ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগুনে মানুষ হত্যাকারীর সঙ্গে কোন আপোস চলে না

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

আগুনে মানুষ হত্যাকারীর সঙ্গে কোন আপোস চলে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অগ্নিসংযোগ নির্বিচারে মানুষ হত্যাকারীদের সঙ্গে কোন আপোস হতে পারে না। আগে মানুষের জীবন তারপর রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক অধিকার। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার যারা কেড়ে নেয়, আগুন লাগিয়ে জীবন ও সম্পদ ধ্বংস করে তাদের সঙ্গে সাংবাদিকতার কোন আপোস চলে না। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) আয়োজিত ‘অগ্রজের সঙ্গে একদিন’ শীর্ষক ধারাবাহিক আড্ডায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের আধুনিক সাংবাদিকতার জনক দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক তোয়াব খান সাংবাদিকতার নীতির প্রশ্নে একথা সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, সাংবাদপত্রের জন্য তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন এই মহীরুহ। তিনি বলেন, নৈতিকতার প্রশ্নে দুটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। একটি ন্যায় অন্যটি অন্যায়। আগে অন্যায়কে চিহ্নিত করতে হবে। তাহলেই কোনটি ন্যায় তা বোঝা যাবে। আড্ডায় ৫০ দশক থেকে সাংবাদিকতার আধুনিক পর্যায়, দেশীয় সংবাদপত্র বিকাশের পাশাপাশি তোয়াব খান কথা বলেন পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি, স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়সহ নানা বিষয়ে। খুব কাছ থেকে দেখা বাঙালীর স্বাধিকার আদায়ের লড়াই, মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে স্বৈরশাসক তারও পরে গণতন্ত্রের বিজয় বিষয়ে কলম ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সাংবাদিকতার বটবৃক্ষ তোয়াব খান ১৯৩৪ সালের ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরা জেলার রসুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আব্দুল ওহাব খান এবং মোসাম্মত জোবেদা খানমের তিন ছেলে এবং দুই মেয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। সাতক্ষীরার শতাব্দী প্রাচীন প্রাণনাথ হাইস্কুল (পিএন) থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর পড়াশোনা করেন ঢাকার জগ্ননাথ কলেজে। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বিভিন্ন সংবাদপত্রে সমকালীন বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। প্রগতিশীল পত্রিকা সংবাদে ১৯৫৫ সালে সহ-সম্পাদক (সাব-এডিটর) হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। সেই পথা চলায় পূর্ণ হচ্ছে সাংবাদিকতার ছয় দশক। তোয়াব খান স্মৃতির পাতা হাতড়ে তুলে ধরেন সাংবাদিকতা জীবনের শুরুর কথা। কেন কীভাবে কোন চেনতায় সাংবাদিকতায় এলেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ৫০-এর দশকে দেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছিলো। বিশেষ করে ১৯৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোর মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাসের পথে চলা শুরু হয়। সে সময় সকলের মধ্যে একটি বিপ্লবী চেতনার উন্মেষ ঘটে। তখন একটি পত্রিকা বের করার কথা চলছিল। অবশেষে কেজি মুস্তাফার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক জনতা নামে একটি পত্রিকার ডিক্লিয়ারেশন পাওয়া যায়। সেখানেই প্রথম কাজ শুরু। তখন সানজিদা খাতুনের নেতৃত্বে (বর্তমানে ছয়ানটের সভাপতি) ঢাকায় মেয়েদের জন্য পৃথক গণ পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার আন্দোলন চলছিল। সেই পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় এ সংক্রান্ত রিপোর্ট ছিল। আমরা আশঙ্কা করেছিলাম পত্রিকার ডিক্লিয়ারেশন বাতিল হয়ে যাবে। পত্রিকার প্রথম সংখ্যা বাজারে আসতেই ডিক্লিয়ারেশন বাতিল করা হয়। কিন্তু তার আগেই পত্রিকা নিজেরাই কাঁধে কাঁধে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহের কাজ করেছিলেন। এরপর টায়ফয়েডে আক্রান্ত হয়ে ছেদ পড়ে। এর মধ্যে শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গেও তিনি জড়িয়ে পড়েন। তবে একটা সময়ে এসে মনে হয়েছে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন যারা করেন, তারা অনেক সম্মানিত মানুষ। কিন্তু এই আন্দোলন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। মানুষ নানাভাবে বিপ্লব করছে। ফিরে আসেন আবার সাংবাদিকতায়। সিনিয়র এপ্রেন্টিস হিসেবে কাজ করতে গিয়ে সংবাদে নিয়োগ পান মাসিক ৬০ টাকা বেতনে পরবর্তী মাসে যা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। ‘সংবাদ’ ছিল তৎকালীন বামপন্থী নেতাকর্মীদের মত প্রকাশের একটি অভয়স্থল। মনি সিংহ, খোকা রায়, নেপাল নাগ, বারীণ দত্ত, রনেশ দাশগুপ্ত, শহীদুল্লাহ কায়সার, আলতাফ আলীদের মতো মানুষদের সান্নিধ্য তোয়াব খানের জীবন এবং চিন্তায় গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছিল। তখনকার দিনের সাংবাদিকতার অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে তোয়াব খান বলেন, তখনকার দিনে কোন পত্রিকায় একাধিক রিপোর্টার থাকলে তাকে খুব ভাল পত্রিকা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। দুজন করে রিপোর্টার ছিল পাকিস্তান অবজারভার এবং আজাদে। বেশিরভাগ পত্রিকাতে একজন রিপোর্টার থাকতো আর কিছু সাব-এডিটর নেয়া হতো। যারা ভাল অনুবাদ করতে পারতেন তাদের মূল্যায়ন ছিল বেশি। সে সময় ৫৫ সালে পাকিস্তান সংবিধান নিয়ে অনেক হৈ চৈ হচ্ছিলো। করাচী পার্কে চৌধুরী মহম্মদ আলীর একটি সমাবেশে রেডিওতো প্রচার করা হয়। রেডিওতেই জনতার বিভিন্ন আওয়াজ শোনা যাচ্ছিলো ‘উসকো হাটা দেও, উসতো জুতা মারো ও হারামি হ্যায়’ সেদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিনে সংবাদ অফিসে কোন রিপোর্টার আসেননি। তখন এক্ষেত্রে এটি খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল। কারণ তখন সবাই প্রায় দুটো চাকরি করতো। দিনের বেলায় অন্য চাকরি করে রাত্রে সংবাদে আসতেন। বার্তা সম্পাদককে টেলিফোনে বিষয়টি জানানো হলে তিনি জানতে চাইলেন অফিসে কে আছে। বলা হলো একজন শিক্ষানবিস বসে আছেন। আমি রেডিও শুনে একটি প্রতিবেদন লিখে রেখেছিলাম। বর্তা সম্পাদক এসে একটি পত্রিকা কেটে অনুবাদ করতে দিলেন। এরপর আমার কাছে জানতে চাইলেন তুমি কি করছো। আমি ভয়ে ভয়ে আমার রিপোর্টটি তাঁর হাতে দিলাম। পরের দিন আমাকে দেখা করতে বললেন। আমি দেখা করতেই ৬০ টাকা বেতনের নিয়োগপত্র আমার হাতে দিলেন। যা পরের মাসে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছিল। এই বেতন বৃদ্ধি নিয়ে অনেকে কথাও তুলেছিলেন। পঞ্চাশের দশকেও সাংবাদিকতার এই অবস্থা ছিল আমাদের এখানে। স্বাধীনতা উত্তরকালে ১৯৬১ থেকে ১৯৬৪ পর্যন্ত দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সংবাদের অর্থনৈতিক দূরাবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, কখনও কখনও বেতন পাওয়া যেত দু-তিন মাস পর পর। পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে অনেক সমস্যায় পড়তে হতো সাংবাদিকদের। আর্থিক সঙ্কটে অনেকটা অতিষ্ট হয়ে দৈনিক পাকিস্তানে যোগ দেয়া ৬৪-তে। তখন কিছুটা আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসে। কিন্তু তাই বলে সকল বিষয়ে আপোস করে সাংবাদিকতা করাটা হয়ে ওঠেনি। ইচ্ছা থাকলে সততা থেকে বিচ্যুত না হলে এটা অসম্ভব নয়। আর্থিক অবস্থার সঙ্গে তখনকার দিনে নানা ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সাংবাদিকতা করতে হতো। এজন্য নানান কৌশল অবলম্বন করার কথাও জানান তিনি। এক সময় দৈনিক পাকিস্তান পরবর্তীকালে দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে তোয়াব খান পত্রিকাটিকে নিয়ে যান প্রচার সংখ্যার শীর্ষে। সদ্য স্বাধীন দেশে দৈনিক বাংলার প্রচার সংখ্যা ছিল এক লক্ষাধিক। কোন কোন সময় চার আনার পত্রিকা বায়তুল মোর্কারমের সামনে আড়াই টাকায়ও বিক্রি হতো। ব্যাপক জনপ্রিয় এ পত্রিকার কারিগর ছিলেন তোয়াব খান। এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। সংবাদপত্রের ক্ষেত্রে যা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকা উচিত। তিনি ১৯৭০-এর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণি ঝড়ের কথা উল্লেখ করে বলেন, অল ইন্ডিয়া রেডিও এবং বিবিসির সংবাদ শুনে মনে হচ্ছিলো ঝড়ে ব্যাপক প্রাণহানী ঘটবে। রাতেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই উপদ্রুত এলাকায় রিপোর্টার পাঠানোর। কিন্তু সেখানে তিনজন রিপোর্টার পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলেও খোঁজ করে পাওয়া যায় একজনকে। আমরা অফিসে থাকা দুজন সাব-এডিটর আর একজন রিপোর্টার পাঠাই। ওই সময় সাব-এডিটর নির্মল সেনের হিউম্যান স্টোরি ‘একটি লাশ চাই’ মানুষের হৃদয় স্পর্শ করে। ওইদিন তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত না নিলে এত ভাল ভাল সংবাদ প্রচার করা যেতো না। বাংলাদেশে আধুনিক সাংবাদিকতাও শুরু হয় তোয়াব খানের হাত ধরে। দীর্ঘদিন তিনি সরকারী নানান দায়িত্ব পালনের পর দৈনিক জনকণ্ঠে পত্রিকাটির সূচনা লগ্ন থেকে উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন। এর মধ্যে অবশ্য ১৯৯Ñ৯৩ সালে এক বছর দৈনিক বাংলায় ফিরে গিয়েছিলেন। সম্পাদক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার মৌলিক প্রশ্নে আপোস করতে না পারায় তোয়াব খানকে অপসারণ করে তৎকালীন সরকার। তিনি বলেন, আধুনিক সাংবাদপত্রে পত্রিকার প্রচার সংখ্যার সঙ্গে সঙ্গেতিপূর্ণ জনবল কাঠামো এবং প্রযুক্তি থাকতে হবে। কালকের প্রযুক্তি আজ ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। যারা এটা করবেন না, তারা পিছিয়ে পড়বেন। যে কোন রিপোর্টের ক্ষেত্রে রিপোর্টার নিজে দেখবেন, শুনবেন, কথা বলবেন তারপরই রিপোর্ট করতে হবে। এতে পত্রিকাকেও বিপদে পড়তে হবে না। আর রিপোর্টার নিজে খবর না নিয়ে কাউকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে সিন্ডিকেট রিপোর্টিং করলে সমূহ বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। এখনে কোন কোন রিপোর্টার যা করে চলেছেন, যা সাংবাদিকতার জন্য অশনী সঙ্কেত। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশে ১৫০ জন নিহত হওয়ার খবর বিবিসি পর্যন্ত প্রচার করে। কিন্তু আমাদের দেশে সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমন সাংবাদিকরা ভিন্ন কথা বলছেন। এভাবে গণমাধ্যমের সংবাদ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবাদিকদের অধিকার হরণকারী মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়া উচিত। তিনি সাংবাদিকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেশাদারিত্বের বিকাশের কথা তুলে ধরেন। এজন্য পিআইবি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন বলে মনে করেন তিনি। প্রেস এ্যান্ড পাবলিকেশন্স এ্যাক্টের অধীনে টাকা থাকলেই যে কেউ সংবাদপত্রের সম্পাদক হতে পারবেন এমন সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সব থেকে উন্নত গণতন্ত্রের দেশ ব্রিটেন এবং আমেরিকাতেও এমন সুযোগ নেই। সেখানেও এ ধরনের কাজে আসতে হলে নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট সংবাদ মাধ্যমে কাজ করে আসতে হয়। তোয়াব খান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালে যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে। তার লেখা এবং পাঠ করা পি-ির প্রলাপ মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। তিনি দেশে ফিরে আবার দৈনিক বাংলায় যোগ দেন। তবে সেখান থেকে চাকরিচ্যুত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর তথ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধুকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ মানবিকতা প্রবল ব্যক্তিত্ব ছিল। বঙ্গবন্ধু নিজে ডেকে আমাকে বলেছিলেন, তোমার আমাকে একটা কাজ করে দিতে হবে, যত দ্রুত করে দেবে তত দ্রুত তোমার ছুটি। তিনি আমাকে বলেছিলেন নির্বাচন হচ্ছে আমি প্রধানমন্ত্রী হলে তোমাকে আমার তথ্য সচিবের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর আমি প্রধানমন্ত্রী না হলে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে থাকবো তোমার যেখানে ইচ্ছা চলে যেতে পার। তথ্য সচিব হিসেবে কাজ শুরু করলে আমাকে একটা সরকারী বাড়ির বন্দোবস্ত দেয়া হয় সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আজ থেকে আমার কাছে বাইরের খবর আসা বন্ধ হয়ে গেল। ও থাকতো বাইরে আমাকে মানুষের খবর এনে দিতো। আজ থেকে ওকেও গ-ির মধ্যে আটকে দেয়া হলো। তোয়াব খান ১৯৭৮ থেকে ৮১ পর্যন্ত পিআইবির পরিচালক এবং মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ছিলেন ১৯৮১ থেকে ৮৭ পর্যন্ত। রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ এবং সাহাবুদ্দিন আহমদের প্রেস সচিব হিসেবে ১৯৮৭ থেকে ৯১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় দেশের সাংবাদিকতার বিকাশে নানা অবদান রাখেন তিনি। আড্ডায় অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক আবেদ খান, সালেহ চৌধুরী, শফিকুর রহমান এবং হাসান হাফিজ বক্তব্য রাখেন। আড্ডা সঞ্চালনা করেন পিআইবির মহাপরিচালক মোঃ শাহ আলমগীর। তোয়াব খানের কর্মময় জীবন সকলের সামনে তুলে ধরেন শামীমা চৌধুরী।
×