুধু তোলপাড় সৃষ্টি করেনি। এই লাবণ্য এখনও বাঙালী নারীদের কাছে অনুকরণীয় একটি চরিত্র। বর্তমান সমাজে আর এক লাবণ্যের উদ্ভব হয়েছে যার পরিচয় হিজড়া হিসেবে। এই প্রান্তিক সম্প্রদায়ের হিজড়ারা কখনও কারও অনুকরণীয় নয় কিংবা তাদের জীবন ধারণে রয়েছে চরম বঞ্চনা ও হতাশার কাব্যগাথা। এরা নানা ছলচাতুরি করে মানুষের কাছ থেকে সামান্য অর্থ পাওয়ার জন্য। এই অর্থ দিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। অনেকে এই হিজড়াদের মুখোমুখি হলে বিড়ম্বনা মনে করেন। সম্প্রতি তেজগাঁও দীপিকা এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্লগার ওয়াশিকুরকে হত্যা করে বীরদর্পে যখন পালিয়ে যাচ্ছিল তিন উগ্রবাদী তরুণ তখন এই লাবণ্যই তাদের পথ রোধ করে দাঁড়িয়েছিল। হিজড়া লাবণ্য যেন আলোড়ন তুলেছে। অনেক প্রশ্নের সংশয়ের সৃষ্টি করেছে আমাদের মনে যারা আমাদের সচেতন বলে দাবি করি তাদের। মাত্র এক মাস আগেই বইমেলা সংলগ্ন টিএসটি এলাকায় প্রবাসী ব্লগার অভিজিতকে হত্যা করে উগ্রবাদীরা। শত শত মানুষের সামনে হত্যা করে বীরদর্পে স্থান ত্যাগ করে হত্যাকারীরা। সেখানে লাবণ্যের মতো তাদের পথ আগলে কেউ দাঁড়াতে পারেনি। তাই অভিজিত হত্যাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। তরুণ ওয়াশিকুর হত্যাকারী হয়ত বীরদর্পে হত্যা করে পালিয়ে যেত। কিন্তু তাদের সামনে প্রতিরোধ হয়ে দাঁড়িয়ে লাবণ্য এটাই প্রমাণ করেছিল সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ সৃষ্টি করলে অপরাধীদের নিস্তার নেই। লাবণ্য আমাদের শিখিয়েছে কিভাবে অন্যায়-অপরাধের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হয়। অন্ধকার শক্তিকে পরাস্ত করা সম্ভব হবে তখন যখন লাবণ্যের মতো সবাই জোট বেঁধে দাঁড়াতে পারবে। তবে যারা তরুণদের হত্যায় উদ্বুদ্ধ করছে, মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে তাদের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা। নাজনীন বেগম আসাদ এ্যাভিনিউ, ঢাকা।
×