ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মা পাড়ে পর্যটকের ঢল

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

পদ্মা পাড়ে পর্যটকের ঢল

মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ মঙ্গলবার লৌহজং উপজেলার মাওয়া পদ্মা পারে পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। এ ভিড় মাওয়া থেকে ছড়িয়ে পড়ে লৌহজংয়ের পদ্মা রিসোট, মাওয়া রিসোট ও পদ্মা পারের শিমুলিয়া নতুন ফেরি ঘাটসহ কয়েক কিমি বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে পর্যটকরা এসেছিলেন সপরিবারে। পদ্মা সেতুর কাজের জন্য মাওয়া চৌরাস্তা বরাবর দক্ষিণের পদ্মা সংরক্ষিত থাকলেও পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় ছড়িয়ে পড়ে সংরক্ষিত এলাকার ভিতরে পদ্মা পারে। শুধু পদ্মা পারই নয় পর্যটকদের ভিড় ছিল ধলেশ্বরীর মুক্তারপুর ব্রিজ, ধলেশ্বরী সেতু, শ্রীনগরের রাঢ়িখালের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশনের পিকনিক স্পটে। সীসাযুক্ত বাতাস থেকে একটু হাঁফ ছেড়ে মুক্ত বাতাস গ্রহণ করতে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে এসেছিলেন রাজধানীবাসী ঢাকার অনতি দূরের এই পদ্মা পারে। রাজধানীসহ দোহার, মুন্সীগঞ্জ, সিরাজদিখানসহ কাছাকাছি বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকেও পর্যটক এসেছিলেন পদ্মার নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে। ঘুরে বেড়িয়েছেন বালুময় এই পদ্মা পারে। অনেকে আবার নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করে চলে গেছেন পদ্মা নদীর মাঝে জেগে উঠা চরগুলোতে ঘুরে বেড়াতে। সেখানে মজা করে বিভিন্ন খেলায় মেতে ছিলেন পর্যটকরা। বিশেষ করে ফুটবল আর ক্রিকেট খেলে মুক্ত বাতাসে আনন্দ আর উল্লাসে মেতে ছিলেন পর্যটকরা তাদের সঙ্গী সাথীদের সঙ্গে। অনেকে আবার সিবোর্টে চড়ে বেড়িয়েছন পদ্মার বুকে। ঢাকার একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক শিয়াব মাহমুদ সপরিবারে এসেছিলেন পদ্মার পারের শিমুলিয়া ঘাটের কাছে বেড়াতে। তিনি জানালেন, প্রতিবছর এই দিনে তিনি এই এলাকাটিতে ঘুরে বেড়াতে আসেন। তার মতে, ঢাকার দূষিত বাতাসে সারাব ছর কাজ করে যেন হাঁপিয়ে উঠেছেন। তাই পদ্মা পারের এই বেলা ভূমিতে এর নির্মল বাতাসে ঘুরে বেড়াতেই এখানে আসা। তাছাড়া এখান থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতেও ভাল লাগে। ঢাকার একটি কলেজের ছাত্রী তানজিলা তাপাচ্ছুম। বড় ভাই আর ভাবির সঙ্গে পদ্মা পারের এই অঞ্চলটি বেড়াতে এসে আনন্দে আত্মহারা। ছিন্নমূল শিশুর জন্য ‘মিষ্টি’ উৎসব স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, পান্তা ওদের প্রতিদিনের সকালের খাবার। পান্তার সঙ্গে লবণ, পিঁয়াজ আর কাঁচামরিচ দিয়েই শুরু হয় দিনের পথচলা। রাতের খাবার শেষে বেচে যাওয়া ভাতে পানি দিয়ে তৈরি পান্তা যাদের প্রতিদিনের সকালের আহার তাদের বৈশাখে পান্তা নতুন কিছু নয়। আর ইলিশ সে তো অধরা তাদের জন্য। রাজশাহী নগরীর বস্তিবাসীদের জন্য তাই এ বৈশাখে ব্যতিক্রম আয়োজন করে কয়েকজন তরুণ-তরুণী। প্রতিটি বিশেষ দিনেই তাদের পাশে দাঁড়ায় ওরা। এবার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে তাদের জন্য মিষ্টি বিতরণ করা হলো বুধবার সকালে। রাজশাহী নগরীর ভদ্রা আবাসিক এলাকা সংলগ্ন সড়কের পাশের বস্তির অন্তত ২০০ জন শিশুকে মিষ্টিমুখ করালো তরুণ-তরুণীরা। কোন সামাজিক কিংবা সাংস্কৃতিক সংগঠন নয়, একান্ত নিজেদের ভাললাগা থেকে এ মিষ্টি উৎসবের আয়োজন। বেলা ১১টার দিকে ভদ্রা বস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, একদল শিশুর উচ্ছাস। এ মিষ্টি উৎসবের আয়োজকদের একজন নার্গিস সোমা। রাজশাহী চারুকলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিজেও চারুলিল্পী। শিল্পকর্ম নিয়েই মেতে থাকেন সারাক্ষণ। সোমা জানালেন, প্রতিটি উৎসবেই তারা বস্তির শিশুদের জন্য কিছু না কিছু করে থাকেন। মনের ভাললাগা থেকেই তাদের এ উদ্যোগ। এ আয়োজকদের মধ্যে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শাহরিয়ার চয়ন ও জিহাদ খান। প্রতি ঈদে সাধ্যমতো পোশাক দিয়ে থাকেন তারা।
×