ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা আবাহনী ২- চট্টগ্রাম আবাহনী

ছয় মিনিটের ভেল্কিতে ঢাকা আবাহনীর জয়

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ১৭ এপ্রিল ২০১৫

ছয় মিনিটের ভেল্কিতে ঢাকা আবাহনীর জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম ম্যাচে ড্র করে হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে বড় জয় দিয়ে ছন্দ ফিরে পায়। তৃতীয় ম্যাচে জয় কুড়িয়ে নিলেও সমর্থকদের মন ভরাতে পারেনি ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ঢাকা আবাহনী বৃহস্পতিবার তাদের তৃতীয় লীগ (মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ) ম্যাচে বলতে গেলে কষ্টার্জিত জয়ই তুলে নিয়েছে (২-০, বিজয়ী দলের পক্ষে একটি করে গোল করেন জাবালোস সোরবা এবং গ্যাবর ডেমেন) প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের বিরুদ্ধে। কেননা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলায় প্রথমার্ধে কোন গোলই করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে ছয় মিনিটের ভেল্কিতে অবশ্য জোড়া গোল করে জয় নিশ্চিত করে তারা। চলমান লীগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবাহনী ২-২ গোলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন রহমতগঞ্জের সঙ্গে ড্র করেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে ফেনী সকারকে হারায় ৪-০ গোলে। ৩ খেলায় এটি আবাহনীর দ্বিতীয় জয়। পয়েন্ট ৭। চট্টগ্রাম আবাহনী তাদের প্রথম ম্যাচেই ঢাকা মোহামেডানের কাছে ০-৫ গোলে ধরাশয়ী হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য মুক্তিযোদ্ধার কাছে হারলেও হারের ব্যবধান ততটা বড় ছিল না (১-২)। তিন ম্যাচেই হারায় তারা এখনও খুলতে পারেনি পয়েন্টের ‘হালখাতা।’ ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। উভয় দলের খেলা ছিল নিষ্প্রাণ। দু’দলই বিক্ষিপ্ত কিছু আক্রমণ শাণালেও তা উল্লেখ করার মতো কিছু ছিল না। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঢাকা আবাহনী তাদের খেলার স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করে। এতে সাফল্যও আসে। প্রাপ্ত সুযোগগুলোর দুটিকে কাজে লাগিয়ে সেগুলোকে পরিণত করে গোলে। যা পারেনি চট্টলা আবাহনী। প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে অবশ্য গোলের একটি সুযোগ পায় ঢাকা আবাহনী। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ডি-বক্সের ভেতর বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ঢাকা আবাহনীর ফরোয়ার্ড আব্দুল বাতেন মজুমদার কোমল। তিনি পোস্ট লক্ষ্য করে জোরালো শট নিলেও সেই বল চমৎকারভাবে ধরে ফেলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক মোহাম্মদ এরশাদ। ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বিপদসীমানায় বল নিয়ে ঢুকে পড়েন ঢাকা আবাহনীর ডিফেন্ডার নাসিরুল ইসলাম। তারপর তিনি বল ক্রস করেন। কর্নারের বিনিময়ে সেই বিপজ্জনক ক্রস রুখে দেন চট্টগ্রামের এক ডিফেন্ডার। দ্বিতীয়ার্ধেও ঢাকা আবাহনীকে আটকে রাখতে সচেষ্টা ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। তাদের এ প্রতিরোধ ভেস্তে যায় ৭৩ মিনিটে। এগিয়ে যায় জর্জ কোটানের শিষ্যরা। কোমলের থ্রো থেকে বল পেয়ে ডিফেন্ডার শাকিল বল বাড়িয়ে দেন সতীর্থ হাঙ্গেরিয়ান ফরোয়ার্ড জাবালোস সোরবার উদ্দেশে। সেই বল প্লেসিং শটে বিপক্ষের জালে পাঠিেেয় ঢাকা আবাহনীকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন সোরবা (১-০)। ৬ মিনিট পরই আবারও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে সফল হয় ঢাকা আবাহনী। হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার গ্যাবর ডেমেন বল নিয়ে ঢুকে পড়েন প্রতিপক্ষের বক্সে। তাকে আটকাতে গিয়ে অবৈধভাবে নিজেদের বক্সে ফেলে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার কামারা মামাদো। রেফারি ভারতের চন্দ্র গৌড় কামারাকে হলুদ কার্ড দেখানোর পাশাপাশি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। তা থেকে গোল করতে কোন সমস্যা হয়নি ডেমেনের (২-০)। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে ঢাকা আবাহনী।
×