ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ জামাল ২-১ রহমতগঞ্জ

শেখ জামালের স্বস্তির জয়

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১২ এপ্রিল ২০১৫

শেখ জামালের স্বস্তির জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম ম্যাচে সহজ জয়ে শুভসূচনা করলেও দ্বিতীয়টিতে জিততে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডকে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘মানব্যর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে লীগের বর্তমান শিরোপাধারীরা শনিবারের একমাত্র ম্যাচে ২-১ গোলে হারায় ‘আইলো’, ‘ডাইলপট্টি’ এবং ‘জায়ান্ট কিলারখ্যাত রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে। বিজয়ী দল খেলার প্রথমার্ধে এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। জামালের পক্ষে গোল দুটি করেন কেস্ট কুমার বোস এবং এমেকা ডার্লিংটন। বিজিত দলের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন মান্নাফ রাব্বি। চলমান লীগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জামাল ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্সআপ ফরাশগঞ্জকে। আর রহমতগঞ্জ তাদের প্রথম ম্যাচে শিরোপাপ্রত্যাশী ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে ২-২ গোলে রুখে দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। জামাল-রহমতগঞ্জ লীগে সর্বশেষ মোকাবেলা করেছিল ২০১১-১২ মৌসুমে। সেবার ২০ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্বে শেখ জামালকে ১-০ গোলে পরাভূত করে চমক দেখিয়েছিল পুরান ঢাকার ক্লাব রহমতগঞ্জ। তবে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ২৩ মে দ্বিতীয় পর্বের খেলায় ৪-২ গোলে জিতে প্রতিশোধ নিয়েছিল জামাল। পরিসংখ্যানের আলোকে দেখা যাচ্ছে, জামালের সঙ্গে মোকাবেলায় প্রতিবারই তাদের প্রচ- বেগ দিয়েছে রহমতগঞ্জ। শনিবারের ম্যাচেও তার ব্যত্যয় হয়নি। স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসা ফুটবলপ্রেমীদের মতে, খেলেছে রহমতগঞ্জ, জিতেছে জামাল। দুর্ভাগ্য রহমতগঞ্জের। নইলে তারা ম্যাচটিতে অন্তত ড্র করতে পারত। ম্যাচের ২৬ মিনিটে নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় শেখ জামাল। গোল না হজমের জন্য কৃতিত্ব দাবি করতেই পারেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম মাসুম। বাঁ প্রান্ত থেকে জামালের মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের শট দারুণভাবে ফিস্ট করে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দলকে বিপন্মুক্ত করেন মাসুম। এর দুই মিনিট পরেই গোল করার সুর্বণ সুযোগ নষ্ট করে রহমতগঞ্জ। বাঁ প্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার সুমন দে ক্রস ফেলেন জামালের বক্সের ভেতর। বল চলে যায় রহতমগঞ্জের নাইজিরিয়ান গিডেয়ন সলোমন। কিন্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সলোমন। ম্যাচের প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত সমানতালে লড়াই করে শক্তিশালী জামালকে দিশেহারা করে তুলেছিল রহতমগঞ্জের। সবাই ধারণা করেছিল, তারাই বুঝি করবে ম্যাচের প্রথম গোলটি। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ৩১ মিনিটে উল্টো গোল খেয়ে বসে রহতমগঞ্জ! ডানপ্রান্ত থেকে সতীর্থ ডিফেন্ডার মোহাম্মদ লিঙ্কনের উড়ন্ত ক্রসকে মাটিতে পড়তে না দিয়েই তাতে পা ছোঁয়ান জামালের ডিফেন্ডার কেষ্ট কুমার বোস। তার নেয়া উড়ন্ত শটের বলটি প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক মাসুম কোন কিছু বোঝার আগেই জড়িয়ে যায় জালে। উল্লাসে ফেটে পড়ে মারুফুল হকের শিষ্যরা (১-০)। ৩২ মিনিটে জামালের নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটনের লম্বা পাস পেয়ে জামালের হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ও গত লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা (২৬) ওয়েডসন এ্যানসেলমে শট নিলেও তা পোস্টের বাইরে চলে যায়। ৪৩ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ওয়েডসন প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। কিন্তু রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডারদের বাধার কারণে ব্যর্থ হন ওয়েডসন। প্রথমার্ধে সমতায় ফেরা হয়নি রহমতগঞ্জের। আর জামালও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। ৫৬ মিনিটে নিজেদের বক্সে এমেকাকে ফাউল করেন রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার সুমন দে। রেফারি জসিম উদ্দিন পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি শটে গোল করলেও রেফারি তা বাতিল করে দেন প্রতিপক্ষের অন্য খেলোয়াড় শট নেয়ার আগেই বক্সের ভেতর ঢুকে পড়েছে বলে। ফলে আবারও শট নিতে হয় এমেকাকে। অবশ্য এবারও ব্যর্থ হননি তিনি (২-০)। ৭৮ মিনিটে ব্যবধান কমায় রহমতগঞ্জ। বাঁ প্রান্ত থেকে বদলি মিডফিল্ডার আরাফাতের ক্রসে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আরেক বদলি ফরোয়ার্ড মান্নাফ রাব্বি (১-২)। এই রাব্বির গোলেই রহতগঞ্জ তাদের প্রথম ম্যাচে আবাহনীর সঙ্গে ড্র করতে সমর্থ হয়েছিল। রেফারি খেলা শেষের বাঁশি বাজালে কষ্টার্জিত ও স্বস্তির জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল ধানম-ির ফুটবলাররা। =
×