ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘরে বসে মোবাইলে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ

নাশকতার মামলার কাউন্সিলর প্রার্থীরা এলাকায় ॥ নীরব পুলিশ

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

নাশকতার মামলার কাউন্সিলর প্রার্থীরা এলাকায় ॥ নীরব পুলিশ

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে এখন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচার চলছে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী এমন কয়েক বিএনপি ও জামায়াতের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে। নাশকতার ঘটনায় কয়েক জামায়াত-বিএনপি কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তারা পুলিশের খাতায় পলাতক হলেও এলাকায় রয়েছেন। অপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান না চালিয়ে পুলিশ নীরব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসব কাউন্সিলররা নির্বাচিত হলে নাশকতা অব্যাহত থাকবে। জানা গেছে, আগামী ২৮ এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আবারও নির্বাচিত হতে জামায়াত-বিএনপির এসব সাবেক কাউন্সিলররা প্রার্থী হয়েছেন। প্রচার চালাচ্ছেন ঘরে বসেই। রাস্তায় নেমেছেন তাদের কর্মী ও সমর্থকরা। মোবাইলে চলছে এসব প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনা। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে গত সেশনের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মোঃ শাহজাহান, মাহবুবুল আলম, মোঃ আজম, হাসান রিটন, এস এম ইকবাল, আবদুস সাত্তার সেলিম, বাবুল হক হাজী, জাফরুল ইসলাম, মোঃ আবু তৈয়ব, ইয়াছিন চৌধুরী, আবদুল মালেক, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, আবদুস সবুর লিটন, মোঃ সেকান্দর, শহিদুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন বালি, হাসান মুরাদ, সরফরাজ কাদের ও নুরুল আবছার। জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন সামসুজ্জামান হেলালী ও মাহফুজুল আলম। সিএমপির ১৬টি থানা সূত্রে জানা গেছে, ৪১টি ওয়ার্ডে গত ৫ জানুয়ারি থেকে প্রায় তিন মাসের নাশকতার ঘটনায় জামায়াত ও বিএনপির ৭ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বিস্ফোরক আইনসহ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় এসব কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তারা পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে চসিকের ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহাবুবুল আলম নাশকতার মামলায় চট্টগ্রাম কারাগারে রয়েছেন। নাশকতার মামলায় পলাতকরা হচ্ছেনÑ বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর মোঃ আজম, হাসান রিটন, আবদুস সাত্তার সেলিম ও ইসমাইল হোসেন বালি। জামায়াতপন্থী কাউন্সিলর সামসুজ্জামান হেলালী ও মাহফুজুল আলম পলাতক রয়েছেন। এ ব্যাপারে সিএমপির এক উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, গত সেশনে থাকা বিএনপি ও জামায়াতের কাউন্সিলরদের মধ্যে কেউ কেউ নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এমনকি একজন কাউন্সিলর চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। নাশকতার ঘটনায় ও নাশকতামূলক কর্মকা-ে অর্থের যোগানদাতা এবং ইন্ধনদাতা হিসেবে এসব কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে এখনও চার্জশীট তৈরি হয়নি।
×