ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শরণখোলায় মাদ্রাসা সুপারের দাপট ॥ জমি দখল করে পুকুর খনন

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৫

শরণখোলায় মাদ্রাসা সুপারের  দাপট ॥ জমি দখল করে পুকুর খনন

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের শরণখোলায় কওমী মাদ্রাসার সুপার নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশের তোয়াক্কা না করে এক কলেজ প্রভাষকের প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের সম্পত্তি জবর দখল করে গাছপালা কেটে পুকুর খনন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মালিয়া রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা ও শরণখোলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক, মোঃ কাওছার হোসেনের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা ও মালিয়া রাজাপুর আলফালাহ কওমী মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আমিনুল ইসলাম ৭নং দক্ষিণ রাজাপুর মৌজার এস এ ৩৯২ খতিয়ানের ৩৪৫৮/৮৪৭৭ নং দাগের কাওসারের নিজ নামীয় ০.৬৬ একর সম্পত্তির গাছপালা কর্তন করে সেখানে মাদ্রাসার পুকুর খননের কাজ শুরু করেন। এতে ওই প্রভাষক বাধা দিলে মাওলানা আমিনুল ইসলাম প্রভাবশালীদের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন। বিষয়টির সমাধান পেতে গত ৩০ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করে সম্পত্তি দখল মুক্ত করার দাবি জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি মীমাংসার উদ্দেশে উভয়পক্ষকে নোটিস করে স্ব-স্ব অবস্থানে থাকার পাশাপাশি বিবাদমান সম্পত্তিতে পুকুর খননের কাজ স্থগিত করার নির্দেশ দেন। কিন্তু মাদ্রাসা সুপার ওই নির্দেশ অমান্য করে কলেজ প্রভাষকের জমিতে পুকুর খননের কাজ অব্যাহত রাখে। জমির দাতা হাজী আবদুল করিম বলেন, মাদ্রাসা সুপার তাকে ভুল বুঝিয়ে কিছু সম্পত্তি নিলেও প্রভাষক কাওছার তার কাছ থেকে সর্বপ্রথম জমি ক্রয় করেন। যে জমিতে পুকুর খনন শুরু করেছে সে জমি মাদ্রাসার নয়। তিনি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় জমি দখল করেছে। এ বিষয় মাওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, তিনি ব্যক্তিগত কাজে এলাকার বাইরে রয়েছেন, তবে বৃহস্পতিবার ২য় দফা নোটিস পেয়ে পুকুর খনন বন্ধ রাখার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত (সুপার) মাওলানা জুবায়ের হোসেনকে কাজ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। অপরদিকে, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ অতুল ম-ল জানান, পুকুর খননের কাজ অব্যাহত রাখলেও কাগজপত্রে কলেজ প্রভাষক কাওছার জমি পেলে ক্ষতিপূরণসহ ওই পুকুর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যাতে ভরাট করে দেয় সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×