ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উন্মুক্ত হবে আরব সাগরে প্রবেশের পথ

পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দরের নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দরের নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে

চীন ৪০ বছরের জন্য পাকিস্তানের গোয়াদার বন্দর পরিচালনার অধিকার পেয়েছে। এটি চীনের জন্য বিরাট সামরিক সুযোগ বয়ে আনতে পারে। চীন এখন উপসাগরীয় দেশগুলোতে প্রবেশের সুযোগ পাবে এবং ভবিষ্যতে আরব সাগরে একটি নৌঘাঁটি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে দেশটির জন্য। বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউন অনলাইনের। গোয়াদার বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান দোস্তাইন খান জামালদিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে হংকংভিত্তিক এক সংবাদ চ্যানেল জানায়, বন্দরটি পুরোপুরি ব্যবহারের উপযুক্ত হবে ২০১৫ শেষ হওয়ার আগেই। কারণ অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হওয়ার পথে। বন্দরের অর্থায়ন ও নির্মাণে রয়েছে চীন। এর কারণ, গোয়াদার বন্দর থেকে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কাশগার পর্যন্ত তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ পথে মধ্যপ্রাচ্যের তেল পরিবহনের জন্য একটি রুট খুলতে চাইছে দেশটি। টিভি রিপোর্টে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল নিয়ে গোয়াদার বন্দরে আনা হবে এবং তা রেল ও সড়ক পথে চীনে পরিবহন করা হবে। পারস্য উপসাগরের ঠিক মোহনায় এবং হরমুজ প্রণালীর ঠিক বাইরে গোয়াদার বন্দরের অবস্থান। বিশ্বের তেলের প্রায় ২০ শতাংশের প্রবেশ ও বহির্গমন পথ হচ্ছে এই হরমুজ প্রণালী। পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক কৌশলগত অধ্যায়ন বিষয়ক কেন্দ্রের উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য রিয়াজ মোহাম্মদ খানের উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে ফিনিক্স টিভি জানায়, এ বন্দর পরিস্থিতি পাল্টে দেবে; পাকিস্তান ও চীন দুই দেশই লাভবান হবে। তেল ও গ্যাস পরিবহনের জন্য চীনের জিনজিয়াং ও গোয়াদারকে সড়ক, রেলওয়ে ও পাইপ লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত করে একটি করিডর বা সংযোগ পথ তৈরি করছে চীন। চীনের পরিকল্পিত মেরিটাইম সিল্ক রুটের জন্য সেতু হিসেবে কাজ করবে এ করিডর। একটি আন্তঃইউরেশিয়া প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০টিরও বেশি দেশের মধ্যে সংযোগ তৈরি হবে। চীন গোয়াদার প্রকল্পের আরও উন্নয়নের জন্য ১০৬ কোটি ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে। এ বিনিয়োগ কর্মসূচিতে রয়েছে- একটি পোতাশ্রয় ও উপকূলীয় সংযোগে একটি পূর্বাঞ্চলীয় এক্সপ্রেসওয়ে, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সমুদ্রে বাঁধ নির্মাণ ও আরও ৯টি প্রকল্প নির্মাণ। এগুলো তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে বলে জানানো হয়েছে। টিভি রিপোর্টে বলা হয়, অচিরেই ১ হাজার ২শ’ মিটার পরিধির একটি কনটেইনার টার্মিনাল এবং ৩শ’ মিটার দীর্ঘ একটি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।
×