ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালীতে প্রেমের নামে ধর্ষণ, লজ্জায় আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

রাঙ্গাবালীতে প্রেমের নামে ধর্ষণ, লজ্জায় আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ প্রথমে প্রেম, পরে ধর্ষণ এবং সবশেষে লজ্জায় আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে সদা হাসি-খুশি কিশোরী মৌসুমীর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। আর এ ঘটনার দু’মাস পরে মঙ্গলবার মৌসুমীর মা মরিয়ম বেগম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাষ-দের বিচার দাবি করে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক ময়নাতদন্তসহ রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আদেশ দিয়েছেন। মামলার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্রে অভিযোগ করা হয়েছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ভূইয়ারহাওলা গ্রামের গয়জদ্দিন রাঢ়ির মেয়ে মৌসুমী (১৫) জন্মের পর থেকেই একই উপজেলার পূর্ব বাহেরচর গ্রামের নানাবাড়িতে থেকে বড় হয়ে ওঠে এবং রাঙ্গাবালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ত। ঘটনার কয়েক মাস আগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির বখাটে যুবক মোঃ জিহাত হোসেন মাতবর (২০) মৌসুমীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তা উপেক্ষা করলে মৌসুমীকে প্রায়শ নানা ধরনের হুমকি দিত। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মৌসুমীর নিজ হাতে লেখা ডায়েরির অনেক পৃষ্ঠায় সে প্রেমের বিবরণও রয়েছে। প্রেমের সূত্র ধরে পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবু তাহেরের স্ত্রী মরিয়ম বেগম গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মৌসুমীকে নিজ ঘরে ডেকে নেয়। ওই ঘরে আগে থেকেই কথিত প্রেমিক জিহাত হোসেন মাতবর অবস্থান করছিল। মৌসুমী ঘরে ঢোকা মাত্র মরিয়ম বেগম ঘরের বাইরে থেকে তালা দিয়ে সঁটকে পড়ে। এ সুযোগে জিহাত হোসেন জোরপূর্বক মৌসুমীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের লজ্জা সইতে না পেরে ওইদিন সন্ধ্যায় মৌসুমী বিষপান করে। গলাচিপা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে রাত এগারোটার দিকে মৌসুমী মারা যায়। এ ঘটনায় মৌসুমীর নানা অহিদুল মোল্লা পরেরদিন রাঙ্গাবালী থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মৌসুমীর পরিবার খোঁজখবর নিয়ে এবং ডায়েরির লেখা সূত্র ধরে পুরো ঘটনা জানতে পারেন। বাদী পক্ষের মামলার আইনজীবী উম্মে আসমা আঁখি জানান, মামলায় মোট তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলা নথিভুক্ত করে ময়নাতদন্ত ও রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট তলব করেছেন।
×