ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের কেয়ারটেকারের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১১ এপ্রিল ২০১৫

রাজধানীতে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের কেয়ারটেকারের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রের কেয়ারটেকারের মুখ ও হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নিরাময় কেন্দ্রের তিন রোগীকে আটক করেছে। এদিকে কামরাঙ্গীরচরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানদারসহ তিনজনের শরীরে গরম চা ছুড়ে ঝলসে দিয়েছে এক দেনাদার। শুক্রবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ ভূইঁয়াপাড়া এলাকার লাইফ লাইন মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ভেতর থেকে বশির আহমেদ (৪০) নামে এক ব্যক্তির মুখ, হা-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নিরাময় কেন্দ্রের তিন রোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজ ভূঁইয়া জানান, সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে ভূঁইয়াপাড়ার লাইফ লাইন মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ভেতর থেকে বশির নামে এক ব্যক্তির হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি জানান, এ ঘটনায় আটককৃতরা জানিয়েছেন, বশির আহমেদ ওই নিরাময় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। তিনি (বশির) তাদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করতেন। খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক হিরু মোল্লা জানান, সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ লাইফ লাইন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে গিয়ে কেয়ারটেকার বশিরের হাত-পা ও মুখ বাঁধা মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়। তিনি জানান, বশির মাদকসেবী রোগীদের ওপর নির্যাতন করতেন। এর জেরে রোগীরাই হয়ত তাকে হত্যা করেছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে বেশ কয়েকজন রোগী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পালিয়ে গেছেন। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের রনি মার্কেটের সামনে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দোকানদারসহ তিনজনের গায়ে গরম চা ছুড়ে ঝলসে দিয়েছেন দেনাদার বাবু। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হচ্ছেন, দোকানদার মাসুদ (২৭), মাসুদের মা পারুল বেগম (৪৫) ও মাসুদের খালাত ভাই জামাল (৩২)। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ এএসআই সেন্টু চন্দ্র দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কামরাঙ্গীরচর রনি মার্কেট এলাকায় মাসুদের বাড়ি লাগোয়া একটি দোকানে চা ও পান সিগারেটের দোকান রয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সামনে স্থানীয় আরেকটি বাড়িওয়ালা বাবু তার দোকানে সামনে আসেন। এ সময় দোকানদার মাসুদ বাবুর কাছে পাওনা ১১৫ টাকা পরিশোধ করতে বলেন। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদের দোকানের কেটলি ভর্তি গরম চা মাসুদকে লক্ষ্য করে ছুড়ে মারেন। এতে মাসুদের বুক ও ডানহাত এবং মা পারুল বেগমের মুখ ঝলসে যায়। পাশে দাঁড়ানো তার খালাত ভাই জামালের শরীর ঝলসে যায়। আহত দোকানদার মাসুদ জানান, পাশের বাড়িওয়ালা বাবু তিন মাস আগে আমার কাছ থেকে ১১৫ টাকার বাকি সওদা করেন। আজ দুপুরে দোকানের সামনে বাবু এলে তার কাছে টাকা চাইলেই তিনি আমাদের ওপর হামলা চালান। এক পর্যায়ে দোকানের কেটলি ভর্তি গরম চা তাদের উপর ছুড়ে মারেন।
×