ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৩৩

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৩৩

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নগরী জালালাবাদে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। নানগরহর প্রদেশের পুলিশ প্রধান ফজল আহমদ শিরজাদ শনিবার এ খবর জানিয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এই হামলাকে কাপুরুষোচিত ও জঘন্য সন্ত্রাসী কর্মকা- বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। খবর এএফপি ও বিবিসির। শিরজাদ বলেছেন, শহরটির এক ব্যাংকের বাইরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে সরকারী স্টাফ ও সেনা সদস্যরা বেতন তুলছিলেন। এটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। তবে আত্মঘাতী হামলাকারী শরীরে বিস্ফোরক বেঁধে এসেছিল, নাকি গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করে এসেছিল এ ব্যাপারে এখনও পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি। হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। এই হামলার সঙ্গে জড়িত কোন গোষ্ঠী বা সংগঠন দায় স্বীকার করেনি। তবে এর সঙ্গে কোন ধরনের সম্পৃক্ততা প্রত্যাখ্যান করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির জঙ্গী সংগঠন তালেবান। যদিও এর আগে চালানো অনেক হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে তারা। তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, এটি অত্যন্ত জঘন্য একটি ঘটনা। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের পাশেই আরেকটি বোমা পাওয়া যায় এবং সেটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। জালালাবাদেই শনিবার সকালে এক মাজারের বাইরে আরেকটি বোমার বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এতে এখনও হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। ওই হামলার এক প্রত্যক্ষদর্শী জায়িদ খান বলেছেন, আমি অনেক নিহত ও আহত লোকজনকে নিচে পড়ে থাকতে দেখেছি। এ্যাম্বুলেন্স অনেক দেরিতে আসার ফলে অনেক আহত লোক ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। এর আগে ১০ এপ্রিল জালালাবাদে ন্যাটো গাড়িবহর লক্ষ্য করে চালানো আত্মঘাতী গাড়ি বোমা হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। জাপানী জঙ্গীবিমানের তৎপরতা স্নায়ুযুদ্ধ যুগের পর্যায়ে জাপানের জঙ্গী বিমানগুলো ক্রমশ বেশি বেশি চীনা ও রুশ বিমানের মুখোমুখি হচ্ছে। বিদেশী বিমান বিশেষত রুশ ও চীনা বিমানের জাপানী আকাশসীমার দিকে আসতে থাকার পথে বাধা দিতে জাপান প্রায় নজিরবিহীন মাত্রায় নিজের জঙ্গী বিমানকে আকাশে উড্ডীয়মান হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। টোকিওতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একথা জানায়। খবর বিবিসি ও ইয়াহুনিউজের। জাপানী জঙ্গী বিমানের জরুরী উড্ডয়নের মাত্রা এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যা তিন দশক আগে স্নায়ুযুদ্ধের চূড়ান্ত সময়ের পর আর কখনও দেখা যায়নি। রুশ বোমারু বিমানের জাপানের উত্তর আকাশে গোয়েন্দা তৎপরতার এবং দক্ষিণ আকাশে চীনা কম্ব্যাট বিমানের অনুপ্রবেশের প্রেক্ষাপটে জাপানকে এ ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। জাপানী জঙ্গী বিমানগুলো ২০১৪ অর্থবছরে ৯৪৩ বার বিদেশী বিমানের মুখোমুখি হয়েছিল। এটি ২০১৩ অর্থবছরের তুলনায় শতকরা ১৬ ভাগ বেশি। এটি ঠা-া লড়াইয়ের যুগে ১৯৮৪ সালের রেকর্ডসংখ্যক ৯৪৪ বারের তুলনায় মাত্র ১ বার কম। সেই সময়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বিমানগুলো জাপানের চারদিকে খুবই সক্রিয় ছিল। কিন্তু কোন বিমানই জাপানের আকাশসীমা ছাড়িয়ে যায়নি বলে ঐ মন্ত্রণালয় জানায়।
×