ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে শেষের কবিতা

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ৩ মে ২০১৫

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে শেষের কবিতা

রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের অমর সৃষ্টি ‘শেষের কবিতা’ উপন্যাস অবলম্বনে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে ৮ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘শেষের কবিতা’। শুক্রবার থেকে নাটকটি বিটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে। আগামী ৮ মে রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন পর্যন্ত নাটকটি রাত ৮-৩০ মিনিটে প্রচার হবে। অনন্ত হিরার চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘শেষের কবিতা’ নাটকটি প্রযোজনা করেছেন শাহ জামান। পরিচালক সূত্রে জানা গেছে নাটকটি শূটিং হয়েছে হবিগঞ্জ জেলার মধুপুর চা-বাগানে। নাটকটি শিলং অধ্যুষিত বলে গাছ-গাছালি পাহাড়ঘেরা এ লোকেশনটি বেছে নেয়া হয়। রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসের বর্ণনার সেই চিত্র যেন এখানে পাওয়া যায়। নাটকটির ৮০ শতাংশ কাজ এখানে হয়েছে। বাকি কাজ হয়েছে ঢাকার অদূরে নবাবগঞ্জের জর্জবাড়ি নামের বিখ্যাত জমিদার বাড়িতে। নাটকটির বিখ্যাত ৩টি চরিত্র লাবণ্য, অমিত এবং শোভন লাল। এর মধ্যে লাবণ্যের ভূমিকায় নূনা আফরোজ, অমিতের ভূমিকায় অনন্ত হিরা এবং শোভন লালের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রামিজ রাজু। এছাড়া অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঝুনা চৌধুরী, সানাউল হক সানা, আউয়াল রেজা, শুভেচ্ছা, আশা, চৈতি, চঞ্চল সৈকত, তৌহিদ বিপ্লব প্রমুখ। প্রসঙ্গত, ‘শেষের কবিতা’ নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৬৭ বছর বয়সে লেখা বহুল পঠিত একটি বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’র নাট্যরূপ। নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে শিলং পাহাড়ের পথে বিপরীতমুখী দুটি গাড়ির পরস্পর আকস্মিক দুর্ঘটনায় পরিচয় হয় বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ও লাবণ্যর। নির্জন পাহাড়ের সবুজ অরণ্য ঘেরা দুর্লভ অবসরে দু’জন দু’জনকে দেখে মুগ্ধ হয়। যার পরিণতি ভালবাসায়। যে লাবণ্য কেবলই বই পড়বে আর পাস করবে, এমনি করেই তাঁর জীবন কাটবে ভেবেছিল সেই লাবণ্য হঠাৎ আবিষ্কার করল সেও ভালবাসতে পারে। আর অমিত তো মেয়েদের কাছে সোনার রঙের দিগন্ত রেখা, ধরা দিয়েই আছে, তবু ধরা দেয় না। সেই অমিত বন্দী হলো লাবণ্যর প্রেমে। অমিত লাবণ্যর বিয়েটা যখন অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলতে থাকে ঠিক সেই সময় অমিতের বন্ধু কেতকী শিলং এসে উপস্থিত হয়। কেতকীর সঙ্গে বিলেতে থাকার সময় অমিতের একটা গভীর মুগ্ধতার সম্পর্ক ছিল। লাবণ্যর সঙ্গে অমিতের বিয়ের খবর শুনে কেতকী অভিমানে শিলং ছেড়ে চলে যায়। এদিকে লাবণ্যও তাকে ফিরিয়ে দেয়। অমিত দু’জনের কাছ থেকেই প্রত্যাখ্যাত হয়। অমিত ফিরে যায় কলকাতায়। কিছুদিন পর অমিতের সঙ্গে বিয়ে হয় কেতকীর এবং তারও কিছুদিন পর লাবণ্যর একটি চিঠি আসে অমিতের কাছে। সে চিঠিতে শোভনলালের সঙ্গে লাবণ্যর বিয়ের খবর পায় অমিত।
×