ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ প্রকল্পের আওতায় থাকবে ৩৩ জেলা, অতিরিক্ত ফলন হবে ৭ হাজার টন

দুই লাখ কৃষক আউশ চাষে প্রণোদনা পাবে ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

দুই লাখ কৃষক আউশ চাষে প্রণোদনা পাবে ৩০  কোটি ২১ লাখ টাকা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কম খরচে বেশি ধান ফলনের কারণে সরকার রবি ফসলের চেয়ে আউশকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে আউশ আবাদকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কৃষকদের প্রণোদনা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। আসন্ন আউশ মৌসুমে দেশের দুই লাখ ১০ হাজার কৃষককে আউশ ধান চাষের জন্য ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা প্রণোদনা দেবে সরকার। এর মধ্যে উফশী আউশ ধান চাষের জন্য ২৪ কোটি ৭০ লাখ এবং নেরিকা চাষের জন্য ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা প্রণোদনা দেয়া হবে। এ প্রণোদনা দেয়ার ফলে দেশে অতিরিক্ত ৭০ হাজার টন চাল উৎপাদন হবে। চাল ও খড় মিলিয়ে যার মূল্য ২৩১ কোটি টাকা। এবছর আউশে প্রণোদনা দেয়ার ক্ষেত্রে সম্প্রতি শিলা বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ২১ জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও বরেন্দ্র এলাকা এবং দক্ষিণাঞ্চলের আউশনির্ভর ১২ জেলাকে প্রণোদনার আওতায় রাখা হয়েছে। উফশী আউশ চাষ বাড়ানোর জন্য ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৪৮ জেলায় দুই লাখ ১০ হাজার কৃষককে এক বিঘা করে মোট দুই লাখ ১০ হাজার বিঘা জমিতে আউশ চাষের প্রণোদনা দেয়া হবে। এরমধ্যে ৪৮ জেলায় উফশী আউশ চাষের জন্য এক লাখ ৮০ হাজার কৃষককে ১ লাখ ৮০ হাজার বিঘা জমিতে এবং ৩৭ জেলায় নেরিকা জাতের আউশ ধান চাষের জন্য ৩০ হাজার কৃষককে জনপ্রতি এক বিঘা করে ৩০ হাজার বিঘা জমি চাষের জন্য সুবিধা দেয়া হবে। জানা যায়, ইতোমধ্যে সরকারের কৃষি মঞ্জুরি খাতে বরাদ্দকৃত ৬৫ কোটি টাকা থেকে ৩০ কোটি ২১ লাখ টাকা জেলা প্রশাসকদের বরাবরে ছাড় করা হয়েছে। উফশী আউশের ক্ষেত্রে মাথা পিছু প্রণোদনা দেয়া হবে এক হাজার ৩৫০ হাজার টাকা এবং নেরিকা আবাদের ক্ষেত্রে এক হাজার ৯৭০ টাকার সার ও বীজ দেয়া হবে। এর মধ্যে উফশী ও নেরিকা চাষে উভয় ক্ষেতে সেচ সহায়তার জন্য জনপ্রতি ৪০০ টাকা করে দেয়া হবে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচী ঘোষণা করেছেন। এ প্রসঙ্গে মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আউশ ধান হচ্ছে আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই স্বাভাবিক দানাদার ফসল। সামান্য সেচেই আউশ ধান উৎপাদন সম্ভব। আউশ উৎপাদনে খরচ কম। গম বা অন্য রবি ফসল কাটার পর জমি ফেলে না রেখে আউশ আবাদ করা যায়। এসব কারণে আবাদ বৃদ্ধির প্রতি সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
×