নেপালের বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিবৃত্ত করতে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সেদেশের দাঙ্গা পুলিশ। বুধবার রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে এ ঘটনা ঘটে। খবরে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া লোকজনের পরিবহনে অতিরিক্ত বাস সার্ভিসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। এ জন্য বুধবার ভোর হওয়ার আগেই হাজার হাজার লোক রাজধানীর প্রধান বাসস্টেশনের বাইরে জড়ো হতে থাকে। কিন্তু বাসগুলো না আসায় উপস্থিতদের মধ্যে ক্ষোভ শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘটনাস্থলে কয়েক দল দাঙ্গা পুলিশ প্রেরণ করা হয়।
এদিকে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত নেপালের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণপাঠানো শুরু হয়েছে। শনিবারের ওই ভূমিকম্পের পর এসব এলাকার লোকজন খাবার এবং পানির প্রকট সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।
বুুধবার কাঠমা-ুর প্রধান বাস স্টেশনে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা কিশোর কাভরি নামে ২৫ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ভোর থেকে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, তারা আমাদের পরিবহনে ২৫০টি বাস আসবে। কিন্তু আমরা একটি বাসও দেখছি না। আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের দেখতে দ্রুত বাড়ি যেতে চাই। কিন্তু বাসগুলো ঠিক কখন আসবে আমরা জানি না। তবে আমার মনে হয় সরকার খুব বেকায়দায় রয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে কাঠমা-্ ুউপত্যকাসহ ধাধিং এবং গোর্খা এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
নেপালে আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে অন্তত ৫ হাজার লোক প্রাণ হারিয়েছে। জাতিসংঘের অনুমান নেপালের ৩৯ জেলার ৮০ লাখ লোক ভূমিকম্পে আক্রান্ত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় ১০ হাজারের বেশি মানুষ। নেপালের সেনা মুখপাত্র জগদীশ চন্দ্র পোখরেল বলেছেন, এগুলো এত দুর্গম এলাকা যে সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। আর আমরা দৈহিকভাবে ঘটনাস্থলে না পৌঁছাতে পারলে তাদের সহায়তা এবং উদ্ধার করতে পারব না। তবে আমাদের সেনাবাহিনী এ জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। শনিবারের ওই ভূমিকম্পে সবচেয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নেপালের গোর্খা জেলা। এ জেলায় হেলিকপ্টারযোগে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। এ জেলায় ভূমিকম্পে সর্বস্ব হারানো সিতা গুরুং নামে এক নারী বলেন, ভূমিকম্পের পর থেকে আমরা কোন খাবার খাইনি। আমাদের হাতে আর কিছুই নেই।