ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চীনে পানিস্বল্পতা জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

চীনে পানিস্বল্পতা জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

১৯৯৯ সাল, তখনও তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রী হননি, ওয়েন জিয়াবাও সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, পানির ঘাটতি দেশের অস্তিত্বের প্রতি একটি বড় ধরনের হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে। ১৬ বছর পর সেই হুমকি আরও বেশি করে অশনি সঙ্কেত হয়ে উঠেছে, যা চীনের জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার প্রতি বৈরী ছায়া ফেলেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক, এমনকি বৈশ্বিক পরিণতির প্রেক্ষিতে জরুরী সমাধান দাবি করছে। এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগুতে বিশ্ব পানি ফোরামে প্রকাশিত এক রিপোর্টে চীনের অপ্রতুল, অসমভাবে বণ্টন করা এবং প্রায়শ দূষিত পানি সরবরাহের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। হংকংভিত্তিক এনজিও চায়না ওয়াটার রিস্ক প্রকাশিত রিপোর্টে চীন পানি, জ্বালানি সরবরাহ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে গুরুত্বের অগ্রাধিকারদানকে কিভাবে সামাল দেয়া যায় সেই চ্যালেঞ্জের জটিলতাকে তুলে ধরেছে। রিপোর্টে বলা হয়, ‘চীনের পানি, জ্বালানি ও জলবায়ু যোগসূত্রের কোন অভিন্ন সমাধান নেই। ‘আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো- চীনের জ্বালানি পছন্দের অধিকার শুধু বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনকেই প্রভাবিত করে না বরং এশিয়ায় পানির লভ্যতাকেও প্রভাবিত করে থাকে।’ রিপোর্টে এশিয়ার প্রমত্তা নদীগুলোর উজানে চীনের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার পরিণতিতে ভবিষ্যতের ‘পানিযুদ্ধের’ সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কেও সতর্ক করে দেয়া হয়। চীনের কিংহাই-তিব্বত মালভূমি অঞ্চল মূলত বিশ্বের বৃহত্তম জলাধার এবং সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র ও মেকংসহ এশিয়ার সবচেয়ে বিস্তৃত নদী ব্যবস্থার উৎস। রিপোর্টে ওই যোগসূত্রের মধ্যে যে সংযোগকে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বলে বর্ণনা করা হয়েছে তা হলো- চীনের বিদ্যুত উৎপাদন ব্যবস্থার ৯৩ শতাংশই পানিনির্ভর। -এএফপি তাঞ্জানিয়ায় সোনার খনি ধসে ১৯ জনের মৃত্যু তাঞ্জানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এমসালালা এলাকার একটি সোনার খনি ধসে পড়ে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শ্রমিকরা এ সময় সেখানে কাজ করছিল। স্থানীয় এক সরকারী কর্মকর্তা শনিবার এ খবর জানিয়েছেন। খবর এএফপির। এ ঘটনায় ১৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় কমিশনার বেনসন এমওয়াম্পেসায়া বলেন, ‘খনিটি ধসে পড়লে এবং সেখানে কর্মরত বেশ কয়েকজন চাপা পড়ে। মাটি খুঁড়ে সেখান থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’ তাঞ্জানিয়া আফ্রিকার চতুর্থ বৃহত্তম সোনা উৎপাদনকারী দেশ। সোনা দেশটির অন্যতম প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খনিজ ধাতু।
×