রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ শুক্রবার থেকে কুড়িগ্রাম শহরে পৌরসভার পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শহরে পানির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি পাড়া, মহল্লার মানুষ পানির জন্য বিভিন্ন এলাকায় টিউবয়েলের পানি সংগ্রহ করছে। অনেকে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে চড়া দামে পানি কিনে এনে কোন রকমে জীবন রক্ষা করছে।
পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোন প্রতিকার পাননি স্থানীয়রা। তবে পৌর মেয়র বলছেন ট্রান্সফরমারের তার পুড়ে যাওয়ায় ট্যাংকিতে পানি তোলা যাচ্ছে না বলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার শহরের হরিকেশ মোড়ের ট্রান্সফরমার এর তার পুড়ে যায়। এতে ওই অঞ্চলেও বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে পানির ট্যাংকিতে পানি ওঠাও বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়ে পৌর কর্তৃপক্ষ। বিদ্যুত বিভাগের কছে ট্রান্সফরমার না থাকায় তারা দ্রত মেরামতের অপরাগতা জানায়। পৌরবাসী অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে কবে পানির সরবরাহ শুরু হবে। কুড়িগ্রাম পৌরসভায় প্রতিদিন ২০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ১ হাজার ৪৪ ঘন মিটার পানি উত্তোলন করে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। শহরের মজিদা আর্দশ মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক লাইলুন নাহার জবা জানান শহরের অধিকাংশ মানুষ সাপ্লাইয়ের পানির ওপর নির্ভরশীল। চারদিন থেকে পানি না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পৌরবাসী।
কুড়িগ্রাম বিদ্যুত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম ম-ল জানান, আমাদের কাছে নতুন কোন ট্রান্সফরমার মজুদ নেই। বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
পৌর মেয়র নুর ইসলাম নুরু জানান, পানির অভাবে মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বুঝতে পারছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিদ্যুত বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। খুব তাড়াতাড়ি পানির সাপ্লাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
উলিপুরে সাবেক স্বামীর খুরের আঘাতে কলেজ ছাত্রী আহত
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের অর্নাস ৩য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী মাসুদা খাতুনকে (২২) তার সাবেক স্বামী খুর দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে মারাত্মক আহত করেছে। অভিযুক্ত আহসান হাবীব শোভন (২৮) কে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। আহত ছাত্রীটি এখন রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে উলিপুর উপজেলার হেলিপ্যাডে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের সাতদরগাহ গ্রামের সাইফুল ইসলামের কন্যা কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ৩য় বর্ষের ছাত্রী মাসুদা খাতুনের সঙ্গে ১ বছর আগে ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের আহসান হাবীব শোভনের বিয়ে হয়। অস্বাভাবিক নির্যাতনের কারণে পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রায় ৪ মাস আগে মাসুদা খাতুন তাকে ডির্ভোস দেয়। সম্প্রতি ধামশ্রেণি ইউনিয়নের শিমুল নামের এক যুবকের সঙ্গে মাসুদা খাতুনের পুনরায় বিয়ে হয়। নতুন বিয়ের খবরে শোভন ক্ষুব্ধ হয়।