ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জামালের ঘাম ঝরানো জয়

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ২৮ এপ্রিল ২০১৫

জামালের ঘাম ঝরানো জয়

স্পোটস রিপোর্টার ॥ গত লীগের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডের জয়রথ অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার অনুষ্ঠিত ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে দিনের প্রথম ম্যাচে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচেও টানা জয় কুড়িয়ে নিয়েছে ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’ খ্যাত জামাল। তবে জেতার জন্য বিস্তর ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাদের। ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ১-০। খেলার প্রথমার্ধে স্কোরলাইন ছিল ০-০। জামালের পক্ষে জয়সূচক গোলদুটি করেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে। ৬ ম্যাচের সব জেতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটি অক্ষুণœ রেখেছে জামাল। পয়েন্ট ১৮। পক্ষান্তরে ৫ ম্যাচে এটা রাসেলের দ্বিতীয় হার, পয়েন্ট ৯। এই ম্যাচে লাল কার্ডের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরেন রাসেলের মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। কিন্তু তাতেও রাসেলের জয় আসেনি। চলমান প্রিমিয়ার লীগ সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সোমবার শেখ রাসেল বনাম শেখ জামালের মধ্যকার ম্যাচটি। কেননা জাতীয় দলের অধিকাংশই খেলোয়াড় খেলেন এই দুই দলে। এটি লীগে তাদের প্রথম সাক্ষাত। ম্যাচের শুরু থেকেই সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই দল। তবে শুরুতেই বেশ কয়েকটি গোলের সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে ‘অল ব্লুজ’ খ্যাত রাসেল। প্রথমার্ধে তুলনামূলকভাবে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল তারাই। ১১ মিনিটে রাসেলের অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড মিঠুন চৌধুরীর হেডটি জামালের গোলবার ছুঁয়ে যায়। আর ১৮ মিনিটে রাসেলের উইঙ্গার জাহিদ হোসেনের বাড়িয়ে দেয়া বলে সতীর্থ ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলির শট জামালের গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। আর ২৩ মিনিটে শেখ জামালের ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে ফ্রি কিক রাসেলের রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে ব্যর্থ হয়। ২৬ মিনিটে জাহিদ হোসেনের কাছ থেকে বল পান এমিলি। কিন্তু এবারও মিস, এমিলির আলতো টোকা দেয়া বলটি বারে লেগে ফিরে আসে। ২৩ মিনিটে সুযোগ এসেছিল জামালেরও। বক্সের খুব কাছেই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের ফ্রি কিকের বল বক্সে পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন জামালের একাধিক খেলোয়াড়। ২৬ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে জাহিদের মাইনাসে বক্সে বল পেয়ে এমিলি শট নিলেও বল পোস্টে লেগে বল ফিরে আসে। ২৯ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে জামালের ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের শট শেখ রাসেলের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন প্রতিহত করেন। ৩৯ মিনিটে ডার্বোয়েকে বক্সের বাইরে থেকে ওয়েডসন পাস দিলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তিনি। ৪৩ মিনিটে রাসেলের ক্যামেরুনিয়ান ফরোয়ার্ড পল এমিলের দুর্বল শট লুফে নেন জামালের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম। ৫৬ মিনিটে জামালের সদ্য বিবাহিত ডিফেন্ডার মোহাম্মদ লিঙ্কনের কর্নারে রাসেলের বক্সে বল পেয়ে হেড করেন ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে। বল আশ্রয় নেয় রাসেলের জালে (১-০)। ৬৭ মিনিটে ল্যান্ডিংয়ের মাইনাস থেকে বল পেয়ে শট নেন বদলি মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজু। কিন্তু রাজুর বল পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৮৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে করা জাহিদের ফ্রি কিক খুব সহজেই গ্রিপে নেন জামালের গোলরক্ষক। ৮৫ মিনিটে রাসেলের লেফট ব্যাক আতিকুর রহমান মিশুর ফ্রি কিক জামালের বক্সে জটলার মধ্য থেকে হেড দিয়ে সরিয়ে রাসেলকে গোলবঞ্চিত করেন ডিফেন্ডার লিঙ্কন। ৮৯ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাসেলের জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড আকিম সাইদের শট ক্রসবার ছুঁয়ে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত সমতায় আপ্রাণ চেষ্টাতেও সমতায় ফিরতে পারেনি ২০১২-১৩ লীগের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল। ফলে ১-০ গোলের জয় ও পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পাওয়ার আনন্দ নিয়ে মাঠ ত্যাগ করে মারুফুল হকের শিষ্যরা।
×