ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ ভোট তিন সিটিতে

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ২৮ এপ্রিল ২০১৫

আজ ভোট তিন সিটিতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আজ মঙ্গলবার। তিন সিটি কর্পোরেশনের ৬০ লাখ ৪২ হাজার ভোটার ভোটের মাধ্যমে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। তা বিরতি ছাড়াই বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেন্দ্রের সীমার মধ্যে কোন ভোটার উপস্থিত থাকলে তাদের ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। এদিকে নির্বাচনী এলাকায় আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বেলা ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষে পোলিং অফিসার, নির্বাচনী এজেন্টদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন মনিটরিংয়ের জন্য তিন সিটিতেই আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। এদিকে তিন সিটিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি। ভোট কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে তিন ধরনের ব্যালট পেপার, সিল, স্ট্যাম্প প্যাড, অমোচনীয় কালিসহ যাবতীয় ভোটার সরঞ্জাম। এছাড়া কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট শুরু হওয়া থেকে শুরু করে ফল গণনা পর্যন্ত কেন্দ্রে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বুধবার সকাল পর্যন্ত কেন্দ্রে ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ॥ এদিকে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট ১ হাজার ১৭৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছে ১৬ জন। তবে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আনিসুল হকের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়ালের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ সিটিতে কাউন্সিলর পদে মোট ২৮০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ভোটে জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবেন মাত্র ৩৬ প্রার্থী। অপরদিকে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮৯ প্রার্থী। এর মধ্যে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবেন মাত্র ১২ প্রার্থী উত্তর সিটি কর্পোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে ৩৬টি। সংরক্ষিত ওয়ার্ডেও সংখ্যা ১২টি। উত্তরের মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ২৪ হাজার ৭০৯ জন ও মহিলা ভোটার ১১ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৩ জন। এ সিটিতে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৯৩টি। ভোটকক্ষের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৮৯২টি। উত্তর সিটিতে মোট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১৮ হাজার ৭৬৯ জন। এর মধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এক হাজার ৯৩ জন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পাঁচ হাজার ৯২ জন ও পোলিং কর্মকর্তা ১১ হাজার ৭৮৪ জন। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ॥ এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন ২০ জন। তবে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকনের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা আব্বাসের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ সিটিতে কাউন্সিলর পদে মোট ৩৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ভোট নির্বাচিত হবেন মাত্র ৫৭ জন প্রার্থী। অপরদিকে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯৫ প্রার্থী। এর মধ্যে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবেন মাত্র ১৯ জন প্রার্থী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে ৫৭টি। সংরক্ষিত ওয়ার্ডেও সংখ্যা ১৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৯ হাজার ২৮৬। মহিলা ভোটার ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৭ জন। এ সিটিতে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৮৮৯। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৪৫টি। মোট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১৫ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৮৮৯ জন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চার হাজার ৭৪৬ জন ও পোলিং অফিসার নয় হাজার ৪৯২ জন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ॥ এদিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী রয়েছেন ১২ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আজম নাছিরের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলমের সঙ্গে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এ সিটিতে কাউন্সিলর পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ২১৩ জন। এর মধ্যে ভোটে নির্বাচিত হবেন মাত্র ৪১ জন প্রার্থী। অপর দিকে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬১ জন প্রার্থী। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবেন মাত্র ১৪ প্রার্থী। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা রয়েছে ৪১টি। সংরক্ষিত ওয়ার্ডেও সংখ্যা ১৪টি। এ সিটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫০ জন। মহিলা ভোটার ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ জন। এ সিটিতে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭১৯টি। ভোট বুথের সংখ্যা ৪ হাজার ৯০৬ জন। চট্টগ্রামে মোট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যা ১৫ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৭১৯ জন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা চার হাজার ৯০৬ জন ও পোলিং কর্মকর্তা নয় হাজার ৮১২ জন। এদিকে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কমিশনের পক্ষ থেকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব অবহেলা বরদাশত করা হবে না। এদিকে সোমবার সকাল থেকে নির্বাচনের নিরাপত্তা বিষয়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিন সিটি কর্পোরেশনের সব ভোটকেন্দ্রেই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঝুঁকিপুর্ণ কেন্দ্রগুলোতেও আলাদা নিরাপত্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জানা গেছে ঢাকার উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১ হাজার ৯৮২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৪২৯ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ৫৯৫টি কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও অন্যান্যসহ ১০ জন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এবং ১২ জন আনসার লাঠি নিয়ে আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১২ জন এবং ১২ জন লাঠি নিয়ে দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি করে পুলিশের মোবাইল দল নিয়োজিত থাকবে। প্রতি ২ ওয়ার্ডে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। তিন সিটিতে স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে প্রতি সিটিতে এক ব্যাটালিয়ন সেনা সদস্যও মোতায়েন রয়েছে। তবে তারা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অবস্থান করবে। কোন কেন্দ্রে গোলযোগ দেখা দিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধে তারা দায়িত্ব পালনে বেরিয়ে আসবেন। নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়ত করবে। এ ছাড়া তিন সিটিতে ৮৪ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রম্যমাণ আদালত কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্টাইকিং ফোর্সের সঙ্গেও ৩৪১ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৯ জন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৪ জন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ১০ জনসহ মোট ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করছে। এদিকে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দেশী-বিদেশী একাধিক সংস্থার পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাস ও দাতা সংস্থাও পর্যবেক্ষণের তালিকায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মান, সুইডেন, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউএসএইড, ইউকেএইড ডিআই, এনডিআইসহ বিভিন্ন দেশ ও দাতার সংস্থার প্রতিনিধিরা নির্বাচন কমিশন থেকে পর্যবেক্ষণ কার্ড সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপসহ বিভিন্ন এনজিও ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার দেশীয় চার হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পর্যবেক্ষণ কার্ড সংগ্রহ করেছেন। এদিকে ঢাকার উত্তর দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের কমিশনের পক্ষ থেকে নিজস্ব পর্যবেক্ষকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে নির্বাচন পরিস্থিতি নিবিড় ও পুঙ্খানুভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ৪৫ কর্মকর্তাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ১২ জন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৯ জন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৪ জন কমিশনে নিজস্ব পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এদিকে আজ তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামন্যে রেখে নির্বাচন কমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেয় হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার কমিশনের এক চিঠিতে বলা হয়েছে সিটি নির্বাচন উপলক্ষে অফিস সময়ের পরও ইসির কর্মকর্তারা কার্যালয়ে অবস্থান করবেন। পাশাপাশি নির্বাচনকে ঘিরে ইসি সচিবালয়ে অনেক দেশী-বিদেশী ব্যক্তিবর্গ, পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সমাবেশ ঘটছে। সব মিলিয়ে ইসির নিরাপত্তা আরও জোরদার করা প্রয়োজন বিধায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পর্যাপ্ত নয়। এ জন্য সোমবার বিকেল থেকে ফলাফল ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিচ্ছে কমিশন। যান চলাচল সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা ॥ এদিকে আজ তিন সিটি নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় সকল ধরনের মোটরযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন ধরনের টাউন সার্ভিসও চলাচল করবে না। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সিরাজুল ইসলাম বলেছেন ভোটের দিন যে কোন ধরনের মোটরযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নগরীতে ওইদিন টাউন সার্ভিস হিসেবে বাস, টেম্পো, লেগুনা প্রভৃতিও চলবে না। তিনি বলেন, পরিপত্রে যেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সে নির্দেশনাই বাস্তবায়িত হবে। ইসির জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, ২৭ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় বেবিট্যাক্সি, অটোরিক্সা, ইজিবাইক, জীপ, বাস, ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ, ট্রাক, মাইক্রোবাস, কার ও টেম্পো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে নির্বাচনে দায়িতপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতিসাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁদের এজেন্ট, দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষকের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য হবে। এ ছাড়া জরুরী প্রয়োজনে মহাসড়ক, বন্দরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে পণ্য পরিবহন করা যাবে। এ ছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত যে কোন ধরনের নৌযান ও স্পিড বোট চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে জরুরী প্রয়োজনে নৌযান ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া জরুরী পণ্য পরিবহনেও এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। তবে যে সব এলাকার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ তাদের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। ইসির এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে সড়ক বিভাগ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে সর্বশেষ অভিবক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালে এর মেয়াদ শেষ হয়। ২০১১ সালের ৩০ নবেম্বর ঢাকা সিটি উত্তর ও দক্ষিণ দু’ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর বিভিন্ন জটিলতায় দীর্ঘদিন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন বন্ধ ছিল। অপর দিকে ২০১০ সালে জুন মাসে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এ তিন সিটি কপোরেশন নির্বাচনের জন্য গত ১৮ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ তফসিল ঘোষণা করেন। এদিকে নির্র্বাচনে ভোটারদের উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বিঘেœ ভোট দেয়ার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
×