ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালি হাতে উদ্ধার কাজে নেপালীরা

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৭ এপ্রিল ২০১৫

খালি হাতে উদ্ধার কাজে নেপালীরা

ভূমিকম্পের তাণ্ডবে এখন লণ্ডভণ্ড হিমালয় কন্যা নেপাল। দুর্যোগকবলিত এলাকায় ব্যাপক উদ্ধার তৎপরতা চলছে। বেশিরভাগ নেপালী প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জাম ছাড়া খালিহাতেই উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে। ধ্বংসস্তূতের মধ্যে তারা খুঁজে ফিরছে প্রিয়জনদের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার দুই শ’ জন ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে দেশটির সরকারের আশঙ্কা। অনেক দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সমস্যার উত্তরণে নেপালকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। রাজধানী কাঠমা-ুসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। ভূমিকম্পের ফলে এভারেস্টে তুষারের নিচে চাপা পড়েছে ১৭ জন পর্বতারোহী। এদের উদ্ধারে রবিবার সেখানে হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। দেশটির তথ্যমন্ত্রী মহেন্দ্র রিজাল বিশ্ববাসীর কাছে ব্যাপক ত্রাণ ও সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। খবর বিবিসি, এএফপি, এনডিটিভি ও ডন অনলাইনের। বুলডোজার না থাকায় তাদের খালিহাতেই ধ্বংসস্তূপ সরাতে হচ্ছে। কুড়াল দিয়ে ভেঙেপড়া দেয়াল ভাঙ্গাড় কাজ করছে তারা। উদ্ধার তৎপরতা সমন্বয়কারী সেনা কর্মকর্তা সন্তোষ নেপাল বলেন, উদ্ধারকর্মীরা সারারাত খোলা আকাশের নিচেই উদ্ধার কাজ অব্যাহত রেখেছে। ভেঙে পড়া দালাল থেকে তারা আটকে পড়াদের উদ্ধার করেছে। বিশেষ করে প্রাচীন ভবনগুলো সংকীর্ণ পরিসরের হওয়ায় সেখানে বড় যন্ত্রের সাহায্যে উদ্ধার কাজ চালানো যাচ্ছে না। এসব জায়গায় হাত কুড়াল ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা মনে করছি এসব জায়গায় এখনও বহু লোক আটকে আছে। হাসপাতালগুলোতে এখনও আহতরা আসছে। এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত লাখ লাখ লোক শনিবার সারারাত খোলা আকাশের নিচে রাতকাটায়। হীমশিতল আবহাওয়া এবং থেমে থেমে বৃষ্টির মধ্যে এদের থাকতে হয়। নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ্বও দঙ্গল বলেছেন, ভূমিকম্প উপদ্রুতদের জন্য তাবু তৈরি করা হবে। এছাড়া স্কুল এবং সরকারী ভবনগুলোতে আশ্রয় কেন্ত্র খোলা হবে। নেপালে শনিবার ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের মাত্র এক সপ্তাহ আগে সম্ভাব্য এই দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে কাঠমান্ড-তে জড়ো হয়েছিলেন বিশ্বের প্রায় ৫০ জন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও সমাজবিজ্ঞানী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৩৪ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নেপালের কাঠমা-ু প্রায় মিশে গিয়েছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় তারই প্রস্তুতি কীভাবে নেয়া যায় সেজন্যই বিশেষজ্ঞরা সেখানে মিলিত হন।
×