ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:২২, ২২ এপ্রিল ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

নির্বাচনী প্রচারণা ও দগ্ধ বাস বেগম খালেদা জিয়া সিটি নির্বাচনে প্রচারণা চালাচ্ছেন, বাস মার্কায় তার প্রার্থীকে ভোটদানের জন্য। যে বাস তিনি বিগত তিনমাস ধরে পেট্রোলবোমা মেরে পুড়িয়েছেন শুধু নয়,চালক,হেল্পার ও যাত্রীদেরও মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। তবে বার্ন ইউনিটে দগ্ধদের হাহাকার দেখতে যান নি। তবে এই বর্বরতাকে তিনি অনায়াসে অস্বীকার করছেন যে, তিনি এসব করাননি। তবে কারা অবরোধ,হরতাল ডেকে সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছে। আজকে অবরোধ প্রত্যাহারের পর দেখা যাচ্ছে যে, বোমাবাজির শব্দ হয়ে গেছে স্তব্ধ। প্রচারণাকালে টাউন সার্ভিসের বাস চালক ও হেল্পারদের সঙ্গে দেখা হলেবেগম জিয়া জানবেন কী নির্মমভাবে তাদের সহকর্মীদের পেট্রোলবোমা মেরে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছেন, পুড়িয়েছেন তার জীবিকার সম্পদ বাহন বাস।যদি প্রচারণার ফাঁকে বার্ন ইউনিটে যান,দেখবেন যারা এখনও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন পাঞ্জা,তাদের দগদগে ক্ষতের দিকে তাকালেই বুঝবেন কী নির্মমতায় তিনি মানুষকে হত্যায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থেকেছিলেন। তাদের স্বজনদের আহাজারি শুনুন, তাতে হয় তো ওনার পাষাণ হৃদয় গলবে না। তিনি অনায়াসে স্বভাবসুলভ মিথ্যাচারকে সামনে এনে বলে ফেলবেনই, এটা সরকারের কাজ। আরো আগের কথা না হয় বাদই দেয়া যায়,বিগত তিনমাসে সরকারকে উৎখাতে অবরোধ নামক মানুষ হত্যার কর্মসূচি পালন করলেন, অথচ তা তিনি স্বীকার করছেন না। কিন্তু তথ্য উপাত্ত তো বলে সবই ওনার কৃতকর্মের ফলাফল। সরকারের উদারনৈতিক আচরণের ফলে বিএনপি-জামায়াতজোট আজ মানুষের কাছে যাবার সুযোগ পেয়েছে।বর্তমান বিশ্বে পরিবর্তনের ছোঁয়ায় বিএনপি নেত্রী নিজস্ব বিচার বুদ্ধি,বিবেক হারিয়ে ফেলেছেন। দেশকে শ্বাপদসংকুল করে তুলেছেন। নৈতিক মূল্যবোধ নিয়ে বাড়াবাড়ি,রাজনৈতিক সততায় অনাস্থা, বিশেষ করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা এবং দেশবিরোধী তৎপরতায় বিএনপির অবস্থান সর্বজনবিদিত। নির্লজ্জ নীতিহীনতায় আক্রান্ত বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনকে তাদের চোরাগুপ্তা হামলার পথ হতে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সরকারকে অভিনন্দিত করবে-এমন কৃতজ্ঞতাবোধ তারা লালন করেন না। সাময়িকলাভ দেশবাসীর যে, বোমাতংকমুক্ত চলাফেরার সুযোগটা করে দিয়েছে নির্বাচন।বেগম জিয়া নির্বাচনে ব্যালটে নীরব বিপ্লব করার জন্য কর্মীদের বলেছেন। নির্বাচন যেখানে হচ্ছে উৎসবমুখর,সেখানে নীরব বিপ্লব মানেই অন্যকিছু। তবে তিনি যদি পেট্রোলবোমা মুক্ত হবার কথা পাশাপাশি বলতেন ,তবে স্বস্তি পেতো জনগণ। জাফর ওয়াজেদ বাবর রোড, মোহাম্মদপুর ঢাকা। সড়কপথে দীর্ঘ মৃত্যুর মিছিল দেশে সারা বছর যে রকম মর্মান্তিক ও ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে তার জন্য দায়ীকে? কেন এই সড়ক পথে দুর্ঘটনায় দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল? কোনভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না সড়ক পথের দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। আহত হচ্ছে অনেকেই। আবার কেউ সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়েছে। এদের নিদারুণ কষ্টে কাটছে জীবন। এসব দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হারিয়ে দারিদ্র্যের কাতারে নেমে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ বা মামলা করেও ভিকটিম প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা পায় না। এমনকি পায় না যথাযথ ক্ষতিপূরণ। ছাইদুর রহমান নাঈম কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ।
×