ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির বর্জন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক মেয়র প্রার্থীর সুর যায় পাল্টে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

বিএনপির বর্জন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক মেয়র প্রার্থীর সুর যায় পাল্টে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সকালে ভোট দিয়ে প্রায় সব মেয়র প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণেরও দাবি করেন তারা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীদের সুর পাল্টে যায়। নানা অভিযোগ এনে ভোট অনুষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে তারা। তবে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস সকাল থেকেই নানা অভিযোগ নিয়ে হাজির হন সংবাদমাধ্যমের সামনে। যদিও কোন অভিযোগের সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ হাজির করতে পারেননি তিনি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে ৩৬ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির দু’জন, সিপিবি বাসদের দু’জন, সহ গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার জোনায়েদ সাকীসহ পাঁচজন মেয়র প্রার্থী আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোট সাংবিধানিক অধিকার। ভোট দিলাম এ জন্য যে, আমি আমার নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারলাম। ভোট প্রদান করে আমি খুব আনন্দিত। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিক, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। রাজধানীর সিটি কলেজে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ভোট প্রদান শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমি ভোট দিয়েছি। দীর্ঘ সংগ্রাম করে আমরা এই জায়গাটা প্রতিষ্ঠিত করেছি। মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে, সে জন্য আমরা আন্দোলন করেছি। এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জিতলে ভাল, না জিতলে আন্দোলন এই নীতি তাদের। শেখ হাসিনা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে যা যা করণীয় তাই করবে সরকার। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি পানপাতা, ঘুড়ি ও ইলিশ মাছ প্রতীকে ভোট দিয়েছি। ইলিশ আমাদের প্রিয় মাছ। নির্বাচনে পরাজিত হলে ফলাফল মেনে নেয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরী স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটার উপস্থিতিও বেশ ভাল। এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ পাইনি- খোকন ॥ ভোট দেয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, এটি কথার কথা হিসেবে তারা বলছেন। মঙ্গলবার পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন সাঈদ খোকন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরাও ভোট দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাঈদ খোকন বলেন, এজেন্ট বের করে দেয়ার কোন ঘটনা আমি দেখিনি। আপনারা সাংবাদিকরা আছেন, আপনারাও দেখছেন। এ ধরনের অভিযোগ তারা প্রথম থেকেই করে আসছেন, এখনও করছেন। ভোট অত্যন্ত সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর। এরপর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখতে বের হয়ে যান সাঈদ খোকন। দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট বর্জন- আনিসুল হক ॥ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের নির্বাচন বর্জন করার ব্যাপারে ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক বলেছেন, তারা দলীয় সিদ্ধান্তে ভোট বর্জন করেছেন। মঙ্গলবার বেলা ১টায় রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমি সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরছি। মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট প্রদান করছেন। এর আগে বনানীতে বনানী মডেল স্কুল, টিএ্যান্ডটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তরায় উত্তরা উচ্চ বিদ্যালয়, নওয়াব হাবীবুল্লাহ মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পল্লবী মাজেদুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, ডক্টর মোঃ শহীদুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় ও মিরপুরের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন আনিসুল হক। সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বনানী বিদ্যা নিকেতন ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন। ভোট দেয়ার পরে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন আনিসুল হক। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাবিথ আউয়াল তার এজেন্টদের বের করে দেয়ার যে অভিযোগ তুলেছেন সে সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, কে এজেন্ট আছেন কে নেই, সেটা আমি জানি না। কোথাও থেকে কাউকে বের করে দেয়ার অভিযোগও পাইনি। এ ধরনের ঘটনাও দেখলাম না। তারা যদি এজেন্ট না দেন বা না দিতে পারেন, সে দায়িত্ব তো আমার নয়। সাংবাদিকরা আছেন, তারাই দেখছেন বলেও মন্তব্য করেন আনিসুল হক। সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কারণ, আমি অনেক পরিশ্রম করেছি। ঢাকা উত্তরের অলিতে-গলিতে ঘুরেছি। মানুষের চোখের দিকে তাকিয়েছি, তাদের চাওয়া-পাওয়ার কথা জেনেছি। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল হক বলেন, খেলায় খেলতে গেলে ফাউল হয়। এটা মেজর না মাইনর সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। ভোট গ্রহণ শেষে বনানীর একটি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন আনিসুল। সেখানে নির্বাচনী অনিয়ম সহিংসতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট ও মারামারি প্রসঙ্গে এই মেয়র প্রার্থী বলেন, যে দু একটা এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী ও বিএনপির দুই প্রার্থীর মধ্যে। এটা অনেকটা ভাইয়ে ভাইয়ে গ-গোলের মতো। বিএনপির ভোট বর্জন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬ জন প্রার্থীর মধ্যে মাত্র দু’ একজন ভোট বর্জন করেছেন যা সংখ্যার দিক থেকে খুব সামান্য। বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচনে ছিলেন। বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোটারেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের ভোট বর্জনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। এটি একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে দল প্রার্থীকে সমর্থন দেয়। কিন্তু কোন প্রার্থী দলীয় প্রার্থী নয়। ভোট ডাকাতির অভিযোগ আফরোজার ॥ নির্বাচনে ভোট কারচুপি নয়, ভোট ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে শাহজাহানপুরের বাসায় ফিরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকেও হার মানিয়েছে। এটা কোন নির্বাচন নয়, এটা কোন ভোট নয়। আফরোজা বলেন, অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪২ ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, মির্জা আব্বাসের শত-শত ভোটার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখেন তাদের ভোট সকাল ৯টার মধ্যেই অন্যরা দিয়ে গেছেন। তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাসার পাশে শাহজাহানপুর রোডে এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ-মিছিল করছেন বলেও জানান তিনি। এর আগে আফরোজা আব্বাস সকাল থেকে রাজধানীর ফকিরাপুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, ভিকারুননিসা স্কুল এ্যান্ড কলেজ, খিলগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বিকেলে আফরোজা সাংবাদিকদের জানান, তাঁর সমর্থকরা ভোট দিতে না পারায় তিনিও ভোট দেননি। নির্বাচন বাতিলের দাবি খেলাফতের ॥ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি উল্লেখ করে এ নির্বাচনকে বাতিল করে আবারও নির্বাচন দেয়ার দাবি খেলাফত মজলিশের। মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ দাবি জানান। তিনি বলেন, তিন সিটি নির্বাচনে সরকার সমর্থক প্রার্থীর পক্ষে যেভাবে কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই করে সিল মারা, জালভোট দেয়া, ২০ দল সমর্থক এজেন্টদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ার মতো কর্মকা- হয়েছে তা মেনে নেয়া যায় না। ভোট বর্জন সাকির ॥ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনকে ‘তামাশা’ ও ‘প্রহসন’ বলে নির্বাচন ও এর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেন মেয়র প্রার্থী জোনায়েদ সাকি। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর হাতিরপুলে তার দল গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। শান্ত পরিবেশে ভোটগ্রহণ- মাহী ॥ বারিধারায় ভোট দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিকল্প ধারা সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী মাহী বি. চৌধুরী। সকাল সাড়ে দশটায় বারিধারার ৬২৯ নং অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রের ৪নং বুথে তিনি ভোট দেন। ভোট দেয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গুলশান-বারিধারায় নির্বাচনী পরিবেশ সাধারণত কখনোই খারাপ হয় না। মোটামুটি ভাল ও শান্ত পরিবেশেই ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে এই কেন্দ্রে। ঢাকা উত্তরের নির্বাচনী পরিস্থিতি সম্পর্কে এ সময় তিনি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি ভাল। তবে কিছু কিছু এলাকা থেকে আমরা কিছু অভিযোগ পেয়েছি। কোন কোনো জায়গায় জালভোট হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে জেনেছি। তবে ব্যাপকভাবে তা এখনও আমাদের চোখে পড়েনি। জনরায় মেনে নেব- তাবিথ আউয়াল ভোটের শুরুতেই তার নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ তুলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। ক্যাম্প ভাঙলেও মন ভাঙতে পারেনি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, আমরা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব। ভোট দেয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। ভোটগ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরই সকাল সোয়া আটটায় গুলশান-২’ এর মানারাত ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ কেন্দ্রে সপরিবারে ভোট দেন তাবিথ। এ সময় তাবিথের সঙ্গে ছিলেন তার বাবা আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মা নাসরিন আউয়াল, স্ত্রী সওসান ইস্কান্দার, ভাই তাজওয়ার আউয়াল ও তাফসির আউয়াল। তাবিথের অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে তার নির্বাচনী কর্মীদের কাজ করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। ভোট দেয়ার পরে আমি আমার গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে ভোটকেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে যাচ্ছি। ভোট সুষ্ঠু হলে জয় আমাদের সুনিশ্চিত বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, আমরা জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আমরাই জয়ী হব। সিপিবি-বাসদের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ॥ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। দল দু’টি মনে করে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় তা আবার প্রমাণিত হলো। মঙ্গলবার বিকেল রাজধানীর পুরানা পল্টনের মৈত্রী মিলনায়তনে জরুরী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেয় দল দুটি। একই সঙ্গে সিপিবি-বাসদ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগও দাবি করেছে।
×