ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিতীয় দিনে তাকিয়ে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

দ্বিতীয় দিনে তাকিয়ে পাকিস্তান

স্পোর্টস রিপোর্টার, খুলনা থেকে ॥ প্রথম দিন শেষ হয়ে গেছে। বলতে গেলে দিনের পুরোটাজুড়ে বাংলাদেশেরই ছিল আধিপত্য। সেই দিনের শেষ বলে মুমিনুল হক আউট হলেন, আধিপত্যে ভাগ বসালো পাকিস্তানও। এখন পাকিস্তান দ্বিতীয় দিনের দিকেই তাকিয়ে আছে। আজহার আলীই যেমন বললেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের উইকেট তুলে নিতে হবে।’ প্রথম দিনে বাংলাদেশ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান করেছে। আরও কয়েকটি উইকেট যেতে পারত, যদি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা ক্যাচগুলো মিস না করতেন। কিন্তু খেলারই অংশ ক্যাচ মিস। তাই বলে আফসোস থাকবে না, এমনটি তো নয়। আজহার আফসোস করলেনও, ‘আমাদের বোলাররা যেভাবে বল করছিল, তাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা ৫-৬টি সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু আমরা সেগুলোকে কাজে লাগাতে পারিনি।’ সঙ্গে আজহার যা জানালেন, তাতে হুঙ্কারই যেন দিয়ে দিলেন। প্রথম দিনে পাকিস্তানের বোলাররা খুব আহামরি কিছু করতে পারেননি। মুমিনুল শেষবেলায় আউট না হলে তো বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণেই ছিল ম্যাচ। এরপরও আজহার বলছেন, ‘দ্বিতীয় দিনে যদি বোলাররা ভাল বোলিং করতে পারে প্রতিপক্ষকে ৩০০ রানের নিচে বেঁধে ফেলা সম্ভব হবে।’ তা যদি পাকিস্তান করতে পারে, তাহলে তো ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা পাকিস্তানেরই থাকবে! শেষ বিকেলে যে মুমিনুলকে আউট করা গেছে, এটা বড় প্রাপ্তি মানছেনও আজহার। বলেছেন, ‘শেষ বিকেলে মুমিনুলের আউটটি আমাদের জন্য ছিল অনেক বড় প্রাপ্তি। যত দ্রুত সম্ভব এখন বাংলাদেশকে অলআউট করতে হবে।’ খুলনার উইকেট ব্যাটিংনির্ভর। ব্যাটসম্যান ভুল না করলে আউট করা কঠিন। কিন্তু তৃতীয় দিন থেকেই স্পিন ধরতে থাকে। স্পিনে যে কোন দল বিপাকে পড়তে পারে। সেই স্পিন শক্তি আছে বাংলাদেশের। এখন দেখা যাচ্ছে, প্রথম দিনেই উইকেট স্পিনারদের পক্ষ নিতে শুরু করেছে। আজহার তাই এখন বাংলাদেশকে দ্রুত অলআউট করে দিয়ে ব্যাটসম্যানদের দিকেই নজর দিচ্ছেন। আজহার যেমন হাফিজকে উদ্দেশ করেই বলেছেন, ‘বল হাতে হাফিজ ভাল করেছেন, যেটি আমাদের দলের জন্য অনেক স্বস্তিদায়ক ব্যাপারও বটে। এখন আমরা তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকব।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে ভাল করতে হলে পাকিস্তানকে আজ আরও ভাল বোলিং করতে হবে। প্রথম দিনে ওয়াহাব রিয়াজ, হাফিজ, বাবর, ইয়াসির ১টি করে উইকেট নিতে পেরেছেন। তাও অনেকক্ষণ পর পর। শুরুতে তামিমকে ইয়াসির, এরপর ইমরুলকে হাফিজ আউট করেন। মুমিনুল-মাহমুদুল্লাহ ৯৫ রানের জুটি গড়ার পর সেই জুটি ভাঙ্গে ওয়াহাব মাহমুদুল্লাহকে আউট করে। এরপর তো দিনে আর কোন উইকেটই যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়নি। শেষবেলায় এসে জুলফিকার বাবর মুমিনুলকে এলবিডাব্লিউ করেন। আর সেখানেই পাকিস্তান যেন জ্বালানি শক্তি পেয়ে যায়। আজ দিনের প্রথম সেশনটি দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। যে দল এ সেশনটি কাজে লাগাতে পারবে, তারাই ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে। আজহার চান নিয়ন্ত্রণ থাক পাকিস্তানের হাতেই।
×