ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ঝাঁটা মিছিল

৭ সদস্যকে জখম করে মাদক হাতে ধরিয়ে এক সংখ্যালঘুকে গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

৭ সদস্যকে জখম করে মাদক হাতে ধরিয়ে এক সংখ্যালঘুকে গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ একই পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশুসহ সাতজনকে বেঁধে পিটিয়ে নির্যাতনের পর পরিবারের এক সদস্যকে ৩০ বোতল ফেনসিডিল দিয়ে আদালতে পাঠানোর ঘটনায় সংখ্যালঘুদের পক্ষ থেকে এলাকায় ঝাঁটা মিছিল ও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভোমরা দাসপাড়ায় নারী ও পুরুষসহ বন্দরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচী পালন করে। ভোমরা সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিতোষ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ভোমরা ইউপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ, নির্যাতিত অক্কুর দাস, করুণা দাস, সংবাদ কর্মী রাজু চ্যাটার্জী, বাদল দাস প্রমুখ। ভোমরা দাসপাড়ার অক্কুর দাস বলেন, তিনিসহ পরিবারের সকল সদস্য সোমবার সন্ধ্যায় চড়ক পুজো উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী মন্দিরে যান। রাত ১১টার দিকে তারা বাড়ি ফিরে আসেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের পরিদর্শক হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের বাড়িতে এসে দরজা খুলতে বলে। এ সময় তারা তাকে (অক্কুর), ছেলে অজয় ও ভগ্নিপতি তপন দাসকে বেঁধে ফেলে মারপিট শুরু করে। মারপিটের প্রতিবাদ করায় স্ত্রী হিমিলা দাস, পুত্রবধূ মাধবী, তার কোলে থাকা লিপিকাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার নেতৃত্বে কয়েকজন বাড়ির ২০০ গজ সামনে একটি আম বাগানে সরিষার ভুষির মধ্যে কয়েক বোতল ফেনসিডিল পেয়েছেন দাবি করে তাদের তিনজনকে মামলা দিয়ে চালান দেয়ার জন্য হাতে হ্যান্ডকাপ পরানো হয়। একপর্যায়ে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ছুটে এলে অজয়কে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে বক্তারা ঘটনার তদন্ত করে অজয়কে অবিলম্বে নিংশর্ত মুক্তি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সাতক্ষীরা থেকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করার দাবি জানানোর পাশাপাশি দাসপাড়ার নারী, পুরুষ ও শিশুদের একটি ঝাঁটা মিছিল দাসপাড়া থেকে ভোমরা বন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের পরিদর্শক হারুন অর রশিদ কাউকে মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সোর্সের দেয়া তথ্য মতে পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়ি থেকে দূরের একটি বাগানে ৩০ বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেলেও সন্দেহজনকভাবে অজয়কে আসামি করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
×