ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ায় জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ৩ মে ২০১৫

বগুড়ায় জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আমার সোনার বাংলা শিরোনামের গানের প্রথম ১০ লাইন আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে বিবেচিত। জাতীয়ভাবে সরকারী ও বেসরকারী কোন অনুষ্ঠানে এবং দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরুর আগে এই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন বাধ্যতামূলক। এবষিয়ে সচেতনতা তৈরিতে বগুড়ায় স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শুদ্ধ ও সঠিক সুরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের শিশু সংগঠন ভোর হলো ও লিটল থিয়েটারের আয়োজনে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বগুড়া শহরের খোকনপার্কের শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ, বগুড়া থিয়েটার ও কলেজ থিয়েটার। প্রতিযোগিতায় বগুড়ার ৬টি স্কুলের ৬০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বগুড়া জিলা স্কুল, বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল এ্যান্ড কলেজ, বিয়াম মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কাহালু উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিযোগিতার আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোর হলো ও লিটল থিয়েটারের সমন্বয়ক তৌফিক হাসান ময়নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র আমিনুল ফরিদ, দৈনিক করতোয়ার বার্তা সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য শংকর, মিউজিক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আতিকুর রহমান মিঠু, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সদস্য হোসনে আরা হাসি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি আহসানুল হক দুলাল, সাধারণ সম্পাদক এবিএম জিয়াউল হক বাবলা প্রমুখ। জাতীয় সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল এ্যান্ড কলেজ এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে বগুড়া ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সদস্য হোসেনে আরা হাসি, অমরেশ মুখার্জী এবং উদীচীর সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুস সোবহান মিনু। প্রতিযোগিতার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বেশ প্রশংসিত হয়। জাতীয় সঙ্গীত শুদ্ধভাবে পরিবেশন এবং এর গুরুত্বের বিষয়ে সচেতনতায় এ ধরনের আয়োজন দেশব্যাপী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
×