ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পে-স্কেল দাবি

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ১১ এপ্রিল ২০১৫

বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পে-স্কেল দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে একই সময় থেকে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পে-স্কেল কার্যকরের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। এ দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন বেসরকারী স্কুল কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা। এদিকে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে বেতন বৈষম্যের অভিযোগ এনে সঙ্কট সমাধানে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সরকারঢ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। শুক্রবার পৃথক পৃথক কর্মসূচী থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা নিজেদের দাবি তুলে ধরেছেন। সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক, অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান, অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, অলকা ঘোষ প্রমুখ। আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। কিন্তু অষ্টম বেতন কমিশনের পেশ করা প্রতিবেদনে বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ছয় মাস পর তা কার্যকরের সুপারিশ করা হয়েছে। সুস্পষ্ট এমন বৈষম্যমূলক সুপারিশে দেশের ২৬ হাজার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী হতাশ। বেসরকারী এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের আগের মতো স্বয়ংক্রিয়ভাবে পে-স্কেল কার্যকরের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণার দাবি জানান তিনি। শিক্ষক নেতারা বিষয়টিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আশাকরি মন্ত্রীরা শিক্ষকদের বিষয়টি বুঝবেন। এ দুই মন্ত্রী বিষয়টিকে নজর দিলেই বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এদিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে শ্রেণী (দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী) ও বেতন বৈষম্য নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণী ও সহকারী শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করার পর থেকেই এ অসন্তোষের শুরু হয়। শ্রেণী ও বেতন বৈষম্যের গ্যাঁড়াকলে সহকারী শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের নেতারা। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা প্রধান ও সহকারী শিক্ষকদের একই শ্রেণীভুক্ত ও সহকারী শিক্ষকদের শতভাগ পদোন্নতিসহ ১২ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। সংগঠনের সভাপতি শাহিনুর-আল-আমিন বলেন, ১৯৮৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বেতন স্কেল পার্থক্য ছিল এক ধাপ। ২০০৬ সালের ২৮ আগস্টে উন্নীত বেতন স্কেলে পার্থক্য দাঁড়ায় ২ ধাপ। কিন্তু ২০০৯ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্কেলে প্রধান শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণীর স্কেলে ছয় হাজার চারশ টাকা বেতন পান। আর সহকারী শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণীর বেতন স্কেলে পাঁচ হাজার দুইশ টাকা পান।
×