ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১৪ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

আগের সপ্তাহে ছিল অনেক প্রাপ্তি আর স্বস্তি, অনেক রঙ অনেক আনন্দের ছড়াছড়ি। টেবিল ভরে উঠেছে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা কার্ডে। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার নববর্ষের শুভেচ্ছা কার্ডের সঙ্গেই পাঠিয়েছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র। সত্যি বলতে কী প্রতিটি কার্ডেই বাঙালিয়ানা নান্দনিকভাবে প্রকাশিত। বাংলা লোকজ সংস্কৃতির বর্ণিল মোটিফ দিয়ে সাজানো এসব কার্ড দেখে মনেও লাগে রঙ, আর বাঙালী হিসেবে এক গভীর গৌরব ও আনন্দ এসে হৃদয়ে বাঁশি বাজিয়ে যায়। ‘শুভ নববর্ষ’ কথাটি কত বিচিত্র হস্তাক্ষরেই না উৎকীর্ণ এসব আমন্ত্রণপত্রের খামের ওপর। আহা আমাদের প্রাণের বর্ণমালা। বাঙালীর কবি রবীন্দ্রনাথ বৈশাখ নিয়ে এমন কিছু গান রচনা করেছিলেন যেগুলোর প্রথম পঙ্ক্তি অনিবার্যভাবে যোগ হয়ে চলেছে বৈশাখী শুভেচ্ছাপত্র ও আমন্ত্রণপত্রে। ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’Ñ এ চরণটি বুঝি বহুল মুদ্রিত ও উচ্চারিত। আমাদের একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পাপিয়া সারওয়ার তাঁর প্রতিষ্ঠান গীতসুধার পক্ষে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন। ধানম-ি লেকের পাড়ে সকালেই শুরু হবে এ অনুষ্ঠান। শুধু কি সাংস্কৃতিক সংগঠন, নববর্ষ উপলক্ষে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এমনকি শপিং মলেও সাজ সাজ রব পড়ে যায়। পুষ্পিত এই সজ্জায় বাণিজ্য ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠে প্রাণে প্রাণে সংযোগ ও আত্মপরিচয়ের স্বাতন্ত্র্য নিয়ে মধুর মেলবন্ধন। বৈশাখের বাঁশি রাত বারোটা এক মিনিটে নয়, বাংলা নববর্ষ শুরু হয় সূর্যোদয়ের সাথে সাথে (আহা ওই সময়ে অনুভব করা যায় ‘বৈশাখের ভোরের হাওয়া আসে মৃদুমন্দ’)। রাজধানীবাসীর আয়েশি অংশটিও প্রভাতনিদ্রার সুখটুকু ঝেড়ে ফেলে বৃহৎ আনন্দের সন্ধানে নববর্ষ উৎসবে যোগ দেয়। সকলেই যে সকাল-সকাল বেরিয়ে পড়েন রমনার উদ্দেশে এমন নয়। টেলিভিশনের কল্যাণে এখন কেবল ছায়ানট কেন, ধানম-ির রবীন্দ্র সরোবরসহ কয়েকটি স্থানে আয়োজিত বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠনের বর্ষবরণ উৎসব প্রত্যক্ষ করা যায় সরাসরি। এ উদ্যোগের ফলে দূর পরবাসে অবস্থানকারী বাংলাদেশের অগণিত মানুষের সঙ্গে মাতৃভূমির ভৌগোলিক দূরত্ব মুহূর্তে ঘুচে যায়। তবে হ্যাঁ, খোঁজ নিলে দেখা যাবে বাড়ির কাছাকাছি জায়গায় কোন না কোন আয়োজন চলছেই বর্ষবরণের (আমি থাকি উত্তরায়। এখানে একাধিক বড়সড়ো উৎসব চলে)। নগরবাসীর নিরানন্দময় নিস্তরঙ্গ জীবনপ্রবাহে বৈশাখ সত্যিকারার্থেই নিয়ে আসে আনন্দের উপলক্ষ। ভোজ আর উপভোগের পহেলা বৈশাখে বাঙালী আপনা থেকেই আত্মপরিচয় খুঁজে পায় এবং আর দশজন স্বজাতির সঙ্গে আত্মীয়তা অনুভব করে। ধর্মীয় পরিচয় সেখানে সামান্যতম প্রতিবন্ধক নয়। বছরের প্রথম দিনে এটি এক অনন্য অর্জন। আমাদের জাতীয় জীবনে পহেলা বৈশাখ এমন একটি মুহূর্ত যখন বাঙালী হিসেবে আমাদের মনে এক অনিঃশেষ গৌরব এসে বাঁশি বাজায়; জেগে ওঠে ভ্রাতৃত্ববোধ, মুমূর্ষুরে উড়ায়ে প্রাণে বেজে ওঠে নব আনন্দ গান। ভুলে যাচ্ছি না যে দেশের পাহাড়ি জনপদে অবাঙালী আদিবাসীরা বৈসাবি উৎসবে মাতে পহেলা বৈশাখের ঠিক আগে-আগে। ঢাকার বাইরে দেশজুড়েই শহরে শহরে বাংলা বর্ষবরণ উৎসব চলে। যদিও জীবনাচারে বাংলা যাদের চিরসখা সেসব পল্লীবাসীর পহেলা বৈশাখ উদযাপনে রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা। হালখাতা আর গ্রামীণ মেলার ভেতর দিয়ে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামেও নতুন বছরের সূচনালগ্নের প্রাণোচ্ছল হাওয়া এসে আছড়ে পড়ে। নগর কিছুটা প্রভাবিতও করে চলেছে এখন পল্লীকে। আজ পহেলা বৈশাখে ঢাকার রাস্তায় ঢল নামবে মানুষের, এ তো জানা কথাই। খোলা প্রাঙ্গণে ও সড়কে মানুষের এই মহাসমাবেশ কেবল একুশে ফেব্রুয়ারির জনসমাগমের সঙ্গেই তুলনীয়। তবে একুশের অভ্যন্তরে শোকবিধুরতা থাকে, আনুষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা থাকে যা সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত পহেলা বৈশাখে। এদিন কেবলই যেন আনন্দে ডানা মেলবার। সমগ্র রাজধানীই যেন হয়ে ওঠে সংস্কৃতিমেলাÑ যার অংশ বৈশাখী মেলা, আবৃত্তি আর গানের আসর। একসময় জাতীয় কবিতা পরিষদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠের আয়োজন করত। এখন আর দেখি না। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বৈশাখবিষয়ক স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে একবার অংশ নিতে গিয়ে মনে হয়েছিল কবিরাও উন্মুখ হয়ে থাকেন নববর্ষে তার পাঠককে নতুন কবিতার স্বাদ দিতে। ভেবে পাই না প্রতি বৈশাখে কেন নয় একটি নির্দিষ্ট স্থানে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠের আয়োজন? রমনার বটমূলের উৎসবের মতো সেটিও হতে পারে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গৌরবোদীপ্ত অংশ। তবে বৈশাখ কেবল আনন্দের নয়, প্রতিবাদেরও। সংবাদপত্রে বৈশাখী ক্রোড়পত্র ধারণ করে বৈশাখের চালচিত্র। উৎসবের শাখা-প্রশাখার আলোকপাত আর বৈশাখ-বন্দনা থাকে তার বড় জায়গা নিয়ে। ফিবছর পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরে অগ্রযাত্রা এবং আত্মশুদ্ধির শপথ নেয়া হয়। আমাদের চিন্তাবিদরা বিশ্বসভায় বাঙালীর অবস্থান শনাক্ত করেও লেখেন। তবে তা যৎসামান্যই। প্রতিবাদের জায়গাটি প্রতুল নয়। এর প্রকাশ্য রূপ দেখতে পাই চারুকলা থেকে বেরুনো শোভাযাত্রায়। লোক ঐতিহ্যের মোটিফের সমান্তরালে এতে থাকে প্রতীকী মোটিফ। স্বৈরাচার, জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদবিরোধিতা তাতে প্রত্যক্ষ করা যায়। দেশের সংস্কৃতিকর্মীদের দৃষ্টিভঙ্গির বার্তা থাকে তাতে, থাকে আন্দোলনের সঙ্কেত। আনন্দ প্রকাশের সহযোগে কখনও কখনও শাসকমহলের অন্যায্য কাজের সমালোচনার এই ভঙ্গিটি ব্যতিক্রমী। বিশ্বের অন্যান্য দেশে নানা জাতির বর্ষবরণের উৎসব থেকে বাঙালীর এই অসামান্য উৎসব এভাবেই পৃথক ব্যঞ্জনা লাভ করে। বাঙালীর এই প্রতিবাদী সত্তাটি বাস্তবিকই অসাধারণ। বৈশাখের শক্তিটিকে ঠিকই চিনেছে অপশক্তি, তাই পহেলা বৈশাখেই তারা আত্মঘাতী হামলার উদ্বোধন ঘটিয়েছিল। বৈশাখ তাই আমাদের নতুন করে সতর্ক হতে শিখিয়েছে। একাত্তরের পরাস্ত শক্তির প্রতিশোধস্পৃহা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে। আশা করছি বদর কমান্ডার কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের পরপরই এবারের নববর্ষ বরণ উৎসবে নব হর্ষধ্বনি শোনা যাবে। আকাশ প্রদীপ বৈশাখ আসার আগে ‘এসো হে বৈশাখ’ বলে বৈশাখকে আহ্বানই যৌক্তিক মনে হয়। বৈশাখের জন্য প্রস্তুতি, বর্ষ শেষের চৈত্রসংক্রান্তি আর বসন্তযাপনÑ এই সব মিলিয়ে নিকট বন্ধুজনদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গুরুত্বই অন্যরকম। সমমনাদের নিয়ে গড়ে তোলা ছোট্ট একটি সংগঠন আকাশ প্রদীপ। ছুটির দিন শুক্রবার সন্ধ্যার এই আয়োজনে যাঁরা পরিবেশন করলেন গান ও কবিতা তাঁদের সবাই পেশাজীবীÑ কেউ চিকিৎসক, কেউ প্রকৌশলী, কেউ বা শিক্ষক কিংবা সাংবাদিক। কিন্তু সকলেই সুদূরের পিয়াসী, শিল্পমনা, সুন্দরের পূজারী। রাজধানীতে বড় বড় আয়োজনের পাশে এমন কতই না ছোটখাটো আয়োজন হয়, যাতে প্রাণের পরশের সামান্যতম ঘাটতি থাকে না। এর সাংস্কৃতিক-সামাজিক গুরুত্বও বিরাট। বাঙালী এভাবেই তার শেকড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, নিজ সাহিত্য-সঙ্গীতের গুণীজনদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। আকাশ প্রদীপের এ আয়োজনটি হয়েছিল গীতিকার গোলাম মোশতাকের বাড়িতে। গোটা পঞ্চাশেক সুধীজনের এ সমাবেশে কেউ কেউ তাঁর কাছের বন্ধুটিকে নিয়ে এসেছিলেন। তিনিও পারফর্ম করেন। যেমন এসেছিলেন অভিনেতা ও আবৃত্তিকার খুরশিদউজ্জামান উৎপল। আবার আমন্ত্রিত হয়েও এসেছিলেন কোন কোন কবি ও আবৃত্তিকার, যেমন বিমল গুহ, গোলাম কিবরিয়া পিনু, আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা। ফলে ধানম-ির এ আয়োজনে মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর, গুলশান থেকে উত্তরাÑ বিভিন্ন এলাকার সংস্কৃতিবান মানুষ এসে জড়ো হয়েছিলেন। বিটিভির রেকর্ডিং শেষে চলে এসছিলেন নৃত্যশিল্পী জিনিয়া। তিনি কবিতার সঙ্গে ফুটিয়ে তোলেন নৃত্যভঙ্গিমা। আয়োজক ফারুক মাহমুদ, শাহরিয়া সুলতানা পিউ, মালিহা পারভীন, ডা. কুমার প্রমুখের ধন্যবাদ প্রাপ্য। উৎসব কি সব? পহেলা বৈশাখে নববর্ষ বরণ উৎসবের স্ফূর্তি ও মাত্রার সঙ্গে বারো মাসে তের পার্বণের এই দেশে আর কোনো উৎসবেরই তুলনা যেন চলে না। বাঙালী হিসেবেই তো বর্ষবরণ উৎসবে মাতছি। তাই বাঙালী আত্মপরিচয়টিকে যদি মর্যাদাপূর্ণ করে তুলতে না পারি তাহলে সেই উৎসব নিছক আনন্দ উপভোগ। উৎসবের উপলক্ষ পেলে তারুণ্য গৃহবন্দী থাকে না, সে বেরিয়ে পড়ে খোলা আকাশের নিচে। তারুণ্যের এই উৎসবে অংশগ্রহণ তখনই অধিক তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে, যখন সে আত্মপরিচয় সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হবে। যখন সে অনুধাবন করতে পারবে উৎসব সব নয়, তার নিজেরও কিছু দায় আছে। বাংলা ভাষা ও বাঙালী সংস্কৃতির পরিচর্যা না করে, বরং তাকে কিছুটা অশুদ্ধ ও শ্রীহীন করে বাঙালীর সর্বজনীন উৎসবে মেতে ওঠা এক ধরনের আত্মপ্রবঞ্চনা। সততার সড়ক থেকে বিচ্যুত না হয়ে বাংলা নামের দেশকে ভালবেসে, বাঙালী আত্মীয়ের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে, আপন ভাষা-সংস্কৃতিকে সত্যিকারভাবে হৃদয়ে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারলেই উৎসবের প্রাণের সঙ্গে নিজের প্রাণের মেলবন্ধন ঘটবে। বাংলা ভাষা, বাঙালী সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ যারা তাদের পরাস্ত করার যুদ্ধে শামিল থাকতে হবে। আজ আনন্দের পাশাপাশি তাই জরুরী হলো দায়িত্বশীলতা ও কর্তব্যবোধ। শনিবার মানিক মিয়া এভিনিউতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য মাশরাফি বাহিনীকে সংবর্ধনা জানাতে লাখো তরুণ-তরুণী এসেছিল। মেতে উঠেছিল আনন্দ উৎসবে। এদের ভেতর দেশের প্রতি কর্তব্যবোধের উন্মেষ ঘটানোর দায়িত্ব বড়দেরই নিতে হবে। নববর্ষ হতে পারে চিন্তার নবায়নের জন্য উৎকৃষ্ট সময়। উৎসবে ভেসে যাওয়া তারুণ্যকে উৎসের দিকে তথা স্বাধীনতা অর্জনের সত্য ইতিহাসের দিকে ফেরানোর জন্য পহেলা বৈশাখ নিশ্চয়ই তাৎপর্যপূর্ণ কাল-ফলক। যুদ্ধাপরাধীর বংশধর ঢাকার একাধিক রাত প্রতীক্ষায় থেকেছে একাত্তরের নিষ্ঠুরতম যুদ্ধাপরাধী আলবদর প্রধান কামারুজ্জমানের ফাঁসি কার্যকরের আশায়। অবশেষে শনিবার রাতে এলো ইতিহাসের সেই দায় মোচনের সুযোগ। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয়। কারাগারের বাইরে থেকে সরাসরি সম্প্রচারে নিয়োজিত থাকে অনেক বেসরকারী টিভি চ্যানেল। এসব চ্যানেলের দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্ব দর্শকদের মনে নানা প্রশ্নের জন্ম দেবে বলে আশঙ্কা করি। এই প্রদর্শন-মিশন একজন ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীর প্রতি দর্শকদের মায়া বা করুণা জাগালো কিনা, সে প্রশ্ন উঠছে। বরং বেশি জরুরী ছিল ওই নরপিশাচের নৃশংস কর্মকা-ের বিশদ বিবরণ তুলে ধরা। বিধবা পল্লীর কয়েকজন বিধবার বক্তব্য উপস্থাপন এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্যদানকারীদের অনুভূতি তুলে ধরা। আজকের প্রজন্মের হৃদয়ে একাত্তরের আবেগ যথাযথভাবে উপস্থাপন কঠিন কাজ, সন্দেহ নেই। বরং টিভি কর্তৃপক্ষের জন্য সহজ হলো ঘাতকপুত্রের বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের সরাসরি সম্প্রচার। যুদ্ধাপরাধীর বংশধর কী বলল, তা মোটেই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। প্রিয় পাঠক শুভ নববর্ষ। ১৩ এপ্রিল ২০১৫ সধৎঁভৎধরযধহ৭১@মসধরষ.পড়স
×