ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোন্ ভূতদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে চাইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়?

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২১ এপ্রিল ২০১৫

কোন্ ভূতদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে চাইছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়?

বাংলাদেশে যখন কোন বড় ঘটনা ঘটে ঠিক তার পর মুহূর্তেই দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাদের দায়িত্বে অবহেলা হয়েছে ভেবে নিয়ে পুরো ঘটনাকেই অস্বীকার করতে শুরু করেন। একটি ক্ষুদ্র দেশ, এত মানুষের দেশে শত চেষ্টা সত্ত্বেও যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারে সেকথা তারা বুঝতেই চান না। প্রথমেই অস্বীকার এবং পরবর্তীতে সেই অস্বীকারকে সমুন্নত রাখতে গিয়ে তারা একের পর এক হাস্যকর কথা বলতে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত সবকিছুই চেপে যান। এমনকি দোষীদের চিহ্নিত করা গেলেও, গ্রেফতার করা হলেও, শাস্তি দিলেও প্রথম দিককার সেই অস্বীকার-তত্ত্বের কারণে কোন প্রশংসাই শেষ অবধি আর অবশিষ্ট থাকে না। নববর্ষ উদ্্যাপনের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে তা প্রথমেই স্বীকার করে নিয়ে এখন যা যা করা হচ্ছে (পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে বরখাস্ত করাসহ) তা যদি করা যেত তাহলে চারদিকে এত ছিঃছিক্কার পড়ত না। বরং মানুষ আস্থাশীল হতে পারত কর্তৃপক্ষের বিশেষ করে পুলিশের ওপর। কিন্তু এই ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে হাস্য-পরিহাসের জন্ম দিয়েছে তা রীতিমতো আপত্তিকর এবং দেশের প্রধানতম বিদ্যাপীঠের কাছ থেকে এটা কারোরই কাম্য হওয়ার কথা নয়। দেশের যে কোন প্রধান অনুষ্ঠানাদি তা সে পহেলা বৈশাখ হোক, ছাব্বিশে মার্চ হোক কিংবা একুশে ফেব্রুয়ারিই হোক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকাই হয়ে ওঠে সকলের সমাগত হওয়ার কেন্দ্রস্থল। এটা আসলে বলতে গেলে ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এরকম প্রাপ্তিযোগ পৃথিবীর অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে ঘটে বলে জানা নেই। সেদিক দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত হওয়ার কথা এবং তাদের আলাদাভাবে দায়িত্বশীল হওয়ারও কথা। সবচেয়ে বড় কথা, বাঙালী জাতি-ইতিহাসের অংশ হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দেশবাসীর চাওয়ার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আরও বেশি যতœবান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবারের পহেলা বৈশাখের ঘটনা প্রমাণ করেছে যে, দেশের আর দশটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের ঔদাসীন্যের সঙ্গে তাদের অবহেলা এবং এড়িয়ে যাওয়ার ন্যূনতম পার্থক্য নেই। বরং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়ে এবার প্রমাণ করে দিয়েছে যে, এটা আসলে কেবলমাত্র ‘পুরুষদের’ বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে আসলে মেয়েদের আর লেখাপড়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। কারণ নারীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়া এক কথা, আর তা অস্বীকার করা এবং তাকে হাল্কা করার প্রবণতা আসলে অপরাধেরই পর্যায়ে পড়ে। আমরা জানি যে, আজকাল ঢাকায় বা বাংলাদেশের যে কোন জায়গাতেই বড় কোন আয়োজন হলে পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয় এবং তাতে দৃশ্যাবলী ধারণ করা হয়। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে আয়োজিত উৎসবে ঢাকা শহরের বিশেষ এলাকায় এই সিসিটিভি কাজ করছিল। ভিডিও ফুটেজ দেখেই এখন প্রমাণ করা গেছে যে, একদল ভয়ঙ্কর জন্তুবিশেষ এই অনুষ্ঠান-আয়োজনস্থলকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ হয়ে ইচ্ছাকৃত ভিড় তৈরি করে মেয়েদের ওপর আক্রমণ করেছে। এই আক্রমণকে আর কোন শব্দের সঙ্গে যুক্ত করে প্রকাশ করার কোন কারণ নেই। এখানে যদি ছেলেদের আক্রমণ করা হতো এরকম সংঘবদ্ধ হয়ে তাহলে আমরা যে ভাষায় তা প্রকাশ করতাম, এখানেও সে ভাষাতেই এটা প্রকাশ করতে হবে। যৌন নিপীড়ন, আক্রমণ, নির্যাতন ইত্যাদি বলে বিষয়টির ঘনত্ব আরও বাড়ানোর দিন শেষ হয়েছে, এই অসভ্যতাকে আলাদা করে ‘অসভ্যতা’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা আসলে নারীকে খাটোই করে। যা হোক, এইসব ফুটেজ বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সংঘবদ্ধ চক্র আসলে এই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই উৎসবস্থলে এসেছিল। তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে এখনই বলতে গেলে হয়ত অতি সরলীকরণ হয়ে যাবে কিংবা তাতে ভুলব্যাখ্যারও অবকাশ থেকে যায়। কিন্তু আমরা বিগত অনেক বছর ধরেই বলে আসছি যে, বাংলাদেশে নারীকে অন্দরবাসিনী করার লক্ষ্যে যে ধর্মগোষ্ঠী মাঠে নেমেছে তারা পরিকল্পিতভাবেই নারীকে প্রকাশ্যে আঘাত হেনে বুঝিয়ে দিতে চাইছে যে, নারীকে ঘরে ফিরে যেতে হবে, তাকে আর প্রকাশ্য হতে দেয়া যাবে না। এই ধর্মবাদী গোষ্ঠীর কাজই এটা কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট করে বলার সময় আসেনি। কিন্তু আবার ’৭১-এর রিপোর্টার ফারজানা রূপাকে এই ফুটেজ বিশ্লেষণী সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রাণনাশের হুমকি প্রমাণ করে যে, এরা আসলে অভিন্ন। সেক্ষেত্রে নারীকে সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমণ করার লক্ষ্যেই তারা এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। ঘটনাস্থলে যারা উপস্থিত ছিলেন, যারা আক্রান্ত মেয়েদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন, যারা সে কারণে আহতও হয়েছিলেন তাদের বক্তব্য অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিষয়টিকে বলতে গেলে ‘হেসে উড়িয়ে’ দিতে চেয়েছে প্রাথমিকভাবে। তারা মনেই করেনি যে, এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে কিংবা ঘটনাটি আসলেই ভয়ঙ্কর। মিডিয়ার কল্যাণে, সামাজিক গণমাধ্যমে ছবি প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার ফলে চারদিকে যখন শোরগোল উঠেছে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুম একটু একটু আড়মোড়া দিয়ে ভাঙতে শুরু করেছে। আগেই বলেছি যে, এই বিশ্ববিদ্যালয় তো ‘বালক-বিশ্ববিদ্যালয়’ নয়, এখানে মেয়েরাও পড়ে, এখানে এখনও তেমন কোন আইন করা হয়নি যে, মেয়েরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না। কিন্তু এত বড় নারীনিগ্রহের ঘটনায় যখন বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তখন পরবর্তীতে এখানে ছাত্রী ভর্তি হবে কোন্্ ভরসায়? আর সব কিছু যদি বাদও দিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে একজন সজ্জন ও হৃদয়বান ব্যক্তি বলেই জানি। ব্যক্তিগত পরিচয় থেকে জানি যে, তিনি আসলে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি ভালবাসেন, কিন্তু সন্তানদের মধ্যে মেয়ে-সন্তান যারা তাদের প্রতি তার এই অবহেলা যে মেনে নেয়া যায় না কোনভাবেই। তিনি কি করে প্রাথমিক অবস্থাতেই ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেননি? কেন তিনি আজ অবধি (এই লেখা যখন লিখছি তখনও পর্যন্ত) কোন বিবৃতি দেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানকে পরিষ্কার করে? কেন আমাদের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবি শনাক্তের জন্য মিডিয়ার অপেক্ষা করতে হলো? এই কাজটি তিনি কেন আগেই করালেন না? এখনও অবধি ভিসি মহোদয় কি ওই যুবকদের যারা সেদিন আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও নারীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন তাদের ডেকে আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ দিয়েছেন? তাদের পুরস্কৃৃত করার ব্যবস্থা করেছেন? কিংবা অন্ততপক্ষে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে মিডিয়ার সামনে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছেন একটু? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু সেগুলোর জবাব দেবেন না বা দিতে পারবেন না বলেই মনে হয়। সবচেয়ে বড় কথা, এরপর তিনি কোন নারী অধিকার বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি কিংবা বিশেষ অতিথি হয়ে গিয়ে কী বলেন সেটা আমার খুউব শোনার ইচ্ছে রইল! খুব হাস্যকর শোনাবে নিশ্চয়ই? আমি নিশ্চিতভাবেই জানি যে, এই লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর আমাদের প্রিয় ভিসি মহোদয় বিষয়টিকে ব্যক্তিগতভাবেই নেবেন এবং আমার প্রতি কুপিত হবেন। কিন্তু আমার লেখার উদ্দেশ্য যে তিনি নন, তার পদটি, সেকথা আমাকে উল্লেখ করতেই হবে। এই পদ রক্ষার জন্য হয়ত তাকে অনেক সময়ই অনেক জায়গায় অনেক ব্যাপারে ‘কম্প্রোমাইজ’ করতে হয়। সরকারী পদের নিশ্চয়ই এটা এক ধরনের ‘সেট-ব্যাক’। কিন্তু আলোচ্য ঘটনার ক্ষেত্রে তিনি যদি প্রথমেই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে তার নিজস্ব অনুসন্ধান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নিতেন তাহলে বিষয়টি এতটা দৃষ্টিকটু হতো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী হয়রানির ঘটনা প্রায়শই ঘটে, তা পত্রপত্রিকার রসালো শিরোনামও হয়, কিন্তু কোনটির বিচারে অভিযুক্তদের শাস্তি হয়েছে বলে জানা যায় না। এমনকি আমাদের প্রিয় ভিসি স্যারের আমলেও হয়নি। প্রশ্ন তুলতেই পারি, কেন হয়নি? জাতি-ইতিহাসের অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি তবে নারীদের জন্য একেবারেই নিরাপদ নয়? কি শিক্ষক, কি ছাত্র, কি কর্মকর্তা-কর্মচারী, নারী হলেই তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও নিগ্রহের শিকার হতেই হবে? এখানে কি নারীকে একটু নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে দেয়া যায় না? পহেলা বৈশাখের ঘটনার পরে এসব প্রশ্ন করাটাও যেন এখন খুবই হাস্যকর শোনাচ্ছে নিজেরই কাছে। বাংলাদেশ বদলে যাচ্ছে, আমরা অত্যন্ত নষ্ট সময় পার করছি। এই সময়ে কারও কাছে কিছু চাওয়ার থাকতে পারে না। বিগত চল্লিশ বছরে নারীর প্রতি সহিংসতার খবর নিয়ে কেউ গবেষণা করলে এমন সব সন্দর্ভ প্রকাশ করতে পারত যে, সেসব অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করত। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে, নারী এগিয়েছে, সম্পূর্ণই নিজের চেষ্টায়, নিজের বলে। রাষ্ট্র কখনও কখনও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে ঠিকই, কিন্তু সমাজ ও পরিবার নারীর কাছ থেকে সুযোগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে বার বার। কিন্তু নারীকে নিরাপত্তা দেয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র-সমাজ-পরিবার এই তিন ক্ষেত্রেরই ব্যর্থতা সীমাহীন। আর ধর্ম? বাংলাদেশের নারীকে যখন আর কোন কিছু দিয়েই ‘দাবায়ে’ রাখা যাচ্ছে না, তখন ধর্ম দিয়ে তাকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টায় নেমেছে ধর্মোন্মত্তরা, ঠিক সেই সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও যদি তাদের সঙ্গে কাতারবন্দী হয় তাহলে ওই সংঘবদ্ধ জন্তুদেরই জয়ী হওয়ার সুযোগ তৈরি হয় কেবল। একথা কাকে বোঝাব? কেউ আমাদের চেয়ে কম বোঝেন একথা বলার ধৃষ্টতা আমার নেই। কিন্তু বুঝলে আজকে পরিস্থিতি ভিন্ন হতো, তাতে কোনই সন্দেহ নেই। বেশ অনেক বছর ধরেই শুনে আসছি যে, পহেলা বৈশাখ বেদাতি, অনৈসলামী ইত্যাদি ইত্যাদি। রমনার বটমূলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছিল যে, বাংলাদেশে আসলে এইসব চলতে দিতে চায় না একটি পক্ষ। শেখ হাসিনার সরকার এই জঙ্গীদের দমন করতে সফল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাদের ছানাপোনাদের উজাড় করার সামর্থ্য সরকারের তখনই হবে যখন দেশের মানুষের ভেতর এদের বিষাক্ততার বোধ জন্মাবে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঝড় বইছে আক্রান্ত মেয়েদের নিয়ে কুৎসিত মন্তব্যে। সেদিন সংঘবদ্ধ জন্তুরা যা পারেনি তা করছে তথাকথিত শিক্ষিত তরুণদের অনেকেই। এই এদের নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এটা ভাবতেই মনে হয়। এই সামনের দিকে যাওয়া আসলে কোন্্দিকে যাওয়া? ভূতের নাকি পেছনে পা। ভূতে বিশ্বাস না করেও এই প্রবাদটিকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সত্য মনে হয়। মনে হয় শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে সামনের দিকে যতই টানছেন, ততই এদেশের মানুষের একটি বড় অংশ ‘ভূতের মতো’ পেছনের দিকে হাঁটছে। দুঃখজনক হলো, এই পেছনে পাওয়ালা ভূতগুলোর অন্যায়কে ও অপকর্মকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাষ্ট্রের কোন কোন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল তথা শক্তিগুলো প্রশ্রয় দিতে শুরু করে তখন আর কিছু বলার জন্য অবশিষ্ট থাকে না। আরও দুঃখের যে, এই আশ্রয়-প্রশ্রয় পাওয়া ভূতদের মূল টার্গেট হয় কিন্তু নারীরাই। কারণ ভূতেরা জানে, সুযোগ পেলে নারীরা তাদের পেছনে রেখেই ‘মানুষ’ হয়ে উঠতে জানে। ২০ এপ্রিল, ২০১৫ সধংঁফধ.নযধঃঃর@মসধরষ.পড়স
×