ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

ঝলক

এবারের গ্রীষ্মে নতুন এক ধরনের আমের স্বাদ পাবেন ভারতীয়রা। নাম ‘মোদি ম্যাঙ্গো’। জন্ম লক্ষে্্ নিকটস্থ মালিহাবাদে। তৈরি হয়েছে কলকাতার হুসন-এ-আরা এবং লক্ষেèৗর দশেরি আমের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে। পদ্মশ্রীজয়ী কৃষিবিদ কলিমুল্লাহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিজের বাগানে সৃষ্টি করেছেন আমটি। কিন্তু ‘মোদি ম্যাঙ্গো’ নাম কেন? নরেন্দ্র মোদি কি এই আম খেতে খুব ভালবাসেন? একদমই না। বরং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনও পর্যন্ত এই আম খেয়েই দেখেননি। হয়ত এমন একটি আমের জন্মের কথাও তাঁর জানা নেই। নাম রেখেছেন স্রষ্টা কলিমুল্লাহ স্বয়ং। আর কলিমুল্লাহর ইচ্ছে, নতুন আমটি নিজের হাতে নরেন্দ্র মোদিকে দেবেন। তিনি খেয়ে তৃপ্ত হলেই সার্থক হবে কলিমুল্লাহর পরিশ্রম। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক নতুন প্রজাতির সুস্বাদু আম সৃষ্টি করে বিশিষ্টজনের নামে নাম রেখেছেন কলিমুল্লাহ। কিন্তু একটা মুশকিল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কীভাবে যে পৌঁছনো যাবে, সেটাই জানা নেই তাঁর। না জানেন ঠিকানা, না চেনেন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি। কুকুর কামড়ালে ২ লাখ ভারতে কুকুর কোন ব্যক্তির গায়ে দাঁত বসালে ক্ষতিগ্রস্তকে ১ থেকে ২ লাখ রুপী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। উত্তরখণ্ড রাজ্যের উচ্চ আদালত এই অভূতপূর্ব নির্দেশ দিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাজ্যটিতে কুকুরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আদালতের এ নির্দেশ জারি। নির্দেশটিতে উল্লেখ রয়েছে, রাজ্যের কোন বাসিন্দাকে কুকুর কামড়ানোর এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণের সমুদয় অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ওই রাজ্যের স্ব স্ব জেলার মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এবং কেন্দ্রীয় সরকার সমভাবে এই অর্থ পরিশোধ করবে। বানর বা এ জাতীয় অন্য কোন চতুষ্পদ প্রাণীর হামলার ক্ষেত্রেও একই বিধান অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিচারক অলোক সিং এবং সার্বেশ কুমার গুপ্তার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, গত তিন বছরে উত্তরখণ্ডে ৪ হাজারের মতো মানুষ এতে আহত হয়েছে। কেবল নৈনিতাল শহরেই কুকুর দাঁত বসিয়েছে ৩ হাজার মানুষের গায়ে। এছাড়া রাজ্যের অগণিত কুকুর এবং বানরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কর্তৃপক্ষের প্রতি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিপন্ন পাখির আশ্রয় সংশোধনাগারে যেখানে বাস করার কথা যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত আসামিদের, সেখানেই আশ্রয় মিলল বিপন্ন প্রজাতির পাখির। এমন ঘটনাই ঘটেছে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের লিসবার্নের এইচএমপি (হার ম্যাজেস্টিজ প্রিজন) মাঘাবেরি জেলে। বন্দীরাই বিপন্ন কুড়ি জোড়া ল্যাপউইং পাখির জন্য আদর্শ প্রজনন ক্ষেত্র প্রস্তুত করে দিয়েছেন এই স্থানে। ৬ একর আয়তনের জলা জমিটি কারাগারের দেয়াল আর বেড়ার মধ্যবর্তী স্থানে। ছোট ছোট ঘাস, অগভীর পুকুর, শেয়ালের অনুপস্থিতিতে সেখানে পাখিদের প্রজননেও কোন সমস্যা নেই। যেসব আসামি মুক্তির দিন গুনছেন, তাদের নিয়েই দশ বছর আগে স্মিথ এই কাজ শুরু করেন। তিন বছর আগে দেশটির পরিবেশ দফতর এটিকে ‘বিশেষ বৈজ্ঞানিক আগ্রহের স্থান’ আখ্যা দেয়। এই অভিনব উদ্যোগের জন্য স্মিথ গত বছর রাজকুমার উইলিয়ামের কাছ থেকে এমবিই সম্মানে ভূষিত হন। তবে এতে বন্দীদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। গর্ভবতী হতে বিজ্ঞাপন! অভিজিৎ গুহ’র চলচ্চিত্র একলা চলো নিশ্চয়ই দেখেছেন। বাবা ছাড়া সন্তান জন্ম দেয়ার আকাক্সক্ষা জাগে এক মেয়ের। আর সে কারণে কোন পুরুষ দেখলেই কোন ভনিতা ছাড়াই বলে দিতে- ‘আপিন আমার সন্তানের বাবা হবেন?’ কিন্তু এভাবে কোন কাজ হয়নি। সবশেষে ওই মেয়ে ডাক্তারদের স্মরণাপন্ন হয়। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। অদ্ভুত বিজ্ঞাপন দিয়েছেন এ্যাডেলিনা আলবু নামের রোমানিয়ার এক নারী। সেই বিজ্ঞাপনে তিনি গর্ভবতী হওয়ার জন্য এমন একজনকে খুঁজছেন, যিনি বাবা হতে ইচ্ছুক। আর এজন্য ৩৫০ পাউন্ড দিতেও রাজি ওই নারী। ওই নারী তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি যত (৬ পৃষ্ঠা ১ কঃ দেখুন) গর্ভবতী হতে (প্রথম পৃষ্ঠার পর) তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি সন্তান চাই। তাই অর্থহীন সম্পর্কে পেছনে সময় নষ্ট না করে, বাবা হতে আগ্রহী এ রকম কোন ব্যক্তির খোঁজ করছি।’ পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘এর জন্য আমি একটি সন্তান পাব এবং ওই ব্যক্তিও পাবে তার প্রাপ্য অর্থ।’
×