ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহীতে মাদক পাচারে এবার ভিক্ষুক

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৩ এপ্রিল ২০১৫

রাজশাহীতে মাদক পাচারে এবার ভিক্ষুক

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ মাদক জোন হিসেবে খ্যাত রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিভিন্ন সময় নানা কৌশলে মাদক পাচারের পর এবার মাদক সিন্ডিকেট ব্যবহার করছে ভিক্ষুকদের। ভিক্ষুকের ঝোলায় মাদকের প্যাকেট বিশেষ করে হেরোইন ও ইয়াবার প্যাকেট ভরে তাদের দিয়ে পাচার করা হচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকেলে ভিক্ষুকের ঝোলা থেকে চার লাখ টাকা মূল্যের ৭৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। কখনও নারীর শাড়ির ভেতর, কখনও স্কুলছাত্রের ব্যাগে, কখনও ভ্যানের পাটাতনের নিচে আবার কখনও মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন কাভারের ভেতর ফেন্সিডিল ও হোরোইনসহ মাদক পাচারের কৌশল ধরা পড়লেও এবার হেরোইন পাচারের চেষ্টাকালে গ্রেফতার হয়েছে এক ভিক্ষুক। ৭৫ গ্রাম হেরোইনসহ আবদুল কাইয়ুম (৫০) নামে এক ভিক্ষুককে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার উজানপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই ভিক্ষুককে আটক করা হয়। আটক ভিক্ষুক আবদুল কাইয়ুম গোদাগাড়ী পৌরসভার মাদারপুর গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে। সে প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে উপজেলা সদর ডাইংপাড়া মোড়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করত। এ পেশার আড়ালে সে গোদাগাড়ীর হেরোইন মাফিয়াদের হেরোইন বহনের কাজে জড়িত ছিল বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ। গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আবু ফরহাদ জানিয়েছেন, হেরোইনসহ তাকে আটকের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। কুড়িগ্রামে জামিনে এসে হামলা ॥ অস্ত্রসহ পিতা পুত্র আটক সন্ত্রাসী তৎপরতা মামলা স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ উলিপুরে সন্ত্রাসী তৎপরতার মামলায় আটক দুই আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে এসে আবারও বাদী ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আলম মিয়া (৪৫) ও তার ছেলে রাজ্জাকুল ইসলামকে (২৪) গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার রাতে জেলার উলিপুর উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের আলম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে তারই ছোট ভাই মৃত জাহেরুল ইসলামের স্ত্রী এক সন্তানের জননী কল্পনা বেগমকে নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি বিধবা নারী প্রতিবেশীদের অবহিত করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তার সামান্য সম্পত্তি গ্রাস করতে মরিয়া হয়ে ওঠে সে। এরই জের ধরে কল্পনা বেগমকে গত ১১ এপ্রিল পিতা-পুত্র মিলে বেদম প্রহার করে গুরুতর আহত করলে তাকে উলিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ পিতা-পুত্রকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। পিতা-পুত্র জামিনে মুক্ত হয়ে এসে আবারও তাদের সহযোগীদের নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে বিধবা কল্পনা বেগমকে (৩৮) মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন এগিয়ে আসলে তাদের এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে আতিকুর, শফিকুলসহ ৫ জন আহত হয়।
×