ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

‘দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণ’ আমাদের রাজনৈতিক নেতারা নানা রকমভাবে কঠোর সমালোচনায় মুখরিত। গণতন্ত্র না থাকলে তো তাঁরা বিরূপ সমালোচনা করার সুযোগ পেতেন না। তাহলে কেন তাঁরা বলছেন গণতন্ত্র নাই। তাদের কথায় প্রমাণিত গণতন্ত্র বিদ্যমান, গণতন্ত্র আছে বলেই বাসে, ট্রেনে, লঞ্চে উঠলেই যার যেমন মন চায়, এবং কত না বেফাঁস কথাবার্তা বলছে আমজনতা। সরকার এবং বিরোধী দলের নানা সমালোচনা করছেন প্রতিনিয়ত। ভোটের কথা কি বলব, দেশের ৪০ ভাগ ভোটার ভোট দিতে যান না, নানা কারণে, কারও হাতে সময় নাই। আবার কারও মন্তব্য ভোট দিয়ে লাভ কি? আবার ২৫% ভোটার না-বুঝে কোন রকম চিন্তাভাবনা না করে ভোট প্রদান করেন বটে তবে তাঁরা টাকার বিনিময়ে গড়ফাদার কিংবা কলাগাছ মার্কা প্রার্থীদের নির্বাচিত করেন। যা মোটেও সমীচীন নয়। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত দেশে কোন গণতন্ত্র ছিল না। জেনারেল জিয়া কিংবা এরশাদ ১৪৪ ধারা দিয়ে দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশ চালিয়েছেন। যারা সেই অবস্থা দেখেছেন, তারাই শুধু গণতন্ত্রের ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। দেশের জনগণ বুঝে গেছে দেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান। তাই তারা কোন ছলনায় কিংবা ছলনাময়ী নেতা-নেত্রীর ডাকে বা লোভে রাস্তায় আন্দোলনে যেতে রাজি নয়। আশা করি বাঘা বাঘা নেতারা জনতার মনের কথা বুঝতে পারবেন। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী আসুন ভুলগুলো শুদ্ধ করে নেই একসময় বাঙালী ছেলে-মেয়েরা পহেলা বৈশাখ বরণ করত বাসন্তী রঙের জামা-কাপড় গায়ে দিয়ে, ফিডব্যাক ব্যান্ডের গান শুনলেই তার প্রমাণ পাওয়া যায় ‘এ বুঝি বৈশাখ এলেই শুনি, মেলায় যাইরে; মেলায় যাইরে; বাসন্তী রঙ শাড়ি পরে ললনারা হেঁটে যায়, মেলায় যাইরে; মেলায় যাইরে। ‘আসলে বাসন্তী রঙের জামা-কাপড় গায়ে দিয়ে পালন করতে হবে পহেলা ফাল্গুন কারণ বসন্তের রঙ লালবাসন্তী, প্রতিবছর ফাল্গুন মাসেই আমাদের দেশের প্রকৃতি বৃক্ষ পুরনো সব পাতা ঝরিয়ে নতুন পাতা জন্ম দেয়। প্রতিবছর ফাল্গুন মাসেই পলাশ, শিমুল গাছে লাল রঙের ফুল ফুটে; সেই সময় দেশের প্রকৃতি বৃক্ষ লাল বাসন্তী রঙ ধারণ করে এবং বসন্তকালেই বাসন্তী ফুল ফুটে! তাই প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে লাল বাসন্তী রঙের জামা-কাপড় গায়ে দিয়েই বসন্তবরণ করার নিয়ম। আর পহেলা বৈশাখ পালন করতে হবে লাল সবুজ রঙের জামা-কাপড় গায়ে দিয়ে- কারণ গ্রীষ্মের রঙ লাল সবুজ! গ্রীষ্মকালে দেশব্যাপী কৃষ্ণচূড়া গাছে লাল রঙের ফুল ফোটে! আর বৃক্ষের পাতাও বাসন্তী রূপ বদলিয়ে সবুজ রঙ ধারণ করে। তাই প্রকৃতির রঙের সঙ্গে মিশে গিয়ে লাল সবুজ রঙের জামা-কাপর গায়ে দিয়েই পহেলা বৈশাখ পালন করার নিয়ম। তাছাড়া আমাদের জাতীয় রঙও লাল সবুজ তাই আমাদের জাতীয় উৎসবে লাল সবুজ রঙের জামা-কাপর গায়ে দিয়েই আনন্দ ফূর্তি করা ঠিক হবে। দিপু ও মোনালিসা ঢাকা অপ্রতুল পাবলিক টয়লেট রাজধানী ঢাকা শহরের আয়তন বিশাল। লোক সংখ্যা দুই কোটি। ভাসমান লোকের সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ঢাকার বাহির হতে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ মানুষ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসে এবং কাজকর্ম শেষ করে চলে যায়। বৃহত্তর ঢাকা শহরে প্রতি কিলোমিটারে অন্ততপক্ষে ১০টি টয়লেট থাকা প্রয়োজন। ভাসমানসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অস্থায়ী চলমান পথিকদের জন্য টয়লেট স্থাপন অবহেলার বিষয় নয়। লোক সংখ্যার বিবেচনায় বর্তমানে যে পরিমাণ টয়লেট রয়েছে তা অত্যন্ত অপ্রতুল। টয়লেটগুলো দুর্গন্ধযুক্ত ব্যবহার অনুপযোগী। পানি পাওয়া যায় না। ভাঙ্গা-ফুটা, লোটা-বদনা ময়লাতে ভরা। নাকে, মুখে টিসু পেপার চেপে টয়লেট ব্যবহার করতে হয়। সাবান বা পাউডার নেই। হাত-পা ধোয়ার জন্য পানির ব্যবস্থা নেই। সর্বত্র একই অবস্থা। টোকাই, ছিনতাইকারী, নেশাখোর, পতিতাদের দৌরাত্ম্য ও আনাগোনা বিপদের কারণ। প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক টয়লেট না থাকার কারণে ভাসমান নর-নারী ও পথশিশু প্রতিটি পার্ক, মাঠ, লেক, অডিটরিয়াম এলাকা, স্টেডিয়াম, নীরব-নির্জন সড়ক, ফুটপাত, টার্মিনাল, রেল ও বাসটার্মিনাল প্রভৃতি স্থানে রাতের আঁধারে এবং দিনের বেলা যত্রতত্র পায়খানা তথা মলমূত্র ত্যাগ করার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। দূষিত বাতাসে পরিবেশ ভারি হচ্ছে। প্রতিটি টয়লেটে পানির ও আলোর ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সবার প্রত্যাশা। মেছের আলী শ্রীনগর
×